সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
চাল কুমড়া চাষের পদ্ধতি--- গ্রাম বাংলায় ঘরের চালে এ সবজি ফলানো হয় বলে এটি চাল কুমড়া নামে পরিচিত। তবে জমিতে মাচা পদ্ধতিতে চাষ করলে ফলন বেশি হয়। কচি কুমড়া (ঝালি) তরকারী হিসেবে এবং পরিপক্ক কুমড়া মোরব্বা ও হালুয়া তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। পুষ্টিগুণ---   চাল কুমড়া পুষ্টিকর সবজি। চাল কুমড়ায়  বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, আমিষ, শর্করা, চর্বি ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। ঔষুধি গুণ--  চাল কুমড়ার বড়ি ও মোরব্বা ফুসফুসের জন্য উপকারী। চাল কুমড়ার বীজ কৃমি নাশ করে থাকেএবং এর রসের সাথে চিনি মিশিয়ে খেলে অজীর্ণ রোগ ভাল হয়। জাতঃ হাইব্রীড চালকুমড়া – হীরা – ৪৫১ এ জাতের চালকুমড়া গাঢ় সবুজ এবং ফলের গড় ওজন ১-১.৫ কেজি। এ জাতের চালকুমড়া সারা বছর বপন করা যায়। ফসল ৫০-৫৫ দিনে সংগ্রহ করা যায়। এ জাতটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন, উচ্চ ফলনশীল হাইব্রীড জাত, দুর পরিবহনে সুবিধাজনক। প্রতি একরে ৩০-৩৫ টন ফলন পাওয়া যায়। উফ্‌শী চালকুমড়া – সবুজঃ এ জাতের চালকুমড়া গাঢ় সবুজ এবং ফলের গড় ওজন ২-২.৫ কেজি। এ জাতের চালকুমড়া মাঘ থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত বপন করা যায়। ফসল ৬০-৬৫ দিনে সংগ্রহ করা যায়। প্রতিটি চালকুমড়া ১০-১২ ইঞ্চি। এ জাতটি ভাইরাস,

মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় "মাটি পরীক্ষার" গুরুত্ব--------

মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় "মাটি পরীক্ষার" গুরুত্ব-------- মাটির স্বাস্থ্য বলতে কি বোঝায়? কথায় আছে-স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। মানুষকে প্রতিদিন বিভিন্ন কাজ করতে হলে শারীরিক ভাবে সুস্থ্য অর্থাৎ নিরোগ থাকতে হয়। তেমনিভাবে গাছ ও যেহেতু প্রধানত মাটি থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে, তাই মাটির স্বাস্থ্যও ভাল রাখতে হয়। এক কথায় বলতে গেলে মাটির স্বাস্থ্য বলতে বোঝায় মাটির বুনট, পানি ধারণ ক্ষমতা, জৈব পদার্থের পরিমান, মাটির উর্বরতা অর্থাৎ মাটিতে পুষ্টি উপাদান কেমন আছে ইত্যাদি বিষয়গুলো। মাটি পরীক্ষা কেন করতে হয়? মানুষের শরীরের বৃদ্ধির জন্য যেমন ভিটামিন ও খাবারের প্রয়োজন, তেমনি গাছের বৃদ্ধির জন্যও খাদ্যের দরকার। গাছের খাদ্য হচ্ছে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সালফার, বোরন, জিংক ইত্যাদি । গাছ তার খাদ্য মাটি থেকে শিকড়ের সাহায্যে গ্রহণ করে বা খায়। মাটিতে যদি পুষ্টি উপাদান কম থাকে তাহলে গাছের বৃদ্ধিতে বিঘ্ন ঘটে ও ফলন কম হয়। গাছের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান মাটিতে আছে কিনা তা জানতে হলে আগে জানতে হবে মাটিতে কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান আছে। মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে মাটিতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ জানা

টার্কি ( GenusMeleagris ) পালন বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পে নতুন সম্ভবনা ---- (#CAJপূর্ণাঙ্গ পোস্ট)

