সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
পরিবেশবান্ধব উপায়ে বালাই ব্যবস্হাপনা--

নিমপাতা--
১ কেজি নিমপাতা আধাছায়ায় শুকিয়ে পাউডার বানাতে হবে। এই পাউডার দিয়ে ৪০ কেজি বীজ সংরক্ষণ করা যায়।

নিমেরছাল--
১ কেজি নিমেরছাল ভাল করে পিষে ১০ লি পানি+ ২০ গ্রাম সাবানের গুড়া + ১২-২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে ছেকে মাছিপোকা,বিছাপোকা ও জাবপোকা দমনের জন্য ৫ শতক জমিতে স্প্রে করা যায়।

তামাকপাতা--
তামাক পাতা শুধু অপকার নয়, উপকার ও করে . কাঁচা ১ কেজি তামাকপাতা অথবা শুকনা প্রমাণ সাইজের ১০ টি পাতা কুঁচি কুঁচি করে কেটে ২০ গ্রাম ডিটারজেন্ট + ১০ লি পানির সাথে ১২-২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে কছলাতে হবে। ভাল করে ছেকে, মাইটস দমনের জন্য ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে।

কালো কচু--
১ কেজি পাতা কুঁচি কুঁচি করে কেটে ৫ লি পানিতে ৩০ মি আগুনে ফুটতে দিতে হবে। ঠান্ডা হলে ২০ গ্রাম ডাটারজেন্ট মিশিয়ে ভাল করে ছেকে বিপিএইচ দমনের জন্য ৩ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে।

বিষকাটালি--
১ কেজি কাঁচাপাতা ভাল করে পিষে ১ লি পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজায়ে ছেকে ২০ গ্রাম সাবান গুড়া মিশিয়ে ১০ লি মিশ্রণ তৈরি করে, মাছিপোকা, জাবপোকা,পাতা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার কীড়া দমনের জন্য ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে।

আদা--
১ কেজি পিষে ১ লি পানিতে মিশিয়ে ভাল করে ছেকে ৪ লি পানি ও ১০ গ্রাম সাবান গুড়ার মিশ্রণ, পাতা ঝলসানো রোগ দমনের জন্য ২.৫ শতক জমিতে স্প্রে  করতে হবে।

পিয়াজ--
৩ চা চামস রস (১৫ মিলি) ১ লি পানিতে মিশিয়ে পরিমান মত দ্রবণ তৈরি করে, ড্যাম্পিং অব রোগ দমনের জন্য বীজতলায় দিতে হবে।

পেপে পাতা--
১ কেজি পাতা পিষে ১ লি পানিতে মিশিয়ে ছেকে  + ২০গ্রাম সাবানের গুড়া + ৯ লি পানি মিশিয়ে ১০ লি মিশ্রণ তৈরি করে ছত্রাকজনিত রোগ দমনের জন্য ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে।

ডোল কমলি পাতা ও ডগা--
পরিমিত পরিমাণ পিষে ১ লি পানিতে মিশিয়ে,  নেমাটোড দমনের জন্য গাছের চারিদিকে বদনা দিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।


এ ছাড়া মেহগনি ফল, নিশিন্দা, জবার পাতা, গাধা ফুলের পাতা, রসুন, তুলষী, হলুদ, ধনিয়া ও গোলমরিচ দিয়ে উদ্ভিদের বালাই দমন করা যায়।
তথ্য --সংগৃহীত ও সংকলিত .

#সকল কৃষক বন্ধুর জন্য শুভ কামনায়-- চাষা আলামীন জুয়েল.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সব...

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা ...

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ...