সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
CAJ - বিলুপ্তির পথে আমাদের আসল/আসিল মুরগীঃ আসিল অর্থাৎ আসল বা খাঁটি। এটি বাংলাদেশের একটি পুরাতন ও বিশুদ্ধ জাতের মুরগি। চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানা ও ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল থানায় এ জাতের মুরগি প্রচুর পাওয়া যেত। CAJ - আসিলের মূল বৈশিষ্ট্যঃ ১. এদের দেহের গঠন বলিষ্ঠ ও দৃঢ়, গলা ও পা দুটো লম্বা। ২. এদের মাথা বেশ চওড়া এবং মাথায় মটর ঝুঁটি থাকে। ৩. দেহে পালক কম থাকে ও পালকের রং সাধারণত লাল হয়। ৪. ঠোঁট বেশ বড় ও মজবুত। ৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী । CAJ-  আসিলের উপযোগীতাঃ এরা বেশ বড় হয়। এ জাতের মোরগ বেশ শক্তিশালী ও ভালো লড়াই করতে পারে। তাই অনেকে শখ করে এদের পালন করে থাকে। মাংস উৎপাদনের জন্য খুব শ্রেয় এবং এদের মাংস খুব সুস্বাদু। যেখানে উন্নত খাবার, ঔষধ দিয়ে ব্রয়লার মুরগিকে আমরা মাংস উৎপাদনে কাজে লাগাই, সেখানে স্বাভাবিক খাবার দিলে ১১০-১২০ দিনে একটি আসিল মোরগ ও মুরগীর ওজন যথাক্রমে ৩.৫ - ৪.০ এবং ২.৩- ৩.০ কেজি হয়। #কিন্তু দুখের বিষয়, বর্তমানে আমাদের দেশিয় এই জাতটির সংখ্যা ভীষণ ভাবে কমে গিয়ে বিলুপ্তির পথে। কম পাওয়া যায় বলে বাজার মুল্যও প্রচুর। আমরা একটু সচেতন ও আগ্রহী হলে এ
মাল্টা চাষঃ #CAJআধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ চাষ পদ্ধতি ------ সাইট্রাস ফসলের মধ্যে মাল্টা অন্যতম জনপ্রিয় ফল। বিশ্বের সর্বমোট উৎপাদিত সাইট্রাস ফসলের দুই তৃতীয়াংশ হলো মাল্টা। ভিয়েতনাম, উত্তর পশ্চিম ভারত ও দক্ষিণ চীন মাল্টার আদি উৎপত্তি স্থল। তবে বর্তমানে এই ফলটি বিশ্বের উষ্ণ ও অব--উষ্ণমণ্ডলীয় এলাকায় বেশী চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশে এই ফলটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং দিন দিন বেড়ে চলছে। কমলার তুলনায় এর অভিযোজন ক্ষমতা বেশী হওয়ায়, পাহাড়ি এলাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য এলাকায় সহজেই চাষ করা যাচ্ছে। এবং বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক এর চাষ করে সফল হচ্ছেন। উন্নত জাত ও আধুনিক চাসাবাদ পদ্ধতি ব্যবহার করে এর উৎপাদন বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব। জলবায়ু ও মাটিঃ কম বৃষ্টিবহুল সুনির্দিষ্ট গ্রীষ্ম ও শীতকাল অর্থাৎ শুষ্ক ও উষ্ণ জলবায়ু মাল্টা চাষের জন্য সবচেয়ে বেশী উপযোগী। বায়ুমণ্ডলের আদ্রতা ও বেশী বৃষ্টিপাত মাল্টা ফলের গুনাগুণকে প্রভাবিত করে। বাতাসে অধিক আদ্রতা ও বৃষ্টিপ্রবন এলাকায় মাল্টার খোসা পাতলা হয় এবং ফল বেশী রসালো ও নিন্ম মানের হয়। শুষ্ক আবহাওয়ায় ফলের মান ও স্বাদ উন্নতমানের হয়। আদ্র জলবায়ুতে রোগ ও ক্ষতিকর পাকার আক্রমণ বেশী হয়। মাল
