সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ফলদ চারা গাছ ক্রয় বিক্রয়ে সতর্কতা :



ফলদ চারা গাছ ক্রয় বিক্রয়ে সতর্কতা :

সময় বদলেছে । যুগের সঙ্গে আমরাও আধুনিক হয়ে উঠছি । ক্রমশঃ আধুনিক হয়ে উঠছে বাংলার প্রাণভোমরা কৃষক। অনলাইনেই এখন বিভিন্ন পণ্য ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। আমরাও চারা গাছ ক্রয় বিক্রয় করছি । এসব আসলেই ভীষন আনন্দের । কৃষক যতো দ্রুত আধুনিক হবে , তাতো দ্রুত এগিয়ে যাবে আমাদের দেশ । কিন্ত অনলাইনে ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছূ উৎকণ্ঠা সৃস্টি হয়েছে । নতুন জাতের কিছূ ফলের চারার প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধির কারণে একদিকে যেমন এসকল চারা উচ্চ মূল্যে ক্রয়বিক্রয় হচ্ছে , অন্যদিকে গুটিকয়েক অসাধু নার্সারী ব্যবসায়ীর কারণে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা । এক জাতের নাম বলে অন্য জাতের চারা সরবরাহ করা , নিজস্ব নার্সারীর মাতৃগাছে ফল না আসলেও ( অপরিপক্ক বা পুরুষ গাছ ) সেই মাতৃগাছ থেকে সায়ন সংগ্রহ করে চারা তৈরী করা , নিন্মমানের চারা সরবরাহ করা এগুলো এখন নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাড়িয়েছে । যেকারণে ক্রেতা উচ্চমূল্য দিয়ে চারা ক্রয় করেও কাংখিত ফলন পাচ্ছে না । ফলশ্রুতিতে ক্রেতাগণ আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন । আর এর দীর্ঘ্যমেয়াদী প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নার্সারী ব্যবসায়ীদের উপর । তাই আমি ক্রেতাগণ কে অনুরোধ করবো, যে নিচের সতর্কতা অবলম্বন করে চারা গাছ ক্রয় করবেন । আশা করি তাহলে আপনি প্রতারিত হবেননা । চারা গাছ ক্রয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা : ক. আপনার নিকটতম নার্সারী থেকে চারা সংগ্রহ করুন । খ. সম্ভব হলে নিজে নার্সারী পরিদর্শন করে চারা ক্রয় করুন । গ. অনলাইনে নতুন জাতের ফলের চারা ক্রয় করলে ব্যক্তিগত পরিচিত নার্সারী থেকে চারা সংগ্রহ করুন । ঘ. পরিচিত বা অপরিচিত নার্সারী থেকে নতুন জাতের চারা যেমন আপেল/রামবুটান/খেজুর ইত্যাদি কিনলে অবশ্যই তার মাতৃ গাছে ফল ধরেছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন । ঙ. অনলাইনে চারা ক্রয়ের পূর্বে নার্সারির মালিক সহ পুরো নার্সারির এবং মাতৃগাছের ছবি বা ভিডিও দেখে নিতে পারেন । চ.অনলাইনে চারা ক্রয় করার সময় অবশ্যই চারার জাত উল্লেখিত ক্যাশমেমো নিবেন । ক্যাশমেমো ছাড়া কোন চারা সংগ্রহ করবেন না । আশা করি এই সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি চারা গাছ ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন । আর পোষ্টটি আপনার উপকারী মনে হলে বেশী বেশী শেয়ার করে সকলকে সতর্কতা অবলম্বনে সহায়তা করতে পারেন । সকলের জণ্য শুভকামনা--চাষা আলামিন জুয়েল ॥

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সব...

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা ...

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ...