সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

CAJ-গাভী পালন পদ্ধতি :

CAJ-গাভী পালন পদ্ধতি : উতপাদনশীল গাভী নির্বাচন : বাংলাদেশের কিছু কিছু অঞ্চলে বিশেষ উৎপাদনশীল গাভী পরিলক্ষিত হয়। যেমনঃ চট্টগ্রামের লাল গরু বা রেড চিটাগাং , পাবনা জেলার গরু ও ফরিদপুর জেলার গরু। তবে উতপাদনশীল গাভী নির্বাচনে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরী, সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হলো : মাথাঃ মাথা হালকা ও ছোট আকারের হবে। কপাল প্রশস্ত, চোখ উজ্জ্বল হবে। অধিক খাদ্য গ্রহণে আগ্রহী হবে। দৈহিক আকারঃ দেহের সামনের দিক হালকা, পিছনের দিক ভারী ও সুগঠিত হবে, অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সুসংগঠিত হবে। দৈহিক আকার আকর্ষণীয় হবে। শরীরের গঠণ ঢিলা হবে। পাঁজরঃ পাঁজরের হাঁড় সুস্পষ্ট অনুভব করা যাবে। হাঁড়ের গঠন সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। চামড়াঃ চামড়া পাতলা হবে। চামড়ার নীচে চর্বির বাহুল্য থাকবে না। লোম মসৃন ও চকচকে হবে। ওলানঃ গাভীর ক্ষেত্রে ওলান বড় ও সুগঠিত হবে ও দেহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। পিছনের দুই পায়ের মধ্যবর্তী স্থান প্রশস্ত হবে। বাটগুলি একই আকারের হবে। ৪টি বাট সমান দূরত্বে ও সমান্তরাল হবে। দুগ্ধশিরাঃ দুগ্ধ শিরা মোটা ও স্পষ্ট হবে। তলপেটে নাভীর পাশ দিয়ে দুগ্ধশিরা আঁকাবাঁ
সালমোনেলোসিস/ফাউল টাইফয়েড ও টিকা: (CAJ-SALMONELLOSS/FOWL TYPHID & VACCINE) সালমোনেলোসিস/ফাউল টাইফয়েড গৃহ-পালিত মোরগ-মুরগির একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। এ রোগ তীব্র ও দীর্ঘ মেয়াদী (Chronic) প্রকৃতির হয়ে থাকে। তীব্র প্রকৃতির রাগে মোরগ-মুরগির উচ্চ তাপমাত্রা ও হঠাৎ মৃত্যু হয়। দীর্ঘ মেয়াদী (Chronic) মোরগ-মুরগির খাদ্য গ্রহণে অনিহা, ঝুটি বিবর্ণ হওয়াসহ সবুজ বা হলুদ বর্ণের ডায়রিয়া দেখা দেয়। যা মলদ্বারের আশপাশের পালকে লেগে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত পাখির ওজন ও ডিম উৎপাদন দ্রুত কমে যায়। বাচ্চা মোরগ-মুরগির মৃত্যুর হার অত্যাধিক হয়। আক্রান্ত মোরগ-মুরগির মলমূত্র দিয়ে, দূষিত খাদ্য ও পানিয় দিয়ে সুস্থ পাখিতে রোগ সংক্রমিত হয়। বাহক মুরগির ডিমের মাধ্যমে বাচ্চাতে এ রোগের সংক্রামণ হয়। মাষ্টার ॥সীড : সালমোনেলা গেলিনেরাম- এর ফিল্ড ষ্ট্রেইন ও 9 R ষ্ট্রেইন। অরিজিন : প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মহাখালী, ঢাকা। ব্যবহার বিধি : ৬ সপ্তাহের উর্ধ্ব বয়সী মোরগ-মুরগিতে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। ১ম ডোজের ৩০ দিন পর ২য় ডোজ ও ৬ মাস পর বুষ্টার ডোজ দিতে হয়। গলার চামড়ার নীচে ০.৫ এম এল করে ইনজেকশন দিতে হয়। সরবরাহ : প্রতি