টবে সবজি ও ফল চাষঃ----- CAJ মন্তব্য : বাংলাদেশের জনসংখ্যা দিনদিন যে হারে বাড়ছে সে হারে বাড়ছে না ফসলি জমি, বরং ক্রমশ কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে । ফলে স্থানীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করার অন্য কোন বিকল্প নেই। সেলক্ষ্যে বাড়িতে টবে সবজি ও ফুল-ফলের চাষ ইদানিং বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে চাষের অভাবে ভাল ফলন পাওয়া যায় না । তবে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খুব সহজে টবে সবজি ও ফল চাষ করা যায় এবং আশানুরূপ ফলনও উতপাদন সম্ভব। বাড়ির ছাদে বা কোন সুবিধাজনক স্থানে টবে বিভিন্ন সবজি ও ফলের চারা লাগিয়ে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা সহজেই পূরণ করা যায়। টবে আবাদ যোগ্য সবজি ও ফল: যেসব সবজি সংখ্যায় কম লাগে এবং একবার লাগিয়ে ক্রমাগত অনেকদিন ধরে খাওয়া যায় সেই সমস্ত সবজিরই আবাদ টবে করা উচিত। টবে আবাদযোগ্য সবজি টমেটো, বেগুন, মরিচ, শসা, ঝিংগা, মিষ্টি কুমড়া, মটরশুটি, কলমি শাক, লাউ, পুইশাক, লেটুস, ধনেপাতা, পুদিনা, থানকুনি, তুলসী ও ইত্যাদি। টবে আবাদ যোগ্য ফল হলো পেঁপে, আম, লিচু ,আমড়া, পেয়ারা, ডালিম,কদবেল, কামরাঙা, করমচা, জামরুল  ইত্যাদি। টবে সবজি চাষ পদ্ধতি: গাছের আকার ও বৈশিষ্ট
ফলগাছ রোপণে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় --- CAJ ভূমিকা : সবুজের দেশ বাংলদেশ. তাই জন্মসূত্রেই মাটির সঙ্গে, গাছের সঙ্গে রয়েছে আমাদের নাড়ীর টান . গ্রীষ্মের শেষে প্রথম বৃষ্টি হলেই আমরা গাছ রোপণের কথা চিন্তা করি। ভাবি, বাড়ির আশপাশের ফাঁকা জায়গাটা এবার গাছে গাছে ভরিয়ে দেবো। বাদ যাবে না ঘরের বারান্দা কিংবা ছাদও। অনেকের চিন্তাটা মাথার ভেতরেই ঘুরপাক খেতে থাকলেও, অনেকে আবার বাস্তবায়ন করতে মাঠেও নেমে পড়ি। প্রিয় গাছের চারা বা কলম খুঁজতে ছুটে যাই সরকারি বা বেসরকারি নার্সারিতে। কাংখিত গাছের চারা বা কলম পেয়েও যাই। তাৎক্ষণিকভাবে রোপণের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় লাগিয়েও ফেলি। লাগিয়েই ভাবি, যাক কিছু দিনের মধ্যেই জায়গাটা সবুজে সবুজে ভরে যাবে। কিন্তু না, ভাবনার সাথে বাস্তবতাটা ঠিক মেলে না। ক’দিন পরেই দেখা যায় চারা বা কলম সঠিকভাবে বাড়ছে না। শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। কী যে হলো চারাগুলোর। চারা বা কলমের এই সমস্যাটা কিন্তু কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখলেই দূর করা যায়। তাহলে চলুন কারণগুলো একে একে জেনে নেয়া যাক।  লক্ষণীয় : গ্রীষ্মের শেষে প্রথম বৃষ্টি হলেই গাছের চারা বা কলম রোপণ করা ঠিক নয়। একটু অপেক্ষা করতে হ
ফলের বাগান করার আগে ও পরে যেটা জরুরী----- ফলের বাগান করার ইচ্ছে অনেকেরই থাকে। আর এখন বর্ষা মৌসুম এর শুরু । গাছ লাগানোর উত্তম সময় । কিন্তু  ফলের বাগান করার আগে কিছু প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে ভবিষ্যতে লাভের মুখ দেখা সহজ হবে। শুধু তাই নয়, দেশে ফলের বাগান বাড়লে বিদেশ থেকে ফল আমদানিও কমবে। ফলের বাগান করে আপনিও বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন(CAJ)। বাগানের সার্বিক সুরক্ষার খাতিরে ভূমি প্রস্তুতকরণের সঙ্গে সঙ্গে বাগান এলাকার চারদিকে স্থায়ীভাবে বেড়া, এমনকি পাকা দেয়াল নির্মাণের কাজটি সারতে পারেন। প্রতি চারার চারদিক ঘিরে বাঁশের বেড়া দিলে তাত্ক্ষণিকভাবে গরু-ছাগলসহ অন্যান্য পশুর উপদ্রব থেকে গাছ রক্ষা করা যেতে পারে। কিন্তু মিশ্র ফল-বাগান হচ্ছে একটি দীর্ঘকালীন প্রকল্প। তাই স্থায়ী বা দীর্ঘ মেয়াদী নিরপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী। বিভিন্ন ধরনের উপদ্রব থেকে বাগানকে রক্ষার জন্য চারদিকে বেড়া দিতে হয়। স্থায়ী বেড়া ইট-নির্মিত, এবং  অস্থায়ী বেড়া বাঁশ দিয়ে তৈরি করা যায় ।