সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কৃষকেরাই দেশের প্রাণ :

কৃষকেরাই দেশের প্রাণ : শীতের সকাল । ভোরের কুয়াশা এখনো পুরোপুরি বিদায় হয়নি । একদিকে অমন কর্তনের সময় । অন্যদিকে বোরো মৌসুম আগত । জাত কৃষকের দু-দন্ড অবসর নাই । আমি আমরা যখন কম্বল মুড়িয়ে সুখের ঘুমে বিভোর, তখন এই বৃদ্ধ কৃষক কয়েক ঘণ্টার পরিশ্রমে পরিশ্রান্ত, ক্ষুধার্ত । বাসি ঠান্ডা ভাত তরকারী দিয়ে চলছে তার গর্জিয়াস ব্রেকফাস্ট । অভূতপূর্ব, দারুণ এক দৃশ্য না ? হ্যা আপনার আমার কাছে দৃশ্যটা দারুণ বা মনোমুগ্ধকর মনে হতেই পারে । কারণ কম্বলের আলিঙ্গন ছেড়ে একটু ফ্রেশ হয়ে ডিম, পরোটা খেতে খেতে যখন এই দৃশ্যটা দেখবো, তখন এটা দারুণ তো মনে হবেই । ভাই , নিজে জমিতে কাজ করেছেন কখনো ? প্রচন্ড শীতের মধ্যে খালি পায়ে শিশির মাখা ঘাসের উপর দিয়ে ফসলের মাঠ কর্ষণ করেছেন কখনো ? হাঁটু বা কোমর সমান বরফ শীতল পানিতে নেমে ফসলী জমিতে সেচ দিয়েছেন কখনো ? অথচ এটা কৃষকের জণ্য দৈনন্দিন ঘটনা । রোদ, বৃষ্টি অথবা প্রচন্ড শীত সবই কৃষকের জীবনে সমান । তাই আপনার কাছে বিষয়টা সুখের মনে হলেও বাস্তবতা ভিন্ন । এটা কোন পিকনিক নয় বরং জীবন যুদ্ধ । আসুন বন্ধু , কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য দিতে না পারি, মৌলিক অধিকার নিয়ে অন্তত একটু আওয়াজ

যুগোপযোগী কৃ্ষি ও কৃষক বান্ধব নীতিমালা জরুরী :

একসময় কৃষিকে উপেক্ষা করা হলেও বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন । আমাদের কৃ্ষি গবেষণার মেধাবী বিজ্ঞানীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন । নতুন নতুন উচ্চফলনশীল, বন্যা, খরা, লবণ সহনশীল জাত উদ্ভাবন করছেন । কিছূ কিছূ ক্ষেত্রে অসংগতি বা দুর্নীতি থাকলেও কৃ্ষি সম্প্রসারণ বিভাগও মাঠপর্যায়ে কাজ করছে । সরকারী কৃষিবান্ধব অনেক পদক্ষেপই সফলতা পাচ্ছে । যুগের সঙ্গে আধুনিক হয়ে উঠছে দেশের কৃষক সমাজ । শিক্ষিত সমাজও এখন কৃষিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে । এক কথায় দেশে একটা কৃ্ষি বিপ্লব চলছে । কিন্ত আমাদের কৃষিবান্ধব নীতিমালা নেই । যেকারণে উৎপাদন করেও প্রতিনিয়ত লোকসান গুনছে কৃষক । তাই এই চলমান কৃ্ষি বিপ্লবকে টেকসই করতে হলে, আরো ব্যাপকহারে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে প্রয়োজন যুগোপযোগী কৃ্ষি ও কৃষক বান্ধব নীতিমালা । তাহলেই কেবল আমরা কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবো ।

মাছের রোগ বালাই ও প্রতিকার পর্ব ০১

মাছের রোগ বালাই ও প্রতিকার পর্ব ০১----- মাছ চাষে আমরা এখন অনেক এগিয়ে. কিন্তু রোগের প্রাদুর্ভাব আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে. প্রায়শ বিভিন্ন রোগে খামার আক্রান্ত হয়ে আমরা মারাত্বক ক্ষতির সন্মুখীন হয়ে পরি. আসছে শীত । এসময় মাছের রোগের প্রাদুর্ভাব বেশী পরিলক্ষিত হয়. তাই আজকে মাছের বিভিন্ন রোগের নাম/আক্রান্ত মাছের প্রজাতি/রোগের লক্ষন ও কারণ/চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ/প্রতিষেধক/প্রতিকার সম্পর্কে নিন্মে কিছু বর্ণনা দেয়ার চেষ্টা করছি------ #ছত্রাক রোগ (সেপ্রোল্গেনিয়াসিস)---- আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - রুই জাতীয় ও অন্যান্য চাষ যোগ্য মাছ। রোগের লক্ষন ও কারণ----- আক্রান্ত মাছের ক্ষতস্থানে তুলার ন্যায় ছত্রাক দেখা দেয় এবং পানির স্রোত যখন স্থির হয়ে যায় কিংবা বদ্ধজলায় অথবা হ্যাচারী ট্যাংকে যেখানে অনিষিক্ত ডিমের ব্যাপক সমাগম ঘটে উহাতে ছত্রাক রোগ দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করে। এমনি ধরনের প্রাকৃতিক জলাশয়ে প্রায় শতকরা ৯৮ ভাগ মাছের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেপ্রোলেগনিয়া প্রজাতি এ রোগের কারণ। চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ----- ক. হ্যাচারিতে লালনকৃত ডিমগুলোকে ২৫০ পিপিএম ফরমালিন দিয়ে ধৌত করা। খ. খাচা এবং পেনে চাষকৃত আক্রান্ত ম

