সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : সমস্যা: আমি মুরগি পালন করতে চাই, প্রথমে কি করকে হবে জানাবেন। CAJসমাধান: মুরগি পালন ছোট পরিসরে, নাকি বড় পরিসরে করবেন তা বলেন নি, যদি বাণিজ্যিক ভাবে বড় পরিসরে মুরগি পালন করতে চান তবে, প্রথমে অভিজ্ঞ লোকের সাথে কথা বলতে হবে অথবা যুব উন্নয়ন থেকে ট্রেনিং নিতে হবে অথবা উপজেলা পশু সম্পদ অফিসের সাথে যোগাযোগ করে সঠিক পরামর্শ নিতে হবে। সমস্যা: মুরগির বাচ্চা হয় এবং বাচ্চা অবস্থায় বাচ্চার চোখে ফোট আকৃতি হয় চোখ বন্ধ হয়ে পরে মাড়া যায়। CAJসমাধান: অসুস্থ্য মুরগীকে আলাদা করে রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগীকে ফাউল পক্স ভেক্সিন (বোতলেরে সাথে নির্দেশিকা মোতাবেক) দিতে হবে। সমস্যা: দেশী মুরগী (৫-৭ টি) খাবার খায় না, নাক দিয়ে পানি পরে, ঝুটিতে পক্স হয়েছে, শ্বাস কষ্ট আছে , হাল্কা চুনা পায়খানা করে, করনীয় জানাবেন। CAJসমাধান: ডক্সিভেট/টাইরোসেফ আধা কেজি সমপরিমান ভাতের সাথে ৫-১০ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে রোগাক্রান্ত মুরগীগুলোকে খাওয়াতে হবে। অথবা রেনামাইসিন টেবলেট (২ টি) আধা কেজি সমপরিমান ভাতের সাথে গুরা করে খাওয়াতে হবে। সমস্যা: মুরগী ঝিমায়, চুনা চুনা পায়খানা কর
শীতকালীন আবাদ --CAJ পর্ব ০৪: সয়াবিন চাষ: বাংলাদেশে সয়াবীন একটি সম্ভাবনাময় ফসল। আমিষ ও ভোজ্য তেল উৎপাদনে সয়াবীন এখন অনেক দেশেই একটি প্রধান ফসল। পুষ্টি উপাদান/মূল্য ও ভেষজগুণঃ প্রোটিন বিদ্যমান। অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড থাকে বিধায় হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্ত চাপ রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। ব্যবহারঃ সয়াবিন ডাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া পিয়াজু, বড়া, দুধ, চাপাতি, পরটা, পাউরুটি, বিস্কুট, পিঠাসহ আরও অনেক খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে পোল্ট্রি শিল্পে সয়াবিন ব্যবহৃত হচ্ছে। উপযুক্ত জমি ও মাটিঃ দো-আঁশ, বেলে-দো-আঁশ ও এঁটেল দো-আঁশ মাটি সয়াবিন চাষের উপযোগী। জাত পরিচিতিঃ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সয়াবিনের ৩টি জাত উদ্ভাবন করেছেন। জাতগুলোর বৈশিষ্ট্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো। সোহাগ (পিবি-১): সংগৃহীত জার্মপ্লাজম থেকে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৯৯১ সালে সরকার কর্তৃক জাতটির  অনুমোদন দেয়া হয়।ফুলের রং বেগুনী। বীজের রং উজ্জ্বল হলদে। বীজ সংরক্ষণ ক্ষমতা ভালো। ১০০ বীজের ওজন ১১-১২ গ্রাম। এজাতটি পাতার হলদে মোজাইক রোগ সহনশীল। জীবনকাল রবি মৌসুমে ১০০-১১০ দিন এবং খরিপ মৌসুমে ৮০-৯০ দিন। হেক্টর প্রতি

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ফেলত