ফাউল পক্স রোগ ও টিকা: ( CAJ-FOWL POX MALADY & VACCINE ) ফাউল পক্স মোরগ-মুরগির ভাইরাসজনিত একটি রোগ। আক্রান্ত মোরগ-মুরগির ঝুটি, কানের লতি, পা, পায়ের আঙ্গুল এবং পায়ুর চার পার্শ্বে বসন্তের ফুসকুড়ি দেখা যায়। চোখের চারপাশে এই ক্ষত সৃষ্টির ফলে চোখ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এই রোগে বাচ্চা মোরগ-মুরগির বয়স্ক মোরগ-মুরগির অপেক্ষা অধিক সংবেদনশীল। মাষ্টার সীডঃ বোডেট (Buddett)  ষ্ট্রেইন। অরিজিনঃ মালয়েশিয়া। ব্যবহার বিধিঃ প্রথমে টিকার ভায়ালে ৩ এম এল পরিস্রুত পানি নিয়ে ভাল করে মিশাতে হবে। এই টিকা প্রয়োগের জন্য বিশেষ ধরনের সুঁজ (Biforked Pricking Needle) বা বিকল্প হিসাবে ইনজেকশনের সুঁচের অর্ধাংশ ডুবিয়ে ২১ দিনের বা তদুর্ধ বয়সী মোরগ-মুরগির পাখার ত্রিকোণাকৃতি বিহীন চামড়ায় একাধিকবার খুঁচিয়ে প্রয়োগ করতে হয়। এই টিকা আজীবনের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে। মা থেকে মাতৃএন্টিবডি বাচ্চায় সংঞ্চয়িত হয়। এই টিকা একবার (বুষ্টার ডোজসহ) প্রয়োগই যথেষ্ট। পুনরায় টিকা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে না। সরবরাহ : প্রতি ভায়ালে ২০০ মাত্রা টিকা। মূল্য : প্রতি ভায়াল ৪০ টাকা। প্রাপ্তিস্থান : উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম
মুরগির রাণীক্ষেত রোগ ও  টিকা: [ CAJ--RANIKHET DISEASE & VACCINE (RDV) ] মোরগ-মুরগির সংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে রাণীক্ষেত রোগ বা নিউক্যাসেল ডিজিজ (Newcastle Disease) একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। এ রোগের জীবাণু আক্রান্ত মোরগ-মুরগির শ্বাসতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রের আক্রান্ত করে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ প্রকাশ করে। পরিপাকতন্ত্র আক্রান্তের ফলে মোরগ-মুরগি সাদা চুনের ন্যায় অথবা সবুজ বর্ণের পাতলা মল ত্যাগ করে এবং স্নায়ুতন্ত্র আক্রমনের ফলে মোরগ-মুরগির ঘাড় বাঁকা হয়ে যায়। এ রোগের সুপ্তিকাল ৩-৬ দিন। মাষ্টার সীডঃ মুক্তেসর এম (M) ষ্ট্রেইন । অরিজিনঃ Food and Agricultural Organization (FAO) . ব্যবহার বিধিঃ প্রতি ভায়ালে ০.৩ এম এল টিকা হিমশুস্ক অবস্থায় থাকে। প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে। টিকার মিশ্রণ তৈরীর জন্য জীবাণুমুক্ত ও পরিস্কার ঢাকনাযুক্ত পাত্র, সিরিঞ্জ নিডিল পরিস্রুত পানি প্রয়োজন। প্রথমে পাত্রে ১০০ এম এল পরিস্রুত পানি মেপে নিতে হবে। তারপর সিরিঞ্জের সাহায্যে ১০০ এম এল থেকে কিছু পরিস্রুত পানি ভায়ালে ঢুকিয়ে নিতে হবে। টিকা পুরোপুরি গুলানোর জন্য শিশিটি আস্তে আস্ত
বাচচা মুরগির রাণীক্ষেত রোগ ও টিকা: [ CAJ--BABY CHICK RANIKHET DISEASE & VACCINE (BCRDV) ] মোরগ-মুরগির সংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে রাণীক্ষেত রোগ বা নিউক্যাসেল ডিজিজ (Newcastle Disease) একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত সংক্রামক ব্যাধি। এ রোগের জীবাণু আক্রান্ত বাচ্চা মোরগ-মুরগির শ্বাসতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত করে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ প্রকাশ করে। পরিপাকতন্ত্র আক্রান্তের ফলে মোরগ-মুরগি সাদা চুনের ন্যায় অথবা সবুজ বর্ণের পাতলা মল ত্যাগ করে। এ রোগের সুপ্তিকাল ৩ থেকে ৬ দিন। মাষ্টার সীডঃ লেন্টোজেনিক এফ (F) ষ্ট্রেইন। অরিজিনঃ Food and Agricultural Organization (FAO) ব্যবহার বিধিঃ প্রতি ভায়ালে ০.