হেজ বা জীবন্ত বেড়া গাছ দিয়ে তৈরি করতে পারেন। জীবন্ত বেড়া দীর্ঘস্থায়ী হয়। স্বল্প-ব্যয়ে এটি সম্পন্ন করা যাবে।
আমন ধানে সার ব্যবস্থাপনা ও অধিক ফলনে করণীয়: (CAJ ১ম পর্ব ) আমন ধানে সুষম সার ব্যবস্থাপনা: আমন মৌসুমে ধানের ফলন বাড়ানোর জন্য সুষম সার ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা জরুরি। আজকের নিবন্ধে আমন ধানের সুষম সার ব্যবস্থাপনা এবং পরিচর্যাগত কয়েকটি নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হলো। বীজতলায় সার ব্যবস্থাপনা: পরিমিত ও মধ্যম মাত্রার উর্বর মাটিতে বীজতলার জন্য কোনো সার প্রয়োগ করতে হয় না। তবে নিম্ন, অতিনিম্ন অথবা অনুর্বর মাটির ক্ষেত্রে গোবর অথবা খামারজাত সার প্রতি শতকে ২ মণ হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে। বীজতলায় চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতি শতকে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার চারা গজানোর ২ সপ্তাহ পর মাটিতে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া প্রয়োগের পরও বীজতলায় চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতি শতকে ৪০০ গ্রাম জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে। মূল জমিতে সার ব্যবহার মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি:  আমন ধানের অধিক ফলন পেতে শুধু ইউরিয়া নয়, দরকার সঠিক সময়ে সুষমমাত্রায় বিভিন্ন জৈব ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করা অপরিহার্য। রাসায়নিক সারের মধ্যে ডাই এমোনিয়াম ফসফেট, ট্রিপল সুপার ফসফেট, মিউরেট অব পটাশ, জ
গ্রিন সুপার রাইস--বিজ্ঞানীদের আর এক স্বপ্নের ধান: এক সবুজ বিপ্লবের লক্ষ্যে এক দল বিজ্ঞানী শুরু করেছিলেন নতুন এ ধান সৃষ্টির গবেষণা। মূলত এ গবেষণার নেতৃত্ব ছিলেন এক দল চীনা বিজ্ঞানী। আর প্রকল্পের নেতৃত্ব ছিল চাইনিজ একাডেমি অব এগ্রিকালচারাল সাইন্সেন্স নামক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা। পরে ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ময়মনসিংহে অবস্থিত বিনায় (বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট) এর গবেষণা কাজ শুরু হয়। গবেষণা শেষে ধরা দিয়েছে সফলতা। আর এর মাধ্যমে দেশে কৃষিতে যুক্ত হলো আমনের নতুন জাত গ্রিন সুপার রাইস বা বিনা ধান-১৭ জিএসআর। এ ধানের উদ্ভাবক বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ড. মীর্জা মোফাজ্জল ইসলাম অপু। আমন মৌসুমে এ ধানের আবাদ দেশের খাদ্য উৎপাদনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। মূলত গ্রীন সুপার রাইস নিয়ে প্রথম গবেষণা শুরু হয় চীনে। এরপর পাঁচ বছর আগে ইরির (ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট) মাধ্যমে ময়মনসিংহে অবস্থিত বিনায় এর গবেষণা শুরু হয়। গবেষণা শেষে দেশের ১০টি কৃষি অঞ্চলের মাঠে এটি চাষাবাদ করে সফলতা আসে। ২০১৪ সালে মাঠপর্