রাণিক্ষেত রোগ এবং চিকিৎসা: লেয়ার বা ব্রয়লার কিংবা কবুতর সবারই একটা খুব সাধারন রোগ হলো এই রাণিক্ষেত। এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। আমরা অনেকেই রাণিক্ষেত রোগের চিকিৎসা করে থাকি, কেউ ভ্যাকসিন দেয়ার পরামর্শ দেই, কেউ এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ দেই, কউ বা সাথে আরো অন্য কিছু। আজ তাই এই সাধারন রোগটির চিকিৎসা বিষয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। প্রথমেই আসি ভ্যাকসিন বিষয়েঃ চিকিৎসা হিসেবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত বা সেটা কতটা কার্যকরী তা নিয়ে আছে মতবিরোধ। কেউ শুধু লাইভ ভ্যাকসিন আবার কেউ লাইভ এবং ১ দিন পর কিল্ড ভ্যাকসিন দেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এইখানে আমার নিজস্ব কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে চাই। ১। ভ্যাকসিনেশনঃ morbidity ৫% এর বেশি হলে চিকিৎসা হিসেবে ভ্যাকসিনেশন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এরকম ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনেশনের দিকে না যাওয়াই উত্তম। একটা বিষয় মনে রাখা দরকার যে জীবাণু যেখানে বাসা বেঁধে আছে সেইখানেই কিন্তু ভ্যাকসিন-ভাইরাস বাসা বাঁধবে অর্থাৎ বংশবিস্তার করবে। সুতরাং রোগ বেশি আকার ধারণ করলে ভ্যাকসিন কাজ করার মতো Respiratory tract এ জায়গাই পাবে না। যদি ভ্যাকসিন করতেই হয় তবে Lasota
শীতকালীন আবাদ --CAJ ৩য় পর্ব : ঢেঁড়শ/ভেন্ডি চাষ পদ্ধতি---- CAJ ভূমিকা --- ঢেড়শ কে ইংরেজিতে বলা হয় ওকরা (Okra)। আর  আমেরিকার বাইরের ইংরেজি ভাষীদের কাছে এটি লেডিজ ফিঙ্গার (Lady's Fingers) নামে পরিচিত। ঢেঁড়শ (ভেন্ডি) Malvaceae পরিবারের এক প্রকারের স-পুষ্পক উদ্ভিদ। ঢেঁড়শের বৈজ্ঞানিক নাম Abelmoschus esculentus অথবা Hibiscus esculentus L। ঢেঁড়শ একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর গ্রীষ্মকালীন সবজি। আমাদের দেশে সাধারণত মাঘ মাসের শুরু থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত এ সবজির চাষ বেশী হয়, তবে পুরো বছর জুড়ে চাষ করা যায়। ঢেঁড়শের বিভিন্ন জাতগুলোর মধ্যে বারি-১, পুষা শ্রাবণী, প্রভাতী ক্রান্তি, অর্কা-অনামিকা উল্লেখযোগ্য। এ জাতগুলোর মধ্যে পুষা শ্রাবণী স্বল্প মেয়াদি। এছাড়া আমাদের দেশিও আরো কিছু জাত রয়েছে। জমি প্রস্তত--- ঢেঁড়শ চাষের জন্য সব সময় নতুন বীজ ব্যবহার করা ভাল। এতে কৃষক লাভবান হবে। ঢেঁড়শ চাষের জন্য আলো-বাতাস পায় এমন জমি নির্বাচন করতে হবে। জমি উঁচু হবে এবং পানি নিকাশের ভাল সুবিধা থাকতে হবে। বেলে দো-আঁশ থেকে এঁটেলে সব ধরনের মাটিতেই ঢেঁড়শের চাষ হলেও দো-আঁশ মাটি-ই ঢেঁড়শ চাষের জন্য উপযোগী।
গামবোরো রোগ এবং চিকিৎসা: গামবোরো একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমানে ব্রয়লার, কক, সোনালী ও লেয়ার মুরগি মারা গিয়ে থাকে। তাই এ রোগের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি। গুরুত্ব আরো একটু বেশি এই কারণে যে, মুরগির মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্ত ফ্লক ইম্যূনোসাপ্রেশনে ভোগে। আর তাই এ রোগকে মুরগির এইডস বলা হয়। আর এ ধরনের ফ্লক থেকে কখনই আশানুরুপ ফলাফল পাওয়া যায় না। তাই আমি আজ এই রোগটির চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে চাই। তবে প্রথমেই বলে রাখা দরকার এটি যেহেতু ভাইরাসজনিত রোগ, সুতরাং এর কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই আরেকটি কথা হলো আমি যে চিকিৎসা পদ্ধতিটি এখানে তুলে ধরছি তা আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে – ১। এন্টিবায়োটিকঃ এন্টিবায়োটিক হিসেবে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ১০% ব্যবহার করা যায়। এটি রক্তে মেশেও তারাতারি আর শরীরে থাকেও দীর্ঘক্ষণ। ফলে দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যায়। ব্যবহারঃ ১মিলি ১লিঃ পানিতে পরপর ৩-৫ দিন সবসময় পানিতে দিতে হবে। এটি মূলতঃ সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য। ২। অর্গানিক এসিডঃ যে কোন ভালো অর্গানিক এসিড কোম্পানি নির্দেশীত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্র
শীতকালীন আবাদ --CAJপর্ব ০২ লাউ চাষ পদ্ধতি: লাউয়ের ইংরেজী নাম Gourd। শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে লাউ অন্যতম। এর পাতা সরল ও একান্তর, বোঁটা লম্বা এবং ভেতরে ফাঁপা থাকে। আমাদের দেশে অনেক ধরনের লাউ চোখে পড়ে। ফলের আকার-আকৃতি ও বর্ণের কারণে বিভিন্ন জাত নির্ণয় করা যায়। বর্তমানে অবশ্য সারাবছরই এ সবজিটি পাওয়া যায়। তবে শীতকাল লাউ চাষের প্রধান মৌসুম । এর ব্যবহার হয় অনেক ধরনের খাবারে। তাই আগাম ফসল পেতে হলে এখনই লাউ চাষ করা দরকার। জলবায়ু : আমাদের দেশে শীতকালে এ সবজিটি ভালো হয়। পরিবেশের দিক থেকে এটিই হচ্ছে উপযুক্ত সময়। তবে একটি বিষয় লক্ষণীয়, আলো-বাতাস এবং তাপমাত্রা ভালো ফল উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। মাটি : সব ধরনের মাটিতেই লাউ হয়। দো-আঁশ মাটিতে ফলন সবচেয়ে ভালো হয়। বেলে মাটিতে লাউয়ের ফলন পেতে হলে প্রচুর পরিমাণ জৈবসার আর পানির প্রয়োজন হবে। বর্তমানে বেলে মাটিতে লাউয়ের ভালো ফলন হচ্ছে, তা চরাঞ্চলের দিকে খেয়াল করলে বোঝা যায়। জাত : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বারি লাউ-১ নামে উচ্চফলনশীল একটি জাত উদ্ভাবন করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে লাউয়ের কোনো অনুমোদিত জাত নেই। এ জাতটি সারা বছরই চাষ কর
শীতকালীন আবাদ --পর্ব ০১ ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি ------ ভূমিকা: ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় সবজি। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। মিষ্টি মরিচের আকার ও আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তবে সাধারণত ফল গোলাকার ও ত্বক পুরু হয়। মিষ্টি মরিচ আমাদের দেশীয় প্রচলিত সবজি না হলেও ইদানিং এর চাষ প্রসারিত হচ্ছে। বিশেষ করে বড় বড় শহরের আশেপাশে সীমিত পরিসরে কৃষক ভাইয়েরা এর চাষ করে থাকের, যা অভিজাত হোটেল ও বিভিন্ন বড় বড় মার্কেটে বিক্রি হয়ে থাকে। এ ছাড়া মিষ্টি মরিচের বিদেশে রপ্তানীর সম্ভাবনাও প্রচুর। কারণ সারা বিশ্বে টম্যাটোর পরেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সবজি হচ্ছে মিষ্টি মরিচ। মিষ্টি মরিচের পুষ্টিমান ও ব্যবহার: পুষ্টিমানের দিক থেকে মিষ্টি মরিচ একটি অত্যন্ত মূল্যবান সবজি। প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ’সি’ থাকার কারণে এবং অতি সহজেই টবে চাষ করা যায় বলে দেশের জনসাধারণকে মিষ্টি মরিচ খাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। মিষ্টি মরিচ লাগানোর নিয়ম কানুন: ক্যাপসিয়াম বা মিষ্টি মরিচ চাষের জন্য দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি ভালো। মিষ্টি মরিচ খরা ও গোড়ায় পানি জমা কোনটিই সহ্য করতে পারে না। মিষ্টি
