মাছের রোগ বালাই ও প্রতিকার-----
মাছের রোগের নাম,আক্রান্ত মাছের প্রজাতি,রোগের লক্ষন ও কারণ,চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ,প্রতিষেধক ও প্রতিকার সম্পর্কে নিন্মে কিছু বর্ণনা দেয়ার চেষ্টা করছি------
#ছত্রাক রোগ (সেপ্রোল্গেনিয়াসিস)----আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - রুই জাতীয় ও অন্যান্য চাষ যোগ্য মাছ।
রোগের লক্ষন ও কারণ-----আক্রান্ত মাছের ক্ষতস্থানে তুলার ন্যায় ছত্রাক দেখা দেয় এবং পানির স্রোত যখন স্থির হয়ে যায় কিংবা বদ্ধজলায় অথবা হ্যাচারী ট্যাংকে যেখানে অনিষিক্ত ডিমের ব্যাপক সমাগম ঘটে উহাতে ছত্রাক রোগ দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করে। এমনি ধরনের প্রাকৃতিক জলাশয়ে প্রায় শতকরা ৯৮ ভাগ মাছের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেপ্রোলেগনিয়া প্রজাতি এ রোগের কারণ।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ-----ক. হ্যাচারিতে লালনকৃত ডিমগুলোকে ২৫০ পিপিএম ফরমালিন দিয়ে ধৌত করা। খ. খাচা এবং পেনে চাষকৃত আক্রান্ত মাছগুলোকে শতকরা ৩-৫ ভাগ ফরমালিন দিয়ে ২-৩ মিনিট গোসল দেয়া।
গ. বিকল্প হিসাবে শতকরা ৫ ভাগ লবন পানিতে গোসল দেয়া যেতে পারে।
প্রতিষেধক/প্রতিকার----ক. হ্যাচারীর প্রতিটি যন্ত্রপাতি ও ট্যাংক সম্পূর্ণরুপে পরিষ্কার করার পর শতকরা ১০ ভাগ ফরমালিন পানি দিয়ে ধৌত করা।
খ. অনিষিক্ত ও মৃত ডিমগুলোকে অবিলম্বে হ্যাচারি ট্যাংক থেকে সরিয়ে নেয়া এবং অধিক খাদ্য প্রয়োগ না করা।
#মাছের ক্ষত রোগ (ইপিজুটিকআরসারেটিভসিনড্রোম ) ধরন ১--আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - শোল, গজার, টাকি, পুঁটি, বাইম, কৈ, মেনি, মৃগেল, কার্পিও এবং তলায় বসবাসকারী অন্যান্য প্রজাতির মাছ।
রোগের লক্ষন ও কারণ----এ রোগের মুল কারণ এ্যাফানোমাইসিস ইনভাডেনস্ নামক ছত্রাক।মাছের মাংসপেশী আক্রান্ত হয়। এছাড়া কিছু ব্যবকটিরিয়া, প্রোটোজোয়া সংশ্লিষ্ট আছে বলে জানা যায়। রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বে পানির গুনাগুনের অবনতি ঘটে, যেমনঃ
* হঠাৎ তাপমাত্রার কমতি (১৯° সেঃ এর কম)। * পি, এইচ-এর কমতি (৪-৬)।
* এ্যালকালিনিটির কমতি (৪৫-৭৪ পিপিএম)। * হার্ডনেস-এর কমতি (৫০-৮০ পিপিএম)। * ক্লোরাইড এর স্বল্পতা (৩-৬ পিপিএম)।
চিকিৎসাও ঔষধ প্রয়োগ---নিরাময়ের জন্য ০.০১ পিপিএম চুন ও ০.০১ পিপিএম লবন অথবা ৭-৮ ফুট গভীরতায় প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন ও ১ কেজি হারে লবন প্রয়োগ করলে আক্রান্ত মাছগুলো ২ সপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে।
প্রতিষেধক/প্রতিকার---আগাম প্রতিকার হিসাবে আশ্বিন কার্তিক মাসে বর্ণিত হারে লবন ও চুনের প্রয়োগ করলে আসন্ন পরবর্তী শীত মৌসুমে মাছের ক্ষত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়।