লাইলাতুল ক্বদর : আজ শেষ হয়ে যাচ্ছে ২০ শে রমজান । বাকি রয়েছে ১০ দিন । এই দশদিনেই লুকিয়ে আছে একটি বিশেষ রাত -(লাইলাতুল-ক্বদর)। যে রাতটি হাজার মাসের চেয়ে ও উত্তম। অর্থাৎ এক হাজার মাসব্যাপী ইবাদত করলে যে সওয়াব অর্জন করবে, এই একটি মাত্র রাত্রে সঠিকভাবে ইবাদত করতে পারলে তারচেয়ে ও বেশী নেকী ও কল্যানের অধিকারী হয়ে যাবে।এই রাতের ইবাদত সমূহ হচ্ছেঃ সালাতুল তারাবীহ, তাহাজ্জুদ, কোরআন তেলাওয়াত, যিকির,দোয়া ও ইস্তিগফার। হযরত মা আয়েশা (রাঃ) প্রশ্ন করেছিলেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ!  আমি লাইলাতুল-ক্বদর পেয়ে গেলে কোন দোয়াটি বেশী বেশী করে আমল করবো? রাসূল(সাঃ) বললেন পড়ঃ ["আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নী"].... অর্থাৎঃ হে আল্লাহ! আপনি অনেক বেশী ক্ষমাকারী। ক্ষমা করা পছন্দ করেন, আমাকে ক্ষমা করে দিন... ________♻{ আহমদ, তিরমীযি, ইবনে মাজাহ্ } ________ [ শবে কদরের রাত হাজার                     মাসের চেয়ে ও উত্তম ]______ __________♲♲{সূরা ক্বদরঃ ০৩}            শবে কদরেরের কিছু নির্দেশন হলোঃ                        ============ ☛ রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না ☛ মৃদুমন্দ ব
ব্রয়লার বা লেয়ার মুরগি পালন ব্যবস্থাপনাঃ ( ২য় পর্ব ) মুরগীর বাসস্থান---- মুরগির ঘরের আবশ্যকতাঃ ১. প্রতিকুল আবহাওয়া, বন্যপ্রাণী ও দুস্কৃতিকারী হতে রক্ষা করতে হবে; ২. সুস্বাস্থ্যের অনুকুল ও আরামদায়ক পরিবেশ রাখতে হবে; ৩. বেশি উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। আদর্শ ঘরের গুণাগুণঃ ১. খোলা মেলা থাকতে হবে; ২. আলো ও বাতাস চলাচলের সুযোগ থাকতে হবে; ৩. প্রয়োজনীয় আর্দ্রতাযুক্ত হতে হবে; ৪. সহজে ঘরের গ্যাস বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে; ৫. পরিচ্ছন্ন পরিবেশ হতে হবে। ঘরের স্থান নির্বাচনঃ ১. বন্যার পানি ওঠে না এমন উঁচু ভূমি; ২. জনবসতি হতে দূরে; ৩. হাট-বাজার, কল-কারখানা হতে নিরাপদ দূরে; ৪. যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল; ৫. উন্নত বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা; ৬. নিকটতম স্থানে বাজারজাতকরণের সুবিধা। সুস্থ পরিবেশের গুরুত্বঃ ১. মুরগির স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য; ২. উৎপাদন ঠিক রাখার জন্য; ৩. পালক দ্বারা শরীর পরিপূর্ণ রাখতে; ৪. খাদ্য ও পানি গ্রহণ স্বাভাবিক রাখার জন্য। অসুস্থ্য পরিবেশের বিপদঃ ১. খাদ্য ও পানি পান স্বাভাবিক থাকে না; ২. বিপাকীয় কার্যাবলীতে বিঘ্ন ঘটে; ৩. ডিমের খোসা পাতলা হয়; ৪. শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক মতো হয়
ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগি পালন ব্যবস্থাপনা---------(CAJ ১ম পর্ব ) মুরগির জাত বা ধরনঃ ব্রয়লার মুরগি কি----? ব্রয়লার হলো দ্রুত সময়ে ও অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য এক বিশেষ ধরনের মুরগি, যাদের দেহের ওজন ৩০ থেকে ৩৫ দিনে দেড় থেকে পৌনে দু’কেজি হয়। ঐ সময়ে এরা এক কেজি দেহের ওজনের জন্য মোটামুটি দেড় কেজি খাবার খাবে। এদের মাংস খুব নরম ও সুস্বাদু। হাইব্রিড ব্রয়লারঃ--- ভারী ওজন বিশিষ্ট বিভিন্ন মোরগ-মুরগির মধ্যে মিলন ঘটিয়ে, ছাটাই বাছাই করে দীর্ঘ গবেষণার পর কাঙ্খিত বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে অধিক মাংস উৎপাদনশীল হাইব্রিড ব্রয়লার তৈরি করা হয়। ব্রয়লার জাতের নামঃ--হাইব্রো পিএন, হাববার্ড ক্লাসিক, কব ৫০০, হাইব্রো পিজি + আরবার একর ও ষ্টারব্রো, ইত্যাদি। ব্রয়লার মুরগি নির্বাচনঃ--- গুণগতমানের ব্রয়লার বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে, ব্রয়লারের জন্য খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে এমন মুরগির জাত সঠিক ভাবে নির্বাচন করতে হবে। কারণ সব মুরগি সমান ভাবে ওজন বাড়ে না। লেয়ার মুরগির সংজ্ঞাঃ-- লেয়ার মুরগি হলো ডিম উৎপাদনের জন্য বিশেষ ধরনের মুরগি, যাদেরকে একদিন বয়স থেকে পালন করা হয়, যারা ১৯ থেকে ২০ সপ্তাহ বয়সে ডিম দিতে শুরু করে এবং উৎপাদনকাল ৭২ থেক
মুরগীর টিকাদান কর্মসূচি ------- আমাদের দেশে কিছু মানুষ আবেগের বশে কৃষি কাজে আসে । কোন রকম তথ্য - উপাত্ত, অভিজ্ঞ্যতা ছাড়াই খামার প্রতিষ্ঠা করে ফেলে ।এবং খামার প্রতিষ্ঠার কোন নিয়মের তোয়াক্কা করে না । মানে না অভিজ্ঞদের পরামর্শ। যার ফল বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই লোকসান । খামার স্থাপনের আগে তার ঝুঁকি ও নিরাপত্তা সম্পর্কে জেনে শুনে শুরু করলে, লাভের সম্ভবনা বেড়ে যায় । টিকা প্রদান ও তার গুরুত্বঃ টিকা প্রদান কর্মসূচি অনুসারে বিভিন্ন রোগের টিকা প্রদান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয় এবং সংক্রামক রোগ হতে মুরগিকে রক্ষা করা যায়। টিকাদান ফলপ্রসূ হলে রোগের প্রাদুর্ভাব খুব কম হবে এবং মৃত্যুর হার সহনীয় পর্যায় রাখা যাবে। লেয়ার মুরগির টিকাঃ মারেক্স, রাণীক্ষেত, গামবোরো, ব্রংকাইটিস, বসন্ত, সালমোনেলা, করাইজা । ব্রয়লার মুরগির টিকাঃ মারেক্স, রাণীক্ষেত, গামবোরো টিকা প্রদানের পূর্বে সতর্কতাঃ * মুরগি ধরার সময় যত্ন সহকারে ধরতে হবে । * মুরগির যে কোন ধরনের ধকল মুক্ত অবস্থায় টিকা প্রয়োগ করতে হবে । * অসুস্থ মুরগিকে টিকা দেয়া যাবে না । * টিকা প্রদান উপকরণ ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে । * আবহাওয়া যখন
রাজহাঁস পালন ও তার পরিচর্যা -------- কিছু গৃহপালিত পাখি আছে যাদের নিয়ে সরকারি, বেসরকারিভাবে বেশ ঢাক-ঢোল পেটানো হয় তার সুখ্যাতির ও গুণাগুণের জন্য।’মানুষ ও কাকে নিয়ে গেল কান’ শুনেই নিজের কানে হাত না দিয়ে কাকের পেছনে ছুটলো। ফলে কান যেখান থাকবার সেখানেই রইলো। শুধু কাকই যা পালিয়ে গেলো। আবার কিছু কিছু পশুপাখি আছে যাদের সম্পর্কে সরকার সব সময় মুখ ঘুরিয়ে থাকে। পিঠে নিয়েছি কুলো। যা করবার করো!” ভাব নিয়ে মুখ গোমড়া করে থাকে। কিন্তু ঐ সব উপকারী গৃহপালিত পশুপাখি কারোর তোয়াক্কা না করে ঠিক নিজের কাজ করে যায়। রাজ হাঁস এই ধরনের একটি পাখি। এ জাতের রাজ হাসে ও আমাদের দেশে খুবই প্রচলিত।