দুগ্ধ খামারের দৈনন্দিন কার্যাবলী : ( লেখক ও পোস্ট ক্রেডিট জনাব Mukty Mahmud ) ------------------------------------------------------- অনেকেই জানতে চান একটি দুগ্ধ খামারের দৈনন্দিন কাজ গুলি কি কি ভাবে, কোনটা কোন সময়ে করতে হয়। অথবা,এক কথায় বলা যেতে পারে একটি দুগ্ধ খামারের দৈনন্দিন কাজের রুটিন টা কেমন হবে। আমি খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে খামারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে এই রুটিনের ব্যাপারে কিছুটা আলোচনা করছি,আশা করি অন্তত নতুন খামারী ভাইয়েরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। ১। দুগ্ধবতী গাভীকে প্রচুর বিশ্রাম দিতে হয়,এতে তার দুধ উৎপাদন বাড়ে। এ কারণে গাভীকে ভোর ৬ টা বাজার আগে কখনোই তুলবেন না। তাহলে আমরা বুঝলাম যে গাভীকে ভোর ৬ টায় তুলে দিতে হবে। ২। ভোর ৬ টা থেকে সকাল ৭ টার মধ্যে গাভীর ঘর এবং গাভী গুলিকে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। ঘর পরিষ্কার করবেন পানির সাথে জীবাণুনাশক দিয়ে। গাভীর ওলানও পটাশের পানি দিয়ে ধুয়ে দিবেন হোক সেটা দুধাঁলো বা গর্ভবতী। রানের পিছনের দিক,পেটের নিচ এবং ক্ষুরা সহ পা ধুয়ে দিবেন ভালো করে। বাছুর গুলিরও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করবেন। ৩। সকাল ৭ টা বাজে দুধ দোয়াবেন এবং এক ঘন্টার ভিতর সব গাভীর দু
উতপাদনের আগেই বিপণন নিয়ে ভাবুন :--- আমি ধরে নিচ্ছি যে , আপনি খামারি হিসেবে সফল । আপনার জ্ঞান , শ্রম , নিষ্ঠা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা খামারে এনে দিয়েছে ঈর্ষনীয় সাফল্য । আপনার খামারের উতপাদন  ব্যাপক । কিন্ত এর পর যেটা অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ , তা হলো সেই পণ্য বাজারজাত করণ । কিন্ত আপনার এত কষ্টের উতপাদিত পণ্য যদি সঠিক ভাবে বাজারজাত না করতে পারেন , তা হলে এই উতপাদনের মূল্য কোথায়  ? CAJ বিক্রয় পলিসি : আপনার স্বচ্ছ ধারণা না থাকলে , আপনি আপনার উতপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাবেন না । এর লাভ  চলে যাবে মধ্যেস্বত্ব ভুগিদের হাতে । তাই পণ্য উতপাদনের আগেই, উক্ত পণ্যের চাহিদা এবং বাজারজাত ব্যবস্থা বিষয়ে নিশ্চিত হোন । বিগত বছরগুলোতে উক্ত পণ্যের মূল্য সম্পর্কে খোঁজ খবর নিন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আগেই নিয়ে ফেলুন । আপনার উতপাদিত পন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলুন । আপনার পণ্যের গুণগুলো প্রচার করুন এবং দু একটি বিশেষ বৈশিষ্ট তুলে ধরুন । এবং মূল/প্রধান পলিসি হিসেবে,চাহিদার তুলনায় কিছু কম উতপাদন ও সরবরাহ করুন । উপরোল্লিখিত বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করলে আশাকরি আপনার পণ্য বিপননে বেগ প
