(CAJ) আবর্জনা যখন উৎকৃষ্ট জৈব সার:
বেঁচে থাকার জণ্য প্রতিদিন আমাদের খেতে হয় । আর খাওয়ার জণ্য নিত্যদিনের রান্না জরুরী । তাই মানুষের জীবনের সঙ্গে রান্নাঘর আর উনুনের চিরকালের এক নিবিড় প্রেম । কিন্ত উনুনে হাড়ি বসাতে গেলে কতো কিছুই না প্রয়োজন । চাল , ডাল , পেঁয়াজ , আলু , শাক সবজি আরো কতো কি ? আর এসব উৎপাদন করতে সবথেকে বেশী প্রয়োজন জৈব ও রাসায়নিক সার । তবে রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সার মাটি ও ফসলের জন্য বেশী উপকারী । আর আমরা খুব সহজেই কিন্ত এই জৈব সার নিজেরা তৈরী করে নিতে পারি । প্রয়োজন শুধু একটু পরিশ্রম ।
রান্নাঘরের ফেলে দেওয়া যেকোন সবজির খোসা, মাছের আঁশ- কাটা, মোরগ-মুরগির নাড়িভুঁড়ি-হাড়, ভাত, ডাল, রুটি, চা, তরিতরকারি থেকে শুরু করে গাছের পাতা, পুরোনো কাগজ, খড়খুটো, ঘাস সবকিছু থেকে এই জৈব সার তৈরি করা যায়। এ সারকে আবর্জনা সারও বলা যায়। তবে আবর্জনা থেকে এ সার তৈরির বেলায় কিছু নিয়ম কিন্ত আপনাকে মানতে হবে। আর সে নিয়মকানুন কি ? সেটাই নীচে আলোচনা করার চেস্টা করবো ।
বেঁচে থাকার জণ্য প্রতিদিন আমাদের খেতে হয় । আর খাওয়ার জণ্য নিত্যদিনের রান্না জরুরী । তাই মানুষের জীবনের সঙ্গে রান্নাঘর আর উনুনের চিরকালের এক নিবিড় প্রেম । কিন্ত উনুনে হাড়ি বসাতে গেলে কতো কিছুই না প্রয়োজন । চাল , ডাল , পেঁয়াজ , আলু , শাক সবজি আরো কতো কি ? আর এসব উৎপাদন করতে সবথেকে বেশী প্রয়োজন জৈব ও রাসায়নিক সার । তবে রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সার মাটি ও ফসলের জন্য বেশী উপকারী । আর আমরা খুব সহজেই কিন্ত এই জৈব সার নিজেরা তৈরী করে নিতে পারি । প্রয়োজন শুধু একটু পরিশ্রম ।
আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে একটা নির্দিষ্ট গর্তে ফেলতে হবে। এক মিটার লস্বা X এক মিটার প্রস্থ X এক মিটার গভীর একটি গর্ত তৈরী করে সেখানে আবর্জনা সংরক্ষণ করতে হবে। এই আবর্জনা থেকে যদি জৈব সার তৈরি করা যায়, তাহলে একদিকে যেমন উৎকৃষ্ট সার পাবো অন্যদিকে আমাদের পরিবেশও পরিচ্ছন্ন এবং স্বাস্থ্যকর থাকবে । আবর্জনা থেকে তৈরি জৈব সারে নাইট্রোজেন কম থাকে। এ জন্য এক লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ইউরিয়া মিশিয়ে আবর্জনায় ছিটিয়ে দিলে সেই ঘাটতি পূরণ হবে। এটা এমনভাবে ছিটাতে হবে, যেন আবর্জনা থেকে দরদর করে পানি না পড়ে, বরং হাতে দিয়ে চাপ দিলে আঙুলের ফাঁকে পানি জমে।
সারের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য গর্তে দুই কেজি ফসফেট সার ভালো করে ছিটিয়ে দিতে পারেন। এরপর গর্তে জমানো আবর্জনার ওপর মাটি দিয়ে তিন মাস আটকে রাখতে হবে। তিন মাস পর গর্তের আবর্জনাগুলো একই মাপের অন্য একটি গর্তে বদল করে দিতে হবে। এর ৬ সপ্তাহ পর থেকে এই সার ব্যবহার করার উপযোগী হয়ে যাবে। রোদে শুকিয়ে বস্তায় ভরে এই সার অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়।
( CAJ ) বিষ্ঠা থেকে কম্পোস্টঃ
হাঁস -মুরগীর বিষ্ঠা প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট গর্তে ফেলতে হবে। এক মিটার প্রস্থ X এক মিটার গভীর X তিন মিটার লম্বা গর্ত করে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পলিথিন বিছিয়ে দিতে হবে। এরপর প্রতিদিন বিষ্ঠা সংগ্রহ করে গর্তে রাখতে হবে। বিষ্ঠার পরিমাণ ১০ কেজি হলে আড়াই লিটার পানি এবং আধা কেজি চুন ছিটিয়ে দিতে হবে। একইভাবে আগের মতোই গর্তে জমানোর প্রথম ১৫ দিন, প্রতি ৩ দিন পরপর উল্টে পাল্টে দিতে হবে। এরপর প্রতি ৭ দিনে একবার নাড়াচাড়া করে দিলেই হবে। কম্পোষ্টের মান বাড়াতে গর্ত বিষ্ঠা দিয়ে ভর্তি হয়ে গেলে ২ কেজি ফসফেট বিষ্ঠার ওপর ছিটিয়ে দিতে হবে। এবার পলিথিন দিয়ে ২ মাস আটকে রাখতে হবে।
কম্পোস্ট সার পরীক্ষাঃ
২ মাস পর বিষ্ঠাগুলো গাছ পচাঁ গন্ধের মত গন্ধ সৃষ্টি করবে। কপোষ্ট দেখতে হবে গাঢ় বাদামি রঙের। শরীরে লাগলে গরম অনুভূত হবে না। এ রকম কপোষ্ট জমিতে সার হিসাবে প্রয়োগ করা যাবে।
#সকল কৃষক বন্ধুদের জন্য শুভ কামনা --চাষা আলামীন জুয়েল।

মন্তব্যসমূহ