সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পানির উপরেই ভাসমান সবজি চাষ...............

পানির উপরেই ভাসমান সবজি চাষ............... বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় বছরের প্রায় পুরোটা সময় জলাবদ্ধ থাকে ৷ এ সব এলাকার ঊদ্দ্যোমী কৃষক বন্ধুরা ভাসমান পদ্ধতিতে গাছের চারা এবং সবজি উৎপাদন করে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে দার করিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায় । কৃষকের কৌশল:--- বছর জুড়েই জলাবদ্ধতা, সাথে কচুরিপানার মিছিল। এসকল এলাকার নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক উপায়ে কৃষিকাজ কার্যত অসম্ভব৷ তবে বৈরী এই পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়ন, উজিরপুরের হারতা এবং পিরোজপুর এর নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা, মুগাঝোর এর  কৃষকরা নিজেদের কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষিকাজ। ভাসমান কৃষিক্ষেত্র: এ সকল এলাকার পুরো জলাভূমতি যেন এক ভাসমান কৃষির স্বর্গরাজ্য। নিজেদের উদ্ভাবিত ‘ধাপ’ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেন এ সব এলাকার কৃষক ৷ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ‘কৃষি ঐতিহ্য অঞ্চল’ হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছো এ সকল অঞ্চলের কৃষকদের উদ্ভাবিত ভাসমান পদ্ধতির এ চাষাবাদ ৷ যেভাবে তৈরি হয় ধাপ: পানিতে ডুবে থাকা নিম্নাঞ্চল কচুরিপানা, দুলালীলতা, শ্যা
পরিবেশবান্ধব উপায়ে বালাই ব্যবস্হাপনা-- নিমপাতা-- ১ কেজি নিমপাতা আধাছায়ায় শুকিয়ে পাউডার বানাতে হবে। এই পাউডার দিয়ে ৪০ কেজি বীজ সংরক্ষণ করা যায়। নিমেরছাল-- ১ কেজি নিমেরছাল ভাল করে পিষে ১০ লি পানি+ ২০ গ্রাম সাবানের গুড়া + ১২-২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে ছেকে মাছিপোকা,বিছাপোকা ও জাবপোকা দমনের জন্য ৫ শতক জমিতে স্প্রে করা যায়। তামাকপাতা-- তামাক পাতা শুধু অপকার নয়, উপকার ও করে . কাঁচা ১ কেজি তামাকপাতা অথবা শুকনা প্রমাণ সাইজের ১০ টি পাতা কুঁচি কুঁচি করে কেটে ২০ গ্রাম ডিটারজেন্ট + ১০ লি পানির সাথে ১২-২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে কছলাতে হবে। ভাল করে ছেকে, মাইটস দমনের জন্য ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে। কালো কচু-- ১ কেজি পাতা কুঁচি কুঁচি করে কেটে ৫ লি পানিতে ৩০ মি আগুনে ফুটতে দিতে হবে। ঠান্ডা হলে ২০ গ্রাম ডাটারজেন্ট মিশিয়ে ভাল করে ছেকে বিপিএইচ দমনের জন্য ৩ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে। বিষকাটালি-- ১ কেজি কাঁচাপাতা ভাল করে পিষে ১ লি পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজায়ে ছেকে ২০ গ্রাম সাবান গুড়া মিশিয়ে ১০ লি মিশ্রণ তৈরি করে, মাছিপোকা, জাবপোকা,পাতা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার কীড়া দমনের জন্য ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে। আদা-- ১ কেজি
গিমাকলমী: আমি প্রথমে শাক হিসেবে মাটিতে চাষ শুরু করি, কারণ চাষ পদ্ধতিতে মাটিতে চাষের উপযোগী হিসেবে বর্ণিত । ভালো ফলন পাওয়ার পর পরীক্ষামুলক ভাবে কর্দমাক্ত মাটি ও পুকুরের পারে রোপণ করি । আলহামদুলিল্লাহ, তাতেও ব্যপক ফলন হয়েছে । এখন আমার শাকের চাহিদা মিটিয়ে পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছি । যারা গরু ,ছাগল বা টার্কির খামার করছেন এবং ঘাস চাষ নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন , তাদের জন্য এই গিমাকলমী চাষ একটি নির্ভরযোগ্য সমাধান হতে পারে । কারণ এটা উঁচু,নিচু , জলাবদ্ধ জমি আথবা জলাশয়ে চাষ করা সম্ভব । উল্লেখ্য, সাধারণ কলমী গরু বা ছাগল বেশী খেলে পায়খানা পাতলা হতে দেখা যায় । কিন্ত আমি এটা গরু বা ছাগলকে খেতে দিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন সমস্যার সম্মুখীন হইনি । #সকলের জন্য শুভকামনা --চাষা আলামিন জুয়েল ॥