শিক্ষিত কৃষক এখন সময়ের দাবি :----- আমাদের দেশের মানুষ ক্রমান্বয়ে শিক্ষিত হচ্ছে , এটা ভীষণ ভালো একটা দিক । একটা জাতীর উন্নতির জন্য যে মৌলিক বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট, শিক্ষা তারমধ্যে অন্যতম ।  কিন্ত আমাদের শিক্ষা গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য চাকুরী আথবা ব্যবসা । আমরা আমাদের উত্তরসুরিদের মানুষিক ভাবে ছোটবেলা থেকে এমনই একটি ধারণা দিয়ে থাকি । কিন্ত কেউ তার ছোট ভাই কিংবা বাচ্চাকে কখনো কি বলেছি যে . . . . মন দিয়ে লেখাপড়া কর, একজন আধুনিক কৃষক হতে হবে ! !   এটা পাগলের প্রলাপ তাই না  ? কিন্তু একবার ভেবে দেখুন , যে আশা নিয়ে যাকে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুললেন ,আপনার সেই শিক্ষিত ছেলেটি এখন বেকার ঘুরে বেড়ায় । চাকুরী না পেয়ে এখন হতাশ । আপনার কাছে ব্যবসা করার জন্য টাকা চায় । কিন্ত আপনি সন্তান শিক্ষিত করতে গিয়েই সকল পুঁজি শেষ করেছেন । তাকে ব্যবসা করার জন্য দেবার মত পুঁজি এখন আপনার নেই । তাই এবার ফসলি জমি বিক্রয় করে হয় ব্যবসার জন্য আথবা বিদেশ পাঠাতে টাকা তুলে দিলেন সন্তানের হাতে । ব্যবসায় সফলতা আসলে ভলো , নয়তো সব শেষ । অথবা বিদেশ গিয়ে আপনার সন্তান কি কাজ করবে  ?  নিশ্চই যে কোন শ্রমিক এর কাজ । এবার একটু হিসেবটা
CAJ-চাষা একটি শব্দ,একটি স্বপ্ন : গালি থেকে গর্ব --- 'চাষা' শব্দের আদ্যপান্ত খুঁজতে গিয়ে আমার সীমাবদ্ধ জ্ঞানে যা বুঝলাম, তা হলো এর উত্পত্তি 'চাষ' শব্দ থেকে । চাষ +আ = চাষা । বাংলা অভিধানে এসেছে এভাবে , 'কৃষিকম্মকারী'-- কর্ষক, কৃষাণ , চাষা । ডিকশনারীতে এসেছে এভাবে , চাষা - বিশেষ্য পদ = যে চাষ করে , কৃষক ,মূর্খ,  অভদ্র । এছাড়া বাংলা প্রবাদ বাক্যে শব্দটির ব্যবহার রয়েছে , যেমন --- আশায় বাঁচে চাষা । এ শব্দটি আমার নামের সঙ্গে যুক্ত করার পরে অনেক বিজ্ঞ ব্ন্ধু আমায় ব্যক্তিগত ভাবে এই পরামর্শ দিয়েছেন যে , চাষা -- এটা কোন শব্দ নয় , বরং আপনি চাষী শব্দটা ব্যবহার করতে পারেন । আমি তাদের অবশ্য এই শব্দটি ব্যবহারের কারণ ব্যখ্যা করিনি, তবে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাল্লাহ্ । তবে সে প্রসঙ্গে পরে আসছি । চাষা-- শব্দটি আমাদের বিখ্যাত কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার একটি কবিতায় ব্যবহার করেছেন - 'সব সাধকের বড় সাধক , আমার দেশের চাষা' । আবার একই কবিতার অন্য অংশে --' চাষী ওরা নয়কো চাষা, নয়কো ছোটলোক' । এছাড়া আরো অনেক বিখ্যাত কবি, উপন্যাসিক, লেখক এই শব্দটি ব্যবহার করে

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কৃষির গুরুত্ব

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কৃষির গুরুত্ব --------- কৃষির সংজ্ঞাঃ– ভূমি বা জমি কর্ষন করে শস্যের অবাদ করাকে কৃষি বলে। তাছাড়া ভূমি কর্ষন, বীজ বপন, চারা রোপন, সার প্রয়োগ, পানি নিষ্কাশন, রোগ-বালাই ও পোকা মাকড় দমন, ফসল সংগ্রহ-সংরক্ষণ, পশুপালন, প্রজনন, পশুজাত দ্রব্যাদির সংগ্রহ-সংরক্ষণ, মৎস্য চাষ, মৎস্য সংগ্রহ-সংরক্ষণ, মাশরুম চাষ, মাশরুম সংগ্রহ ও বাজারজাত করন ইত্যাদির মাধ্যমে জীবিকা অর্জনের জন্য মানুষের যাবতীয় কর্ম প্রচেষ্ঠাকে কৃষি বলে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কৃষির গুরুত্বঃ- কৃষি আজ একটি সুসংগঠিত গতিশীল বিজ্ঞান।কৃষির উন্নতি সমগ্র মানব জাতির উন্নতি।কৃষির ধ্বংসের সাথে সাথে জাতির ধ্বংস হয়ে যাবে।বাংলাদেশে শতকরা ৮০ জন লোক কৃষির সাথে জড়িত।