সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জৈব কৃ্ষি :

জৈব কৃষি : ইদানিং অর্গানিক কৃ্ষি , জৈব কৃ্ষি , বিষমুক্ত কৃ্ষি নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে । আসলেই খুবই জরুরী একটা বিষয় । কারণ বিষযুক্ত কৃ্ষি পণ্য খাবার ফলে আমরা বিভিণ্ণ দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছি । ক্রমাগত পুরো জাতী বড় রকমের একটা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছি । কিন্ত এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি ? সকলেই একটি উত্তর দিচ্ছেন, আর সেটা হলো 'জৈব কৃ্ষি ব্যবস্থা' । কিন্ত মজার ব্যাপার হলো, আমাদের দেশের সচেতন মহল নিজেদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ভীষণ উদ্বিগ্ন । তাই তারা নিজেরা বাঁচার জণ্য কৃষককে জৈব কৃষির পরামর্শ দিচ্ছেন । খুবই ভালো কথা । কিন্ত কৃষকের কথা কি ভাবছেন আপনি ? কৃষকদের মৌলিক অধিকারগুলো নিয়ে একবারও আওয়াজ তুলেছেন কি ? কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ যে উৎপাদিত পণ্যের নায্যমূল্য না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে, তাদের জণ্য কোন কার্যকরী পদক্ষেপের দাবী করেছেন কি ? নিরাপদ কৃ্ষি উৎপাদন করে কৃষক আপনার মুখে খাদ্য তুলে দেবে, সেটা অবশ্যই ঠিক আছে । কিন্ত নির্ভেজাল খাদ্য খেয়ে আপনার নিজের গর্দান খানা আরো শক্তিশালী করে কৃষকের মাথায় লাঠি চালানোর আগে একবারও কি ভেবেছেন যে , এই

জৈষ্ঠ মাসে সবজি চাষীদের করণীয় :

জৈষ্ঠ মাসে সবজি চাষীদের করণীয় : 🌱মাঠে বা বসত বাড়ির আঙ্গিনায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির পরিচর্যা সতর্কতার সাথ করতে হবে। এ সময় সারের উপরি প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার, গোড়ায় মাটি তুলে দেয়া, লতা জাতীয় সবজির জন্য বাউনি বা মাচার ব্যবস্থা করা খুব জরুরি। 🌿লতানো সবজির দৈহিক বৃদ্ধি যত বেশি হবে তার ফুল ফল ধারণ ক্ষমতা তত কমে যায়। সেজন্য বেশি বৃদ্ধি সমৃদ্ধ লতার/গাছের ১৫-২০ শতাংশের পাতা লতা কেটে দিলে তাড়াতাড়ি ফুল ও ফল ধরবে। 🍀কুমড়া জাতীয় সব সবজিতে হাত পরাগায়ন বা কৃত্রিম পরাগায়ন অধিক ফলনে দারুণভাবে সহায়তা করবে। গাছে ফুল ধরা শুরু হলে প্রতিদিন ভোরবেলা হাতপরাগায়ন নিশ্চিত করলে ফলন অনেক বেড়ে যাবে। 🍐এ মাসে কুমড়া জাতীয় ফসলে মাছি পোকা দারুন ভাবে ক্ষতি করে থাকে। এক্ষেত্রে জমিতে খুঁটি বসিয়ে খুঁটির মাথায় ফেরোমোন ফাঁদ দিলে বেশ উপকার হয়। 🐞🐜সবজিতে ফল ছিদ্রকারী পোকা, জাব পোকা, বিভিন্ন বিটল পোকা সবুজ পাতা খেয়ে ফেলতে পারে। হাত বাছাই, পোকা ধরার ফাঁদ, ছাই ব্যবহার করে এসব পোকা দমন করা যায়। তাছাড়া আক্রান্ত অংশ কেটে ফেলে এবং সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে। 🌹সকলে সুস্থ্য থাকুন, ভালো থা

এদেশে কৃষিকাজ এর পুরুস্কার হলো লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ :

এদেশে কৃষিকাজ এর পুরুস্কার হলো লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ :   দেরিতে হলেও মানুষ আজ কিছুটা বুঝতে পেরেছে যে বেঁচে থাকতে হলে খাদ্য কতোটা জরুরী। আর সেই খাদ্য উৎপাদনে কৃ্ষকই আজ একমাত্র আশ্রয় স্থল । কিন্ত ধারবাহিক লোকসান গুনে গুনে কৃষক কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়েছে । যে আমি কৃষিকে উদ্বুদ্ধ করার জণ্য শত শত আর্টিকেল লিখেছি, সেই আমি নিজেই এখন কৃ্ষি বিমুখ । আর এর মূল কারণ, দেশে কৃষিবান্ধব পরিবেশ না থাকা । গত বছর কৃষক ৪০০/৪৫০ টাকা মন ধান বিক্রয় করেছে ।মন প্রতি লোকসান গুনতে হয়েছে ১৫০ টাকা । রোগের প্রাদুর্ভাব, বাচ্চা-খাদ্য -ভেকসিন /ঔষধ এর উচ্চ মূল্য, সব মিলিয়ে মোটা অংকের লোকসান । তাই একের পর এক পোল্ট্রি খামার বন্ধ হয়েছে । দুধের দাম কম, অথচ খাবারের দাম চড়া । দুধ বিক্রয় করে মূলধন ফেরৎ পাওয়া কিংবা লাভ তো দুরকা বাত, লেবার খরচ আর গরুর খাদ্যের যোগান দেয়াই খামারিদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে । তাই গরুর সেট সেও ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে । এই দেশে #কৃষিকাজ #এর #পুরুস্কার হলো লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ । মাননীয়, মাঠপর্যায়ে এসে দেখে যেতে পারেন । কি হালে আছে দেশের কৃষক । এরপরও কৃ্ষি কাজ কিভাবে করবে ? একই তো দশা বেশীরভাগ কৃষকের । কৃষ