রাজহাঁসের সেবামূলক কাজ -- কবি বলেছেন- ”কোথায় জলে মরাল চলে। মরালী তার পাছে রে-” রাজহাঁস শুধু শোভাবর্ধন করে না। বাড়ি-ঘর পাহারা দেয়, চোর তাড়ায়। ঘাস কাটার মেশিনের বদলে রাজহাঁস পুষুন, ঘাস সমান করে খেয়ে নেবে। পোকা-মাকড় খেয়ে জায়গা-জমি ঝকঝকে, তকতকে করে রেখে দেবে।রাজহাঁসের মাংস খাওয়া হয়। ওর পলক দিয়ে লেপ-তোষক, বালিশ তৈরি হয়।ডিম? বছরে খুব কম ডিম দেয়। এই কারণে রাজহাঁস পালনকারী তার ডিম না খেয়ে সেটা থেকে
নড়াইলে ব্যক্তি উদ্যোগে কুচিয়া (ELL FISH) চাষঃ---- মো. ফায়েজুর রহমান বুলবুল। পেশায় একজন মৎস্যচাষী। নতুন কোনো কিছু উদ্ভাবনে তার জুড়ি নেই। নতুন কোনো চাষ কিংবা ফসল দেখলেই তিনি তা করার চেষ্টা করেন। অত্যন্ত পরিশ্রমী এই লোকটির সাথে ২০১৩ সালের দিকে যশোরে জাপানি এক নারীর পরিচয় হয়, যিনি বাংলাদেশে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতে এসে বাগেরহাটে কাঁকড়ার চাষ করেছিলেন। কিন্তু নড়াইলের মাটি আর পানি কাঁকড়া চাষে উপযোগী নয়, তাই বুলবুলকে কুচিয়া চাষের পরামর্শ দেন। আশেপাশে কোথাও কুচিয়া চাষের ব্যাপারে কোনো পরামর্শ না পেয়ে তিনি যোগাযোগ করেন ময়মনসিংহ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটে। সেখান থেকেও ভালো কোনো পরামর্শ পেলেন না। এভাবে কেটে যায় আরও একটি বছর। অবশেষে ২০১৪ সালের নভেম্বরে ক্যাটালিস্ট নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের একটি কৃষি উদ্যোক্তা দলের সঙ্গে ভিয়েতনামে ক্রসব্রিডিং মৎস্যচাষসহ নানা গবেষণামূলক কাজ দেখতে যান। ভিয়েতনামের একটি মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে কুচিয়া চাষ দেখে নিজে এই চাষ করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ হন। ওই ইনস্টিটিউট থেকে কিছু প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিজের মৎস্য হ্যাচা
আশা জাগানিয়া কুঁচে মাছ :-------- বগুড়ার সান্তাহারে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট প্লাবনভূমি উপকেন্দ্রে নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে চলছে কুঁচে প্রজনন কার্যক্রম। বিশ্বের অনেক দেশেই সুস্বাদু ও উপাদেয় খাবার হিসেবে কুঁচে বা কুঁচিয়া খুবই জনপ্রিয়। এ কারণে আমাদের দেশে প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা কুঁচে ধরে সেসব দেশে রপ্তানি করা হয়। শুধু সেই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকে টার্গেট করে সরকারিভাবে কুঁচে চাষের গবেষণা শুরু হয়। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) ময়মনসিংহের স্বাদুপানি কেন্দ্র এবং বগুড়ার সান্তাহার প্লাবনভূমি উপকেন্দ্রে, নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে কুঁচে মাছ চাষের গবেষণা শুরু হয়েছিল ২০১১-১২ অর্থবছরে। তিন বছর প্রচেষ্টার পর ২০১৫ সালে সেই গবেষণায় প্রাথমিক সফল্য এসেছে। এখন বাণিজ্যিকভাবে কুঁচে চাষ সম্ভব। এর ফলে প্রাকৃতিক জলাধারের কুঁচে নিধন বন্ধ হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে। পাশাপাশি বিপন্ন প্রজাতির এই জলজপ্রাণী (মাছ) চাষের মাধ্যমে প্রজাতিটি টিকিয়ে রাখাসহ বৈদেশিক অর্থ উপার্জন করে স্বাবলম্বী হতে পারবে চাষিরা। লাভোবান হবে দেশ। বিএফআরআই সূত্র জানায়, কুঁচে দেখতে অনেকটা সর্পিলাকৃতির, বাইন বা বাইম