টার্কি ( GenusMeleagris ) পালন বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পে নতুন সম্ভবনা ---- (#CAJপূর্ণাঙ্গ পোস্ট) ---------------------------------------------------------------------- টার্কি ( GenusMeleagris ) নামকরণের কারণ --- রোমান্স ভাষায় প্রকাশিত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক "মারিও পেই" এর একটি গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় --- ইউরোপীয়রা বন্য পাখী খেতে খুব পছন্দ করতো. পশ্চিম আফ্রিকার তিতির বা গিনি ফাউল তাদের বেশী পছন্দ ছিলো. তুর্কি বণিকদের মাধ্যমে প্রথম এই বড় জাতের পাখিটি ইউরোপে আমদানি হয় এবং লন্ডনে খাওয়া হয়. একটি অপরিচিত নতুন পাখী তুর্কি বণিকদের মাধ্যমে আসে , তাই তখন থেকেই এটার ডাকনাম তুর্কি মোরগ বা টার্কি মোরগ হিসেবে পরিচিতি পায়. টার্কি( GenusMeleagris )  পরিচিতি: টার্কি একটি বড় প্রজাতীর সুন্দর- শান্ত প্রকৃতির পাখী .পুরুষ পাখীর দৈহিক গঠন স্ত্রী পাখীর থেকে বেশী বড়, বেশী দৃষ্টিনন্দন হয়ে থাকে. পুরুষ পাখীর একটি সতন্ত্র কঞ্চি বা পিণ্ড রয়েছে, যা ঝুলন্ত অবস্থায় ঠোটের উপর থাকে.এই পাখী এক সময়ের বন্য পাখী হলেও এখন একটি গৃহে পালিত হয়। এটি গৃহে পালন শুরু হয় উত্তর আমেরিকার মেক্সিকোতে

ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালন --( আদর্শ খামার পদ্ধতি )

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন --------( আদর্শ খামার পদ্ধতি ) ভূমিকাঃ এদেশে প্রাপ্ত প্রায় ২০ মিলিয়ন ছাগলের প্রায় ৯৩ ভাগ পালন করে ক্ষুদ্র এবং মাঝারী ধরণের খামারীরা। বাংলাদেশে প্রাপ্ত ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস যেমন সুস্বাদু চামড়া তেমনি আন্তর্জাতিকভাবে উন্নতমানের বলে স্বীকৃত। তাছাড়া ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা অধিক এবং তারা দেশীয় জলবায়ুতে বিশেষভাবে উৎপাদন উপযোগী। এসব গুনাবলী থাকা সত্ত্বেও ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাণিজ্যিক উৎপাদন এদেশে এখনো চোখে পরার মত প্রসার লাভ করেনি। এর অন্যতম কারণ ইন্টেনসিভ বা সেমি-ইন্টেনসিভ পদ্ধতিতে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনের ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব। সরকারী - বেসরকারি ভাবে প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা থাকা সত্ত্বেও আমাদের অনিহা । সার্বিক কৃষির উপরে আমাদের বিরূপ মনোভাব বা অবহেলা । যে ভাবে একটি আদর্শ ছাগল খামার শুরু করবেন ----- ঘর নির্মাণ ------ ছাগল সাধারণত: পরিষ্কার, শুষ্ক, দুর্গন্ধমুক্ত, উষ্ণ, পর্যাপ্ত আলো ও বায়ূ চলাচলকারী পরিবেশ পছন্দ করে। গোবরযুক্ত, স্যাঁত স্যাঁতে, বদ্ধ, অন্ধকার ও গন্ধময় পরিবেশে ছাগলের বিভিন্ন রোগবালাই যেমন: নিউমোনিয়া, একথাই

হাঁস পালন পদ্ধতি ----

হাঁস পালন পদ্ধতি ------ হাঁসের জাত সমুহ--- পিকিং / বেজিনঃ উৎপত্তিঃ এ জাতের হাঁসের উৎপত্তি চীন দেশে। বৈশিষ্ট্যঃ---১. পালকের রং সাদা। ২. ডিমের রং সাদা। ৩. দেহের আকার বড়। উপযোগীতাঃ ইহা মাংসের জন্য প্রসিদ্ধ কারণ প্রাপ্ত বয়স্ক একটি হাঁসা প্রায় ৪.৫ কেজি এবং একটি হাঁসী ৪ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। বৎসরে গড়ে প্রায় ১৫০ টি ডিম দেয়। মাসকোভিঃ উৎপত্তিঃ এ জাতের হাঁসের আদি জন্মস্হান দক্ষিণ আমেরিকা। বৈশিষ্ট্যঃ--১. পালকের রং সাদা ও কলো। ২. মাথায় লাল ঝুটি। ৩. ডিমের রং সাদা। ৪. দেহের আকার বড়। উপযোগীতাঃ এ জাতের হাঁস মাংসের জন্য প্রসিদ্ধ কারণ প্রাপ্ত বয়স্ক একটি হাঁসা প্রায় ৫ কেজি এবং একটি হাঁসী ৪ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। বৎসরে গড়ে প্রায় ১২০ টি ডিম দেয়। খাকী ক্যাম্পবেলঃ উৎপত্তিঃইহার উৎপত্তিস্হল ইংল্যান্ড। বৈশিষ্ট্যঃ---১. পালকের রং খাকী বিধায় খাকী ক্যাম্পবেল নামকরণ করা হয়েছে। ২. ডিমের রং সাদা। ৩. ঠোঁট নীলাভ/কালো। উপযোগীতাঃ ডিম-এর উদ্দেশ্যে এ জাতের হাঁস পালন করা হয়। বার্ষিক ডিম উৎপাদন গড়ে ২৫০- ৩০০ টি। বয়ঃ প্রাপ্তদের ওজন ২- ২.৫ কেজি হয়ে থাকে। জিনডিংঃ উৎপত্তিঃ ইহার উৎপত্তিস

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা

সেক্স ফেরোমন ফাঁদ --এক জাদুর বাক্স :

সেক্স ফেরোমন ফাঁদ --এক জাদুর বাক্স : সবজি বাংলাদেশের একটি অন্যতম অর্থকরী ফসল। এদেশে প্রায় ৮৯ প্রকারের শাক-সবজি চাষ হয়ে থাকে। বেগুন, কুমড়া জাতীয় সবজি,করলা, শসা, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, লাউ, ঝিঙে, পটল, চিচিংগা, কাকরোল, উচ্ছে, তরমুজ, বাংগী, ফুলকপি, বাধাকপি এসব উল্লেখযোগ্য। এসব সবজি উৎপাদন করতে আমাদের প্রায়শই প্রকৃতির কাছে মাঝে মাঝেই অসহায় হতে হয়। সবজি উৎপাদনে প্রাকৃতিক শত্রুগুলোর মধ্যে পোকামাকড় অন্যতম। বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণে বেগুনের ফলন মারাত্বকভাবে হ্রাস পায়। অন্যদিকে কুমড়া জাতীয় সবজির মাছি পোকাও অত্যন্ত ক্ষতিকর পোকা। যার আক্রমনে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। ফলে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে অযাচিত উপায়ে কীটনাশক ব্যবহার করে। এতে কৃষি পরিবেশ দূষিত হয়। তাছাড়া বিষযুক্ত সবিজ খেয়ে মানুষ নানাবিধ রোগ আক্রান্ত হয়। সম্প্রতি বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে সেক্সফেরোমোন ফাঁদ নামে একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে যার দ্বারা বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা এবং কুমড়া জাতীয় ফসলের ফলের মাছি পোকা কার্যকরভাবে দমন করা সম্ভব। তাছাড়া ফল জাতীয় গাছের মধ্যে আম, লিচু, পেয়ারা এসব গাছেও আজকাল সেক্সফেরোমন

মুরগির কিছু বদঅভ্যাস ও তার প্রতিকার :

মুরগির কিছু বদঅভ্যাস ও তার প্রতিকারঃ---- মুরগি পালন একটি লাভজনক এবং মহৎ পেশা। মানুষের খাদ্য সরবরাহ করা একটি পুণ্যময় কাজ। দেশের আমিষের ঘাটতি পূরণ সহায়ক এটা। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও একটা বিশেষ অবদান রাখা যায়। মহান আল্লাহর একটি সৃষ্টি পাখিকে বিশেষ যত্ন নেয়ার ফলে পরকালে রয়েছে মূল্যবান পুরস্কার। তাই মুরগি পালনের মাধ্যমে আর্থিক লাভ অর্জন করার সঙ্গে সঙ্গে অশেষ সওয়াবও হাসিল করা যায়। এ মুরগি পালনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে অনেক বিষয়ের। সেজন্য মুরগির জীবন চরিত্র সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন। কিছু বিষয় মুরগির উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক আর কিছু বিষয় মুরগির উৎপাদন হ্রাস করে। মারা যায়ও অনেক মুরগি। মুরগির এমন কিছু বদঅভ্যাস লক্ষ করা যায়, যার ফলে মুরগির কাক্সিক্ষত মান অর্জনে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এসব অবস্থার মধ্যে ক্যানাবলিজম, ডিম খাওয়া, কুচে হওয়া, পালক খাওয়া ইত্যাদি অন্যতম। তাই মুরগির এসব বদঅভ্যাসকে চিহ্নিত করে তা প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুব জরুরি। তাই এগুলো নিচে আলোকপাত করা হলো। ক্যানাবলিজম : মুরগির বদঅভ্যাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং ক্ষতিকর হলো ক্যানাবলিজম। এটা যে কোনো বয়সে

হাপায় কুঁচিয়া মাছ চাষ -বেকার সমস্যা সমাধানের সহজ উপায় :

হাপায় কুঁচিয়া মাছের চাষঃ ( বেকার সমস্যা সমাধানের সহজ উপায় ) বাইম মাছের মতো দেখতে কুঁচিয়াও এক প্রকার মাছ। ইহা বাংলাদেশে কুইচ্চা, কুঁইচা, কুঁচে, কুঁচো ইত্যাদি নামে পরিচিত। বাংলাদেশের হাওর, বাঁওড়, খাল-বিল, পচা পুকুর, ধানক্ষেতে এবং বন্যাপ্লাবিত অঞ্চলে কুঁচিয়া মাছ দেখতে পাওয়া যায়। কুঁচিয়া মাছের শরীর লম্বা বেলনাকৃতির। আপাতদৃষ্টিতে কুঁচিয়া মাছকে আঁশবিহীন মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে ইহার গায়ে ক্ষুদ্রাকৃতির আঁশ বিদ্যমান যার বেশিরভাগ অংশই চামড়ার নিচে সজ্জিত থাকে। খাদ্য হিসেবে কিছু কিছু উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর কাছে জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কুঁচিয়া মাছকে অস্পৃর্শ মনে করে। যদিও ইহা শারীরিক দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা, অ্যাজমা রোগ, ডায়াবেটিস, বাতজ্বর, পাইলসসহ অনেক রোগ সারাতে মহৌষধের মতো কাজ করে। তাছাড়া পরিবেশের খাদ্য জালে কুঁচিয়ার অনন্য অবদান রয়েছে। ধান ক্ষেতের ফসল অনিষ্টকারী পোকার লার্ভা, শামুক, কৃমি ইত্যাদি খেয়ে কুঁচিয়া কৃষকের উপকারী বন্ধু হিসেবে কাজ করে। অনেক পচা-গলা জৈবপদার্থ খেয়ে পরিবেশে মানবসমাজের বিশেষ বন্ধু হিসেবে ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের মানুষ যতই অপছন্দ করুক না কেন বিদেশে এ মাছের যথেষ্

আশা জাগানিয়া কুঁচিয়া মাছ :

আশা জাগানিয়া কুঁচেঃ-------- বগুড়ার সান্তাহারে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট প্লাবনভূমি উপকেন্দ্রে নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে চলছে কুঁচে প্রজনন কার্যক্রম। বিশ্বের অনেক দেশেই সুস্বাদু ও উপাদেয় খাবার হিসেবে কুঁচে বা কুঁচিয়া খুবই জনপ্রিয়। এ কারণে আমাদের দেশে প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা কুঁচে ধরে সেসব দেশে রপ্তানি করা হয়। শুধু সেই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকে টার্গেট করে সরকারিভাবে কুঁচে চাষের গবেষণা শুরু হয়। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) ময়মনসিংহের স্বাদুপানি কেন্দ্র এবং বগুড়ার সান্তাহার প্লাবনভূমি উপকেন্দ্রে, নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে কুঁচে মাছ চাষের গবেষণা শুরু হয়েছিল ২০১১-১২ অর্থবছরে। তিন বছর প্রচেষ্টার পর ২০১৫ সালে সেই গবেষণায় প্রাথমিক সফল্য এসেছে। এখন বাণিজ্যিকভাবে কুঁচে চাষ সম্ভব। এর ফলে প্রাকৃতিক জলাধারের কুঁচে নিধন বন্ধ হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে। পাশাপাশি বিপন্ন প্রজাতির এই জলজপ্রাণী (মাছ) চাষের মাধ্যমে প্রজাতিটি টিকিয়ে রাখাসহ বৈদেশিক অর্থ উপার্জন করে স্বাবলম্বী হতে পারবে চাষিরা। লাভোবান হবে দেশ। বিএফআরআই সূত্র জানায়, কুঁচে দেখতে অনেকটা সর্পিলাকৃতির, বাইন বা বাইম