সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ডালিম চাষঃ ডালিমের জাত পরিচিতি--- বাংলাদেশে ডালিমের জাত প্রকরণ নিয়ে কোন কাজ হয়নি৷ এর কোন উন্নত জাতও বাংলাদেশে নাই৷ পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য জাতের মধ্যে স্প্যানিশ রুবি, পেপার সেল, ওয়ান্ডারফুল, মাসকেট রেড, ঢোল্‌কা, ভাদকি ও জিবিজিআই, বেদানা ও কান্ধারী। প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য৷ ডালিম গাছ ১০ থেকে ১৫ ফুট লম্বা হয় এবং এর কাঠের রঙ ফিকে পীত, কাঠে অল্প কালো দাগ থাকে। এর শাখা প্রশাখাগুলো গোলাকার। পাতা সাধারণত ২ থেকে ৩ ইঞ্চি লম্বা এবং উভয় দিক সরু এবং উপরিভাগ চকচকে মসৃণ। ফুল ভেদে ডালিমকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক প্রকার গাছে শুধুমাত্র পুং ফুল ফোটে অন্যটিতে পুং এবং স্ত্রী দু’প্রকার ফুলই ফোটে। ডালিম গাছ চার-পাঁচ বছর বয়স থেকে ফল দেওয়া শুরু করলেও, শুরুর দিকে ভালো ফলন হয় না। সাধারণত ৮-১০ বছর বয়সের গাছ থেকে ভালো ফলন শুরু হয়। একটি পূর্ণ বয়ষ্ক সুস্থ সবল ডালিম গাছে বৎসরে ১০০-১৫০টি ফল ধরে। তবে ভালো পরিচর্যা নিলে ২০০-২৫০টি ফল পাওয়া যেতে পারে। একটি ডালিম গাছ ত্রিশ বছর পর্যন্ত লাভজনক ফলন দিতে সক্ষম। ডালিমের বপন/রোপণ প্রযুক্তিঃ---- বংশবিস্তারঃ বীজ, শাখা কলম, শেকড়ের সাকার দ্ধারা বংশবিস্তার করা হয়। ডালিম
শীতের আগাম শাক চাষ:--------- আসছে শীত। চলছে আশ্বিন মাস । এখনই সময় শীতের আগাম শাক-সবজি চাষের। এতে আগাম হবার কারণে যেমন দাম পাওয়া যায় বেশী , তেমনি বাজারে চাহিদাও থাকে বেশী। দোআঁশ, বেলে দোআঁশ মাটি শাক চাষের জন্য ভালো। শাক বলতে আমরা লতা পাতাকেই  বুঝি। সে কারণে পাতার উতপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন জৈব বা রসায়নিক সারের। শাক আমাদের অনেকেরই প্রিয়। মুলা শাক, পালং শাক, লাউ শাক, লাল শাক, মটর শাক সহ তাজা যেকোন শাক -সবজী হলে তো কথাই নেই। কিন্ত আগাম শাক চাষের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ আমাদের এখনই শেষ করতে হবে ! কারণ আগাম শাক চাষের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত উত্তম সময়। শাক চাষ পদ্ধতি:----- দোআঁশ, বেলে দোআঁশ মাটি শাক চাষের জন্য উত্তম। জমি উঁচু ও মাঝারি উঁচু হলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। শাক উৎপাদনের জন্য জমি পাঁচ থেকে ছয়টি আড়াআড়ি চাষ এবং মই দিয়ে ভালো করে তৈরি করে নিতে হবে। আগাছামুক্ত ও মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। প্রায় সব শাকের বেলায় একই ভাবে জমি তৈরি করে নিতে হবে। শাকের বীজ ছিটিয়ে বপন করাই উত্তম। তবে গুচ্ছ, বেড পদ্ধতি বা সারিবদ্ধ আকারেও জাত ভেদে বীজ বপন করা যেতে পারে . শাক চাষে সার
ভাবিনি কখনো ,এমন কিছূ লিখতে হবে: আমি অতি নগন্য একজন চাষা । নিজের সাধ্য সামর্থও  অতি নগন্য । কিন্ত কৃষি ও কৃষক ভালোবাসি । তাই নিজের ক্ষুদ্র অবস্থান থেকে কৃষি নিয়ে কিছু করার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছি । কিন্ত এমন কখনো ভাবিনি, যে সেই কৃষক সমাজের বিরুদ্ধে কিছু লিখতে হবে । আমরা যারা কৃষি খামারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত তারাই কৃষক । একটা সময় ছিলো, যখন কৃষকদের নিরীহ , সহজ - সরল, খেটে খাওয়া মানুষ হিসেবে গণ্য করা হতো । কিন্ত এখন আর সেদিন নেই । কারণ এখন কৃষির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চশিক্ষিত, মেধা সম্পন্ন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষও । যেকারণে পরিবর্তন হয়েছে সেই 'সহজ - সরল' নামক তকমা । এবং যার যথেষ্ঠ সঙ্গত কারণও রয়েছে । আধূনিক প্রযুক্তি মানুষের জীবন ধারায় বিশাল এক পরিবর্তন এনেছে । বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সেবা বদলে দিয়েছে আমার দৈনন্দিন জীবন মান । যেগুলোর ব্যবহার ক্রমশ যেমন আমাদের সুবিধার দ্বার উন্মোচন করেছে , তেমনি কিছু ক্ষতির ও কারণ হয়ে দাড়িয়েছে । কিন্ত তাতে প্রযুক্তির দোষ নেই । দোষ তার , যে প্রযুক্তিকে নিজের কুমতলব চরিতার্থ করার কাজে অপব্যবহার করছে । আমি চাষা আলামিন জুয়েল ছোট
ইসলাম ও কৃষিঃ--- CAJ মন্তব্য : দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগৎ নিয়েই মানুষ ও মানুষের জীবন। হাদিস শরিফে আছে, ‘দুনিয়া হচ্ছে আখিরাতের কৃষিক্ষেত্র’। জীবনধারণের জন্য পার্থিব সম্পদ ও উপকরণ আহরণ, তা প্রতিপালন এবং সংরক্ষণের সাধারণ নাম কৃষি। ইসলাম ধর্ম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান মানবতার জন্য। কৃষি সম্পর্কেও ইসলাম পর্যাপ্ত দিক নির্দেশনা প্রদান করেছে। কোরআন মজিদ ও হাদিস শরিফে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় মৌলিক নীতি ঘোষিত হয়েছে এবং কৃষির উন্নয়নের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ইসলামের মৌলিক নীতির আলোকে কৃষি ও মানবকর্ম বিষয়ক ধারণা সবার জানা দরকার। রিজিকঃ আল্লাহ-ই সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ও রিজিকদাতা, একজন মুমিন হিসেবে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হয়। মানুষ ও অন্য সব প্রাণীর আহার্যের উপকরণসমূহ তারই সৃষ্টি। মহান আল্লাহ তায়ালা খাবার বা আহার্যের উপকরণ সমূহকে অনুগ্রহ করে মানুষের অধীনস্ত করে দিয়েছেন। এসব বিষয়ের বর্ণনায় কোরআন মজিদে বহু আয়াত নাজিল হয়েছে যেমন- ‘তোমরা কি দেখ না আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে আল্লাহ তায়ালা তার সমস্তই তোমাদের জন্য নিয়োজিত রেখেছেন। তোমাদের ওপর তার (আল্লাহর) প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অনুগ্রহ সম্পূর্ণ ক
ঈদ হোক ত্যাগের , ঈদ হোক সহমর্মিতার , ঈদ হোক আনন্দের ।