৬ এম এল টিকা হিমশুস্ক অবস্থায় থাকে। এ টিকা প্রদানের জন্য ৬ এম এল পরিষ্কার পানি, জীবাণুমুক্ত পরিস্কার মিশ্রণ পাত্র, সিরিঞ্জ নিডিল ও আইড্রপার প্রয়োজন হয়। সিরিঞ্জের সাহায্যে ৬ এম এল পরিস্রুত পানির কিছুটা অংশ নিয়ে টিকা ভায়ালে প্রবেশ করাতে হবে। টিকা গলানোর জন্য ভায়াল ধীরে ধীরে নাড়তে হবে এবং পুরো মিশ্রণটি সিরিঞ্জে টেনে নিতে হবে। এরপর পরিস্কার জীবাণুমুক্ত আই ড্রপারের সাহায্যে মিশ্রিত টিকা নি
মারেক্স রোগ ও টিকা: ( CAJ-MAREK’S DISEASE & VACCINE ) মারেক্স ডিজিজ (Marek’s Disease) মোরগ-মুরগির একটি লিমফো প্রোলিফারেটিভ (Lympho-Proliferative) রোগ। পেরিফেরাল স্নায়ু, যৌন গ্রন্থি, আইরিস, বিভিন্ন অঙ্গসমূহ, পেশী ও ত্বকে এককেন্দ্রীক কোষের অনুপ্রবেশ (Infiltration) এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য। পেরিফেরাল স্নায়ুতে এককেন্দ্রীক কোষের অনুপ্রবেশের কারণে স্নায়ু স্ফীত হয়ে পক্ষাঘাত সৃষ্টি করে। তাই এ রোগকে ফাউল প্যারালাইসিস বলা হয়। মাষ্টার সীডঃ এইচ ভি টি এফ সি-১২৬ (HVT FC-126) (সিরো টাইপ-৩)। অরিজিনঃ ইংল্যান্ড ব্যবহার বিধিঃ ২০০ এম এল ডাইল্যুন্টের সাথে গুলানোর পর ০.২ এম এল করে চামড়ার নিচে প্রয়োগ করতে হয়। ১ দিন বয়সের মুরগীর বাচ্চাকে এই টিকা প্রদান করতে হয়। সরবরাহঃ প্রতি ভায়ালে ১০০০ মাত্রা টিকা + ২০০ এম এল ডাইল্যুয়েন্ট। সরকারি মূল্যঃ প্রতি ভায়াল ৩৫০ টাকা। প্রাপ্তিস্থান : উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় । তথ্যসূত্র : বিএলআরআই। #সকল খামারি ভাইদের জন্য শুভকামনা ---চাষা আলামিন জুয়েল ॥
পিপিআর রোগ ও টিকা: (CAJ---PPR MALADY & VACCINE) পিপিআর (Peste des Petits Ruminants) ছাগলের একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগ অত্যন্ত ছেঁয়াচে এবং প্রাদুর্ভাব এলাকায় শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ছাগল এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে ভেড়ার চেয়ে ছাগল এ রোগে বেশি সংবেদনশীল। এ রোগে আক্রান্ত ছাগলের মৃত্যুর হার শতকরা ৫০-৮০ ভাগ। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সব বয়সের ছাগল এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে, এক বছর পর্যন্ত বয়সের ছাগল এ রোগে বেশি মারা যায়। উচ্চ তাপমাত্রা, পাতলা পায়খান (ডায়রিয়া), পানিশূন্যতা, শ্বাসকষ্ট (সর্দ্দি) মুখে ঘা এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য। পোষ্টমর্টেম পর্যবেক্ষণে ক্ষুদ্রান্ত্রে জেব্রা ষ্ট্রাইপিং (Zebra Striping) দেখা যায়। মাষ্টার সীডঃ লোকাল (শহীদ টিটো) ষ্ট্রেইন। অরিজিনঃ বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সাভার, ঢাকা। ব্যবহার বিধিঃ প্রতি ভায়ালে টিকা ১০০ এমএল ডাইল্যুয়েন্টের সাথে গুলানোর পর প্রতি পশুকে ১ এম এল করে গলার চামড়ার নীচে প্রয়োগ করতে হয়। ৪ মাস বয়সের পশুকে এ টিকা দেওয়া হয়, তবে ২ মাস বয়সের পশুকেও এ টিকা দেওয়া যায়। তবে সেক্ষেত্রে ৬ মাস বয়সে
ক্ষুরা রোগ ও টিকা: [CAJ-FOOT & MOUTH DISEASE (FMD) VACCINE] ক্ষুরা রোগ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এ রোগকে গ্রামে ক্ষুরাচল বা বাতনা বলে থাকে। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি দ্বিক্ষুর বিশিষ্ট প্রাণী এ রোগে আক্রান্ত হয়। জ্বর, মুখে ও পায়ে ফোসকাসহ ঘা এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এ রোগে আক্রান্ত বয়স্ক পশুকে মৃত্যুর হার কম হলেও মহামারী এলাকায় আক্রান্ত বাছুরের মৃত্যুর হার অত্যাধিক। মাস্টার সীড : (ক) বাইভ্যালেন্ট টিকা: A এবং O সিরোটাইপ। অরিজিন: প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ), মহাখালী, ঢাকা। (খ) ট্রাইভ্যালেন্ট টিকা: A, O এবং Asia-1 সিরোটাইপ। অরিজিন: প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ), কুমিল্লা। ব্যবহার বিধি: প্রয়োজন পদ্ধতি ও মাত্রা : টিকার নাম-গবাদিপশু-ছাগল/ভেড়া-প্রয়োগের স্থান বাইভ্যালেন্ট-৬ এম এল-২ এম এল-চামড়ার নীচে। ট্রাইভ্যালেন্ট-৬ এম এল-২ এম এল-চামড়ার নীচে। এ টিকা ৪ মাস পর পর প্রয়োগ করতে হয়। তবে প্রথম ডোজের ২১ দিন পর বুষ্টার ডোজ প্রয়োগ করলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সতর্কতাঃ এ টিকার শূন্য ডিগ্র
জলাতঙ্ক রোগ ও টিকা: (CAJ---RABIES MALADY & VACCINE) জলাতঙ্ক বা র‌্যাবিস (Rabies) মানুষসহ সকল উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রের একটি মারাত্মক রোগ। এই রোগে গলবিলের পেশী অবশতার কারণে জল গ্রহণে অসুবিধাজনিত ভীতির সৃষ্টি হয় বলে রোগটিকে বাংলায় জলাতঙ্ক রোগ বলে। আক্রান্ত প্রাণীর উষ্মত্ততা, আক্রামণাত্মক ভাব, উর্দ্ধগতি, অবশতা, ফ্যারিঞ্জিয়াল প্যারালাইসিসি ও মুখ দিয়ে লালা ঝরা এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য। মাষ্টার সীড : ফ্লারি ষ্ট্রেইন। অরিজিন: World Health Organization (WHO) ব্যবহার বিধিঃ হেপ (HEP) টিকা শুধুমাত্র Pre-exposure টিকা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। যে সমস্ত প্রাণীকে জলাতঙ্ক আক্রান্ত পশু কামড়ায় নাই বা যে সমস্ত প্রাণী জলাতঙ্কে আক্রান্ত প্রাণীর লালা বা ভাইরাস সংক্রমিত অন্য কোন বস্ত্তর (Virus material) সংস্পর্শে আসে নাই সে সমস্ত প্রাণী এ রোগে যাতে আক্রান্ত না হয় সে জন্য এ টিকা দেওয়া হয়। যে কোনভাবে (কামড়ালে, আচড়ালে, ক্ষতস্থানে লালা বা অন্য কোন ভাইরাস মিশ্রিত বস্ত্ত লাগা) প্রাণীদেহে র‌্যাবিস ভাইরাস প্রবেশ করলে ঐ প্রাণীকে এ টিকা দেওয়া যাবে না। এসব ক্ষেত্রে Post Exposure Vaccine ব
গলাফুলা রোগ ও টিকা: (CAJ-HAEMORRHAGIC SEPTICAEMIA (HS) VACCINE) গলাফুলা একটি তীব্র প্রকৃতির পাশ্চুরেলোসিস ধরনের রোগ। যাহা গরু এবং মহিষকে আক্রান্ত করে। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ যাহা Pasteurella multocida দিয়ে হয়। এ রোগে মৃত্যুর হার খুবই বেশি। বর্ষাকালে গলাফুলা রোগ বেশি দেখা যায়। পশুর শরীরে স্বাভাবিক অবস্থায় এ রোগের জীবাণু বিদ্যমান থাকে। কোন কারণে যদি পশু পীড়নের সম্মুখীন হয় যেমন- ঠান্ডা, অধিক গরম, ভ্রমণজনিত দুর্বলতা তখনই এ রোগ বেশি দেখা দেয়। সেপ্টিসেমিয়া, উচ্চ তাপমাত্রা, গ্রীবার সম্মুখভাগে এডিমা স্ফীতি ও উচ্চ মৃত্যুর হার এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য। মাষ্টার সীড :  লোকাল ষ্ট্রেইন। অরিজিন: প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মহাখালী, ঢাকা। ব্যবহার বিধি: অয়েল এ্যাডজুভেন্ট টিকা সাধারণত: প্রাপ্ত বয়স্ক (২য় বৎসরের উপরে) গবাদিপশুকে ২ এমএল মাত্রায় ও ছাগল ভেড়ায় ১ এম এল মাত্রায় প্রয়োগ করতে হয়। এনজুটিক এলাকায় ৬ মাস বা তদুর্ধ বয়সী বাছুরে প্রাপ্ত বয়স্ক গরুর অর্ধেক মাত্রায় টিকা দিতে হয়। এ্যালাম অধঃপতিত টিকা গবাদিপশুতে ৫ এম এল মাত্রায় ও ছাগল ভেড়ায় ২ এম এল মাত্রায় প্রয়োগ করতে হয়। অয়েল এ্যাডজুভ
CAJ--কৃষিতে নতুন/তরুণ উদ্যোগতাদের স্বাগতম, কিন্তু বুঝেশুনে, সাবধানে ( পুন: পোস্ট ) -------- মাটি, সবুজের সমারোহ, পশু -পাখি আমাদের প্রায় সকলকেই আকৃষ্ট করে । আর তাই মাটির সঙ্গে, কৃষির সঙ্গে রয়েছে আমাদের নাড়ীর সম্পর্ক । আমাদের দেশের বেশীর ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কৃষির সঙ্গে জড়িত । আবার অনেকে নতুন উদ্যোগতা হয়ে কৃষিতে ঝুকছেন । এটা সত্যিই বড় প্রশান্তির, ভীষণ সুখের । দেশ ও জাতীর জন্য সুসংবাদ । বর্তমান ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ ও এগিয়েছে অনেক দূর । আর সেই সুবাদে আমরা হাতের কাছেই পেয়ে যাচ্ছি আধুনিক/ডিজিটাল বিভিন্ন সেবা । এটার মাধ্যমে একদিকে আমরা যেমন উপকৃত হচ্ছি, তেমনি বেশ কিছু ক্ষতির দিকও কিন্তু রয়েছে । এই প্রজুক্তির সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা কেউ কেউ শুরু করেছি " ডিজিটাল প্রতারনা" । কারন প্রতারকদের সব থেকে বড় যে গুণাবলী রয়েছে, তাহলো দ্রুত লেবাস পরিবর্তন করে নিজেকে নতুন রুপে উপস্থাপন করা । কৃষক, কৃষি পণ্য, কৃষি সংগঠন, কৃষি সেবা --- বিভিন্ন নামে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে নতুন ওয়েবসাইট, পেইজ, গ্রুপ । এটা কিন্তু খারাপ নয় । কিন্তু বড় ভয়টা হয়ে দাঁড়ায় তখনই , য
গ্রীষ্মকালীন সবজির সার ব্যবস্থাপনা--- CAJ সূচনা : গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে বেগুন, ঢেঁড়স, মিষ্টিকুমড়া, কাকরোল, করলা, পটল, শসা, পুঁইশাক, লালশাক, ডাঁটাশাক, গীমা কলমি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব সবজির বীজ বপন ও চারা রোপণের আগে কী পরিমাণ সার দিবেন তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো। তবে সবজি ভেদে সার ব্যবহারের ক্ষেত্র কম-বেশি হয়ে থাকে। নিচে কয়েকটি সবজির সার ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ্ । বেগুন চাষে সার ব্যবস্থাপনা : জমি তৈরির শেষ ধাপে অর্ধেক গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে। অবশিষ্ট গোবর এবং সমুদয় টিএসপি/ডিএপি, জিপসাম, জিংক ও বোরন সার চারা রোপণের ১ সপ্তাহ আগে গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। মাটিতে জিংক ও বোরন