আবর্জনা যখন উৎকৃষ্ট জৈব সার:

(CAJ) আবর্জনা যখন উৎকৃষ্ট জৈব সার:   বেঁচে থাকার জণ্য প্রতিদিন আমাদের খেতে হয় । আর খাওয়ার জণ্য নিত্যদিনের রান্না জরুরী । তাই মানুষের জীবনের সঙ্গে রান্নাঘর আর উনুনের চিরকালের এক নিবিড় প্রেম । কিন্ত উনুনে হাড়ি বসাতে গেলে কতো কিছুই না প্রয়োজন । চাল , ডাল , পেঁয়াজ , আলু , শাক সবজি আরো কতো কি ? আর এসব উৎপাদন করতে সবথেকে বেশী প্রয়োজন জৈব ও রাসায়নিক সার । তবে রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সার মাটি ও ফসলের জন্য বেশী উপকারী । আর আমরা খুব সহজেই কিন্ত এই জৈব সার নিজেরা তৈরী করে নিতে পারি । প্রয়োজন শুধু একটু পরিশ্রম । রান্নাঘরের ফেলে দেওয়া যেকোন সবজির খোসা, মাছের আঁশ- কাটা, মোরগ-মুরগির নাড়িভুঁড়ি-হাড়, ভাত, ডাল, রুটি, চা, তরিতরকারি থেকে শুরু করে গাছের পাতা, পুরোনো কাগজ, খড়খুটো, ঘাস সবকিছু থেকে এই জৈব সার তৈরি করা যায়। এ সারকে আবর্জনা সারও বলা যায়। তবে আবর্জনা থেকে এ সার তৈরির বেলায় কিছু নিয়ম কিন্ত আপনাকে মানতে হবে। আর সে নিয়মকানুন কি ? সেটাই নীচে আলোচনা করার চেস্টা করবো । আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে একটা নির্দিষ্ট গর্তে ফেলতে হবে। এক মিটার লস্বা X এক মিটার প্রস্থ X এক মিটার গভীর একটি গর্ত

ফলদ চারা গাছ ক্রয় বিক্রয়ে সতর্কতা :

ফলদ চারা গাছ ক্রয় বিক্রয়ে সতর্কতা : সময় বদলেছে । যুগের সঙ্গে আমরাও আধুনিক হয়ে উঠছি । ক্রমশঃ আধুনিক হয়ে উঠছে বাংলার প্রাণভোমরা কৃষক। অনলাইনেই এখন বিভিন্ন পণ্য ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। আমরাও চারা গাছ ক্রয় বিক্রয় করছি । এসব আসলেই ভীষন আনন্দের । কৃষক যতো দ্রুত আধুনিক হবে , তাতো দ্রুত এগিয়ে যাবে আমাদের দেশ । কিন্ত অনলাইনে ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছূ উৎকণ্ঠা সৃস্টি হয়েছে । নতুন জাতের কিছূ ফলের চারার প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধির কারণে একদিকে যেমন এসকল চারা উচ্চ মূল্যে ক্রয়বিক্রয় হচ্ছে , অন্যদিকে গুটিকয়েক অসাধু নার্সারী ব্যবসায়ীর কারণে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা । এক জাতের নাম বলে অন্য জাতের চারা সরবরাহ করা , নিজস্ব নার্সারীর মাতৃগাছে ফল না আসলেও ( অপরিপক্ক বা পুরুষ গাছ ) সেই মাতৃগাছ থেকে সায়ন সংগ্রহ করে চারা তৈরী করা , নিন্মমানের চারা সরবরাহ করা এগুলো এখন নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাড়িয়েছে । যেকারণে ক্রেতা উচ্চমূল্য দিয়ে চারা ক্রয় করেও কাংখিত ফলন পাচ্ছে না । ফলশ্রুতিতে ক্রেতাগণ আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন । আর এর দীর্ঘ্যমেয়াদী প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নার্সারী ব্যবসায়ীদের উপর । তাই আমি ক্রেতা