মানুষের সব ধরনের চাহিদা মেটাতে কৃষি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিম্নে কৃষির গুরুত্ব আলোচনা করা হলঃ- ১। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরন করে --- যেমন- (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা,শিক্ষা ও চিত্তবিনোদন) ইত্যাদি । ২। জ্বালানী প্রয়োজন মিটায় । ৩। শিল্পের কাঁচামাল তৈরিতে প্রয়োজন হয় । ৪। বেকার সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে কৃষির ভুম
আমাদের ব্যবসা হোক সেবার মনোভাবে , পরিপূর্ণ হালাল : ------ আমাদের দেশে সংগঠনের অভাব নেই . আর বেশীর ভাগ সংগঠনের শুরু হয় সেবা মূলক উদ্দেশ্যে . কিন্ত পরবর্তীতে যখন এরা প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় , সেবার কথা ভূলে গিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে . তবে সবাই যে এটা করে , তা বলা যাবে না . ব্যবসা সবাই করতে চায় . এটা দোষের কিছূ নয় . কিন্ত মানুষের হক বা অধিকার নষ্ট করে ব্যবসা , প্রতারণা মূলক ব্যবসা , ভোক্তা অধিকার ভুলে , রাষ্ট্র বা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ভুলে গিয়ে , শুধু নিজের লোভের আশায় ব্যবসা হলে সেটাই দোষের . সেবামূলক প্রতিষ্ঠান থেকেও ব্যবসা হচ্ছে . বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে । তাতেও অসুবিধা নাই । কিন্ত আমাদের মূল সমস্যা মানুষিকতায়. অতি লোভে বেশি মুনাফার আশায় আমরা মূলনীতি ভূলে, মানবতা ভুলে গিয়ে প্রতারনা শুরু করি . অল্প সময়ের মধ্যে কোটি কোটি টাকা রোজগার করার ধান্দা করি . আর এই লোভ - লালসা আমাদের মানুষ থেকে অমানুষ বানিয়ে দেয় . আমরা নিজের লাভের উদ্দ্যেশে মানুষ ঠকাই, প্রতারক হয়ে উঠি . ধর্ম বা মানবতা বোধের বিপক্ষে গিয়ে কোটি পতি হওয়া যায় . কিন্ত নিজেকে মানুষ হিসেবে অন্তত ভাবা যায় না
আত্মনির্ভরশীল হবার একটি পথ : পড়াশোনা শেষ করে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরা গতানুগতিক চাকরি বা ব্যবসার আশায় বসে থাকে. এ সকল চাকরি বা ব্যবসার আশায় না থেকে আমরা যদি নিজেরাই আত্মকর্মসংস্থানের জন্য কিছু গঠনমূলক কাজ করি তাহলে নিজেদের ভাগ্যের সঙ্গে সঙ্গে সমাজকেও আমরা কিছু উপহার দিতে পারবো. এজন্য দরকার আত্মবিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠা. সমাজে এমন অনেক ব্যতিক্রমী পেশা রয়েছে যেখানে একটু পরিশ্রম ও চিন্তাভাবনা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করলে সফলতা দরজায় এসে কড়া নাড়বে. আমরা চেষ্টা করি কিছু গঠনমূলক প্রজেক্টের ধারণা দিতে. আজকে এরকম একটি প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করা হলো. এটি হলো ডেইরি ফার্ম. বাংলাদেশে এখন সফল ডেইরি ফার্মের সংখ্যা অনেক. দিন দিন এর চাহিদা ও বাজার বাড়ছে. একদিকে যেমন এ থেকে আদর্শ খাবার হিসেবে দুধ, আমিষের চাহিদা মেটাতে মাংস এবং জ্বালানি হিসেবে গোবর ও জৈব সার পাওয়া যাবে, তেমনি অন্যদিকে এ খাত থেকে বেশ ভালো আয় করাও সম্ভব. তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অল্পবিস্তর জ্ঞান থাকতে হবে. সবচেয়ে ভালো হয় কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ নিলে. প্রাথমিক প্রয়োজন: যেকোনো কিছু গ