সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
সঠিকভাবে পানি বিশুদ্ধকরণ পদ্ধতি --- পানি পরিচ্ছন্ন রাখা যতটা সহজ, বিশুদ্ধ করা ততটা সহজ নয়। নানা রকম ময়লা ও রোগ জীবাণু মিশে পানিকে দূষিত করে। তাছাড়া পানিতে ভাসমান ময়লা, বিষাক্ত গ্যাস ও রোগজীবাণু সম্পুর্ণভাবে অপসারণ করা না গেলে বিশুদ্ধ করা সম্ভব নয়, আর দূষিত পানি পান এর মাধ্যমে বিভিন্ন পানি বাহিত রোগে আমরা আক্রান্ত হই , আক্রান্ত হয় আমাদের গবাদী পশু -খামার। এখন বর্ষা মৌসুম, পানিবাহী রোগের প্রাদুর্ভাব এসময়ে বেশী দেখা যায় । তাই এখনই আমাদের সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে। পানি বিশুদ্ধকরণের নানা উপায়--- ফুটানো: ফুটিয়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়। উচ্চতাপে ১০/২০ মিনিট পানি ভালোভাবে ফুটাতে হবে। ফলে পানিতে থাকা রোগজীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়, ধাতব লবণ থিতিয়ে পড়ে ও দ্রবীভূত গ্যাস বের হয়ে যায়। পানির সর্বোচ্চ বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য ফুটানোর পরে ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে। ফিল্টার যদি না থাকে তাহলে পানি পান করার আগে কয়েক স্তর পুর বিশিষ্ট ছাঁকনি দিয়ে তা ছেঁকে নিতে হবে। ছাঁকন পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে দরকার চারটি কলস বা মাটির চারি। চারি হচ্ছে মাটির তৈরি বড় পাত্র বা গামলা। চারটি কলস বা চারি উপর নিচ করে সাজাতে হয়
শিং ,মাগুর ও কৈ মাছের চাষ সম্ভাবনা ও গুরুত্ব- ---- বাংলাদেশ মিঠা পানির মৎস্য চাষের ক্ষেত্র হিসেবে পৃথিবীর প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে অনতম। সাম্প্রতিককালে মৎস্যখাতে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার চীন ও ভারতের সাথে তুলনীয়। বিশাল জলরাশিতে সমৃদ্ধ এদেশে মাছচাষের অফুরন্ত সম্ভাবনা বিদ্যমান। সুদূর অতীতে প্রাকৃতিকভাবেই দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। তখন দেশীয় মাছ চাষ করার বিষয়ে ভাবার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু কয়েক দশকে দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের আবাসস্থল সংকোচন, জনসংখ্যার আধিক্য, সেচে অপরিমিত পানির ব্যবহার, কৃষিকাজে কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার, অতিরিক্ত মৎস্য আহরণ এবং পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার কারণেই মাছের প্রাকৃতিক বংশ বিস্তার ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ প্রজাতিগত বৈচিত্র্যের দিক থেকেও অনন্য এদেশের আভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে ২৬০ প্রজাতির স্বাদু পানির মাছ বিদ্যমান। যার মধ্যে ১৫০টি হচ্ছে ছোট মাছ। এসব ছোট মাছের মধ্যে ৫০টি প্রজাতি সচরাচর আভ্যন্তরীণ জলাশয়ে পাওয়া যায়; যার উল্লেখযোগ্য অংশ ক্রমেই সংকটাপন্নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ এসব দেশীয় প্রজাতির মাছের পুষ্টিগুণ ও বাজারমূল্য অনেক বেশি। উক্ত