আমার সোনালী পালন ও বাস্তব অভিজ্ঞতা:--- ব্যক্তি জীবনে আমি ব্যর্থ একজন মানুষ, জীবনে ভালো বা মন্দ কোন কাজেরই সহজ সফলতা আমার ইতিহাসে নাই , টেনেটুনে জোড়াতালি দিয়ে কোনভাবে চলে যাচ্ছি. তারপরও মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে লাখো শুকরিয়া. ব্রয়লার পালনে আমার অনীহা , তাই চাকুরী ছেড়ে বাড়ি এসে প্রথম মাত্র ৪০০ পিস সোনালী দিয়ে ফার্ম শুরু. ৬৫-৭০ দিনে ৩০০ পিস বিক্রয় করে দিলাম. দাম বেশ ভালো ছিলো , ২০৫ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রয় করেছি. আমার ডিলার বাচ্চা -খাদ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে বিক্রয় করা,সকল দায়িত্ব পালন করেছে. আমি অবশিষ্ট ১০০ মুরগী বিক্রয় করতে রাজী হলাম না . ডিলারকে বললাম, এগুলো থাক, দেখি লেয়ার হিসেবে পালন করে. ডিলার আমাকে নিরুত্সাহিত করলো এই বলে , লেয়ার হিসেবে পালন করে এথেকে লাভ হবেনা. যাহোক হাল ছাড়লাম না এই ভেবে যে , একশত মুরগীতে লোকসান হলেই বা কত হবে . আমি রেডীফিডের পাশাপশি একবেলা ধান খাওয়ানোর অভ্যাস করলাম. ১৩৮ দিনে ডিম দেয়া শুরু হলেও ছয়মাসে সর্বোচ্চ ৭৮% ডিম পেলাম. এখন বয়স আট মাস. ডিমের গড় প্রাপ্তি ৭৫% বহাল. প্রতি মুরগীর গড় ওজন ১৮০০ গ্রাম. হিসেব মিলিয়ে যা বুঝলাম, সেটা আপনাদের সঙ্গে শেয়া
وَاسْتَعِينُواْ بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلاَّ عَلَى الْخَاشِعِينَ ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব। ( সূরা বাকারাহ , আয়াত -৪৫ )
মাছের রোগ বালাই ও প্রতিকার----- মাছের রোগের নাম,আক্রান্ত মাছের প্রজাতি,রোগের লক্ষন ও কারণ,চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ,প্রতিষেধক ও প্রতিকার সম্পর্কে নিন্মে কিছু বর্ণনা দেয়ার চেষ্টা করছি------ #ছত্রাক রোগ (সেপ্রোল্গেনিয়াসিস)----আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - রুই জাতীয় ও অন্যান্য চাষ যোগ্য মাছ। রোগের লক্ষন ও কারণ-----আক্রান্ত মাছের ক্ষতস্থানে তুলার ন্যায় ছত্রাক দেখা দেয় এবং পানির স্রোত যখন স্থির হয়ে যায় কিংবা বদ্ধজলায় অথবা হ্যাচারী ট্যাংকে যেখানে অনিষিক্ত ডিমের ব্যাপক সমাগম ঘটে উহাতে ছত্রাক রোগ দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করে। এমনি ধরনের প্রাকৃতিক জলাশয়ে প্রায় শতকরা ৯৮ ভাগ মাছের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেপ্রোলেগনিয়া প্রজাতি এ রোগের কারণ। চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ-----ক. হ্যাচারিতে লালনকৃত ডিমগুলোকে ২৫০ পিপিএম ফরমালিন দিয়ে ধৌত করা। খ. খাচা এবং পেনে চাষকৃত আক্রান্ত মাছগুলোকে শতকরা ৩-৫ ভাগ ফরমালিন দিয়ে ২-৩ মিনিট গোসল দেয়া। গ. বিকল্প হিসাবে শতকরা ৫ ভাগ লবন পানিতে গোসল দেয়া যেতে পারে। প্রতিষেধক/প্রতিকার----ক. হ্যাচারীর প্রতিটি যন্ত্রপাতি ও ট্যাংক সম্পূর্ণরুপে পরিষ্কার করার পর শতকরা ১০ ভাগ ফরমালিন পানি দিয়ে ধৌত