সার না দিলে স্প্রে আকারে চিলেটেড জিংক যেমন লিবরেল জিংক এবং সলিউবর বোরন যেমন-লিবরেল বোরন ব্যবহার করা যায়। মূল জমিতে চারা রোপণের ৩ সপ্তাহ পর থেকে সমান তিন কিস্তিতে গাছের গোড়ার চারপাশে রিং প্রকৃতিতে ইউরিয়া ও মিউরেট অব পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে। এরপর ১০-১৫ দিন অন্তর সেচ প্রদান করতে হবে। ঢেঁড়স চাষে সার ব্যবস্থাপনা : জমি তৈরির শেষ ধাপে অর্ধেক ইউরিয়া, সমুদয় গোবর, টিএস
ছাদে বাগান -------CAJ ২য় পর্ব জেনে নিন ছাদে কি কি গাছ লাগাবেন ------ ছাদে বাগান করার সময় লক্ষ রাখতে হবে যেন গাছটি বড় আকারের না হয়. অর্থাৎ ছোট জাতের গাছ যেগুলো আকারে বেশী বড় হয়না, এমন গাছ লাগাতে হবে । গাছে যেন বেশি ফল ধরে সে জন্য হাইব্রিড জাতের ফলদ গাছ লাগানো যেতে পারে।যেমন আম্রপালি, হাড়িভাঙ্গা, লতা বা মল্লিকা জাতের আম।এছাড়া পেয়ারা, কুল, জলপাই, করমচা, শরিফা, আতা, আমড়া, লেবু, ডালিম, পেঁপে, এমনকি কলা গাছও লাগানো যাবে। ছাদ বাগানের প্রথম শর্ত হচ্ছে, গাছ বাছাই। জেনে, বুঝে, বিশ্বস্ত নার্সারি বা বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে গাছ সংগ্রহ করতে হবে. বেঁটে প্রজাতির অতিদ্রুত বর্ধনশীল, স্বল্প সময়ে ফল প্রদানকারী গাছই ছাদ বাগানের জন্য উত্তম. বীজের চারা নয়, কলমের চারা লাগালে অতিদ্রুত ফলন পাওয়া যায়. আজকাল বিভিন্ন ফলের গুটি কলম, চোখ কলম ও জোড় কলম পাওয়া যাচ্ছে. ছাদ বাগানের জন্য এসব কলমের চারা সংগ্রহ করতে পারলে ভালো হয়. টবে আমের মধ্যে আম্রপালি, আলফানসো, বেঁটে প্রজাতির বারোমেসে, লতা, ফিলিপাইনের সুপার সুইট, রাঙ্গু আই চাষ করা যেতে পারে. লেবুর মধ্যে কাগজিলেবু, কমলা, মালটা, নারকেলি লেবু, কামকোয়াট, ইরানি
ছাদে বাগান --------- CAJ প্রথম পর্ব পূর্বে করনীয় ------- বর্তমানে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাড়ির ছাদে বাগান করা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে. সময়ের প্রয়োজনে হোক , নির্ভেজাল শাক সবজির চাহিদা মেটাতে হোক অথবা মনের খোরাক মেটাতে হোক, লক্ষণীয় ভাবেই প্রসারিত হচ্ছে ছাদ বাগান । অধিকাংশ বাড়ির ছাদের দিকে তাকালেই বিভিন্ন ধরনের বাগান দেখা যায়. অবশ্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরের ছাদে যেসব বাগান দেখা যায় তার অধিকাংশই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে. পরিকল্পিতভাবে উদ্যোগ নেয়া হলে বাড়ির ছাদে যেকোন গাছ, এমনকি শাকসবজিও ফলানো সম্ভব। আঙুর, বেদানা, ডালিম, আমড়া, পেয়ারা ইত্যাদি নান ধরনের মৌসুমী ফল ছাড়াও কলমি শাক, কলা, ডাঁটা, লাউ ইত্যাদি অনায়াসে উৎপাদন করা যায়. কোন গাছের জন্য কি ধরনের মাটি উপযোগী তা নিশ্চিত হয়ে ছাদে বাগান করলে ভাল হয়. এ ছাড়া বেশি রোদ বা গরম সহ্য করতে পারে এমন গাছই ছাদে বপন করা উত্তম. ছাদে বাগান করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে নিয়মিত পানি সেচ দেয়া. কারণ, বাগানের গাছগুলো যেহেতু সাধারণ মাটির সংস্পর্শ হতে দূরে থাকে তাই নিয়মিত পানি সেচ না দিলে গাছগুলো যেকোন সময় মারা যেতে পারে. সা