CAJ - বিলুপ্তির পথে আমাদের আসল/আসিল মুরগীঃ
আসিল অর্থাৎ আসল বা খাঁটি। এটি বাংলাদেশের একটি পুরাতন ও বিশুদ্ধ জাতের মুরগি। চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানা ও ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল থানায় এ জাতের মুরগি প্রচুর পাওয়া যেত।
CAJ - আসিলের মূল বৈশিষ্ট্যঃ
১. এদের দেহের গঠন বলিষ্ঠ ও দৃঢ়, গলা ও পা দুটো লম্বা।
২. এদের মাথা বেশ চওড়া এবং মাথায় মটর ঝুঁটি থাকে।
৩. দেহে পালক কম থাকে ও পালকের রং সাধারণত লাল হয়।
৪. ঠোঁট বেশ বড় ও মজবুত।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী ।
CAJ- আসিলের উপযোগীতাঃ
এরা বেশ বড় হয়। এ জাতের মোরগ বেশ শক্তিশালী ও ভালো লড়াই করতে পারে। তাই অনেকে শখ করে এদের পালন করে থাকে। মাংস উৎপাদনের জন্য খুব শ্রেয় এবং এদের মাংস খুব সুস্বাদু। যেখানে উন্নত খাবার, ঔষধ দিয়ে ব্রয়লার মুরগিকে আমরা মাংস উৎপাদনে কাজে লাগাই, সেখানে স্বাভাবিক খাবার দিলে ১১০-১২০ দিনে একটি আসিল মোরগ ও মুরগীর ওজন যথাক্রমে ৩.৫ - ৪.০ এবং ২.৩- ৩.০ কেজি হয়।
#কিন্তু দুখের বিষয়, বর্তমানে আমাদের দেশিয় এই জাতটির সংখ্যা ভীষণ ভাবে কমে গিয়ে বিলুপ্তির পথে। কম পাওয়া যায় বলে বাজার মুল্যও প্রচুর। আমরা একটু সচেতন ও আগ্রহী হলে এই জাতটিকে টিকিয়ে রাখতে পারি। পাশাপাশি পরিবারের মাংসের চাহিদা পূরণে হতে পরে উত্কৃষ্ট এই আসিল ॥
নিজেদের দেশিয় জাতগুলিকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই আসুন, সকলে একটু আন্তরিক হই, আগ্রহী হই। আমাদের সকলের একটু একটু প্রচেষ্টায়, টিকে যেতে পারে আমাদের নিজস্ব একটি জাত। এদের রক্ষা করা যেতে পারে বিলুপ্তির হাত থেকে। --- চাষা আলামীন জুয়েল *
আসিল অর্থাৎ আসল বা খাঁটি। এটি বাংলাদেশের একটি পুরাতন ও বিশুদ্ধ জাতের মুরগি। চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানা ও ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল থানায় এ জাতের মুরগি প্রচুর পাওয়া যেত।
CAJ - আসিলের মূল বৈশিষ্ট্যঃ
১. এদের দেহের গঠন বলিষ্ঠ ও দৃঢ়, গলা ও পা দুটো লম্বা।
২. এদের মাথা বেশ চওড়া এবং মাথায় মটর ঝুঁটি থাকে।
৩. দেহে পালক কম থাকে ও পালকের রং সাধারণত লাল হয়।
৪. ঠোঁট বেশ বড় ও মজবুত।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী ।
CAJ- আসিলের উপযোগীতাঃ
এরা বেশ বড় হয়। এ জাতের মোরগ বেশ শক্তিশালী ও ভালো লড়াই করতে পারে। তাই অনেকে শখ করে এদের পালন করে থাকে। মাংস উৎপাদনের জন্য খুব শ্রেয় এবং এদের মাংস খুব সুস্বাদু। যেখানে উন্নত খাবার, ঔষধ দিয়ে ব্রয়লার মুরগিকে আমরা মাংস উৎপাদনে কাজে লাগাই, সেখানে স্বাভাবিক খাবার দিলে ১১০-১২০ দিনে একটি আসিল মোরগ ও মুরগীর ওজন যথাক্রমে ৩.৫ - ৪.০ এবং ২.৩- ৩.০ কেজি হয়।
#কিন্তু দুখের বিষয়, বর্তমানে আমাদের দেশিয় এই জাতটির সংখ্যা ভীষণ ভাবে কমে গিয়ে বিলুপ্তির পথে। কম পাওয়া যায় বলে বাজার মুল্যও প্রচুর। আমরা একটু সচেতন ও আগ্রহী হলে এই জাতটিকে টিকিয়ে রাখতে পারি। পাশাপাশি পরিবারের মাংসের চাহিদা পূরণে হতে পরে উত্কৃষ্ট এই আসিল ॥
নিজেদের দেশিয় জাতগুলিকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই আসুন, সকলে একটু আন্তরিক হই, আগ্রহী হই। আমাদের সকলের একটু একটু প্রচেষ্টায়, টিকে যেতে পারে আমাদের নিজস্ব একটি জাত। এদের রক্ষা করা যেতে পারে বিলুপ্তির হাত থেকে। --- চাষা আলামীন জুয়েল *



মন্তব্যসমূহ