ফলের চারা-কলম রোপণের নিয়ম--- CAJ--- ফল খেতে আমারা প্রায় সকলেই পছন্দ করি, আর তাই দেশের প্রায় সকল বাড়ীতেই কোন না কোন ফলগাছ রয়েছে । কিন্ত ভালো ও বেশি ফল পেতে হলে প্রথমেই দরকার সুস্থ্য -সবল,ভালো জাতের চারা। তারপর সেগুলো সঠিকভাবে লাগানো। যেনতেনভাবে ফলের চারা-কলম লাগালে সে সকল গাছ থেকে কখনো ভালো ফলন আশা করা যায় না। মানসম্পন্ন ফলন পেতে হলে প্রথমেই সঠিক এবং উন্নত জাতের চারা বা কলম সংগ্রহ করতে হবে। আর সেজন্য চাই বিশ্বস্ত এবং অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান, যাদের কাছ থেকে ভালো মানের,ভালো জাতের সুস্থ্য -সবল চারা সংগ্রহ করা যেতে পারে. কারন বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই শুধু বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকায় বেশির ভাগ নার্সারিতেই এখন মানসম্পন্ন চারাকলম তৈরি হচ্ছে না, তৈরি হলেও সেসব কলমের খাসি করা ঠিকভাবে হচ্ছে না। ফলে অল্প শিকড় নিয়ে গাছ বড় হওয়ায় সহজে ঝড়-বাতাসে গাছ পড়ে যাচ্ছে। ফলগাছ রোপণের সময় যেসব কাজ করা হয় তার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ গাছের বৃদ্ধি। গর্ত খনন থেকে শুরু করে চারাকলম রোপণ পর্যন্ত সকল কাজের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এসব নিয়ম ঠিকমতো মানা না হলে গাছের বৃদ্ধিই শুধু নয়, ফলনের ওপরও প্রভাব পড
গ্রামীণ পরিবেশে হাঁস পালন ------ ভূমিকাঃ------ বাংলাদেশের নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়, পুকুর, ডোবা এছাড়াও আবহাওয়া ও জলবায়ু হাঁস পালনের জন্য উপযোগী। প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পুরণ ও অল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জনে হাঁস পালন অত্যন-গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে থাকে। হাঁস প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়ে থাকে, এই কারণে একজন খামারী হাঁসকে সামান্য পরিমাণ খাদ্য প্রদান করে সারাবছরই লাভজনক ভাবে হাঁস পালন করতে পারে। মুরগির চেয়ে হাঁস পালনে উৎপাদন খরচ অনেক কম। হাঁসের জাত সমূহ ------ ছক-১: বাংলাদেশের প্রধান প্রধান হাঁস উৎপাদনকারী এলাকাগুলোতে হাঁসের জাত, তাদের শতকরা সংখ্যা ও বৈশিষ্ট্য নিম্মরূপ = দেশী জাত--শতকরা ৪৫ ভাগ পালন হয়। এদের বৈশিষ্ট্য----ডিম ও মাংস উৎপাদন করে থাকে, বছরে ৭০-৮০ টি ডিম দেয় আবদ্ধ অবস্থায় । কিন্তু উন্নত ব্যবসহাপনায় এগুলো বছরে প্রায় ২০০-২০৫ টি ডিম দেয়। খাকি ক্যাম্পবেল----শতকরা ৩০ ভাগ পালন হয়। এদের বৈশিষ্ট্য---ডিম উৎপাদনের জন্য এই হাঁস খুব ভালো। শারীরিক ওজন বয়ঃপ্রাপ্ত হাঁসা ২-২.৫ কেজি এবং হাঁসী ১-১.৫ কেজি। বৎসরে একটি হাঁসি ২৫০-৩০০ টি ডিম পাড়ে। দৈনিক খাদ্য গ্রহনের পরিমাণ ১৭৬ গ্রাম। প্রতিটি ডিম
০৯ এপ্রিল ২০১৭ ১১:১৯ ট্যানারি বর্জ্য দিয়ে হাঁস- মুরগী ও মাছের খাবার বন্ধে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগ: ট্যানারি বর্জ্য দিয়ে হাঁস- মুরগী ও মাছের খাবার বন্ধে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে পোল্ট্রি ও মাছের খাবার প্রস্তুতকারক সমিতির করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন মনজিল মোরসেদ। চ্যনেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, পোল্ট্রি ও মাছের খাবার প্রস্তুতকারক সমিতির করা আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন রোবাবার আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়েছেন। রোববারের এই আদেশের ফলে ট্যানারি বর্জ্য দিয়ে মুরগী ও মাছের খাবার তৈরি বন্ধে আগের রায়ই বহাল থাকলো। ২০১০ সালের ২৬ জুলাই জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এ বিষয়ে একটি রিট মামলা দায়ের করেন। সে রিট শুনানির ধারাবাহিকতায় ট্যানারি বর্জ্য দিয়ে হাঁস-মুরগি ও মাছের খাবার তৈরি বন্ধ ও উৎপাদনকারী কারখানাগুলো বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ওই কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে এবং প

মাছের ঘেরের পাড়ে সবজি ও ফল চাষঃ

মাছের ঘেরের পাড়ে সবজি ও ফল চাষঃ ভূমিকাঃ বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে সমুদ্রের উপকূলের জেলা গুলিতে কৃষি জমিতে ঘের করে চিংড়ি ও সাদা/রুই জাতীয় মাছের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু লবনাক্ত পানির ঘের ও কিছু মিঠা পানির ঘের। বিভিন্ন প্রতিকুলতা ও অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য কৃষি জমি মৎস্য চাষে পরিবর্তিত হচ্ছে। লবণাক্ত এলাকা বৃদ্ধি, ভবদহ ও বিল ডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতার কারণে দীর্ঘদিন ফসল উৎপাদন না হওয়ায় ঐ জমিগুলি মৎস্য চাষের আওতায় এসেছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, পিরোজপুর জেলা গুলিতে ব্যাপক মৎস্য ঘের তৈরী হয়েছে। এই মৎস্য ঘেরের একটি বড় অংশ পাঁড় তৈরীতে চলে যায়। এই পাঁড় গুলির অধিকাংশই পতিত অথবা মৌসুম ভিত্তিক কিছু সবজির চাষ হয়। এই মৎস্য ঘেরের পাঁড় গুলি অধিক উর্বর, জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ, সবজি উৎপাদনের অনুকূল। সম্ভবনাময় মৎস্য ঘেরের পাঁড় গুলিকে পরিকল্পিতভাবে উন্নত প্রযুক্তি ও গবেষণার মাধ্যমে লাগসই কার্যক্রম গ্রহণ করলে দেশের সবজি ও ফলের চাহিদা পূরণসহ বিদেশে মানসম্মত সবজি রপ্তানী করা সম্ভব। মৎস্য ঘেরের পাড়ের বর্তমান অবস্থাঃ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের এই ঘের গুলির অধিকাংশে বাগদ
Pakchong Hybrid Napier-1/ সুপার নেপিয়ার: পরিচিতি : থাইল্যান্ড এর 'নাখন রাতচাসিমা' প্রদেশের পাকচং নামক জায়গায় অবস্থিত থাইল্যান্ড 'ডিপার্টমেন্ট অফ লাইভস্টক' এর গবেষণাগারে উদ্ভাবন বলে জায়গার নাম এর মিল রেখে থাইল্যান্ডে এর নামকরণ করা হয়েছে পাক চং -১। ইতিহাস : পুরো পৃথিবীর লাইভস্টক শিল্প যখন উচ্চ ফলনশীল ঘাস এর অভাবে হিমশিম খাচ্ছিলো তখনি "ডিপার্টমেন্ট অফ লাইভস্টক (ডি এল ডি) থাইল্যান্ড" এর পুষ্টিবিজ্ঞানী 'কারাইলাস কিয়োথং' সাধারণ নেপিয়ার ঘাস (Pennisetum purpureum) এবং মুক্তা বাজরা (Pennisetum glaucum) ক্রস এবং টিস্যু কালচার এর মাধ্যমে উদ্ভাবন করেন.এই জাতটি সাধারণ নেপিয়ার এর চেয়ে প্রায় দ্বিগুন ফলনশীল এবং অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। মাত্র ৫ বছর আগে উদ্ভাবন করা পাক চং ঘাস এখন থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবথেকে জনপ্রিয় পশু খাদ্য। বৈশিষ্ট : এই নতুন সংকর নেপিয়ার ঘাসের নিন্মলিখিত বৈশিষ্ট খুঁজে পেতে প্রায় ৬ বছর লেগেছিল, যেমন -- • দ্রুত বর্ধনশীল এবং উচ্চ ফলনশীল জাত .৬০ দিন বয়সী গাছ প্রায় ১০ ফুট লম্বা হয়.  এই সুপার নেপিয়ার বা