#ক্ষত রোগ, ধরন ২---আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - সিলভার কার্প
রোগের লক্ষন ও কারণ----উপকূলীয় অঞ্চলে মাছ চাষের পুকুর বন্যায় প্লাবিত হলে ক্লোরাইডের পরিমান অস্বাভাবিক বৃদ্ধির (৩০ পিপিএম এর অধিক) ফলে কেবল মাত্র সিলভার কার্প মাছে দ্রুত ক্ষত রোগ দেখা দেয়।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ---ক. আক্রান্ত পুকুরে তিন ভাগের দুই ভাগ পানি মিঠা পানির দ্ধারা পরিবর্তন করা। খ. প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ৩/৪টি হারে চালতা ছেঁচে সারা পুকুরে ছড়িয়ে দিতে হবে।
প্রতিষেধক/প্রতিকার---ক. বর্ণিতহারে চালতা প্রয়েগের ফলে ক্ষতরোগ আক্রান্ত সিলভার কার্প দ্রুত আরোগ্য লাভ করে। খ. পুকুরকে বন্যামুক্ত রাখুন।
#পাখনা অথবা লেজ পঁচা রোগ---আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - রুই জাতীয় মাছ, শিং মাগুর ও পাঙ্গাস মাছ।
রোগের লক্ষন ও কারণ---ক. প্রাথমিক ভাবে পিঠের পাখনা এবং ক্রমান্বয়ে অন্যান্য পাখনা আক্রান্ত হয়। এ্যারোমোনাড্স ও মিক্সোব্যাকটার গ্রুপের ব্যাকটেরিযা দ্ধারা এ রোগের সৃষ্টি হয়। খ. পানির পি-এইচ ও ক্ষরতার স্বল্পতা দেখা দিলে এ রোগ দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ---ক. ০৫ পিপিএম পটাশযুক্ত পানিতে আক্রান্ত মাছকে ৩-৫ মিনিট গোসল করাতে হবে। খ. পুকুরে সার প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে।
প্রতিষেধক/প্রতিকার---ক. রোগজীবানু ধ্বংসের পর মজুদকৃত মাছের সংখ্যা কমাবেন। খ. প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করুন।
#পেটফোলা রোগ---আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - রুই জাতীয় মাছ, শিং মাগুর ও পাঙ্গাস মাছ।
রোগের লক্ষন ও কারণ---ক. মাছের দেহের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় এবং পানি ও সঞ্চালনের মাধ্যমে পেট ফুলে যায়। খ. মাছ ভারসাম্যহীনভাবে চলাচল করে এবং পানির ওপর ভেসে থাকে । অচিরেই আক্রান্ত মাছের মৃত্যু ঘটে।
গ. এ্যারোমোনাড্স ব্যাকটেরিয়া এ রোগের কারণ।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ---ক. খালী সিরিঞ্জ দিয়ে মাছের পেটের পানিগুলো বের করে নিতে হবে। প্রতি কেজি মাছের জন্য ২৫ মিঃ গ্রাঃ হারে ক্লোরেমফেনিকল ইনজেকশন দিতে হবে। অথবা, খ. প্রতি কেজি খাবারের সাথে ২০০ মিঃ গ্রাঃ ক্লোরেমফেনিকল পাউডার মিশিয়ে সরবরাহ করা।
প্রতিষেধক/প্রতিকার---ক. প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করুন। খ. মাছের খাবারের সাথে ফিশমিল ব্যবহার করুন। গ. মাছকে সুষম খাদ্য সরবরাহ করবেন। ঘ. প্রাকৃতিক খাবার হিসেবে প্লাংকটনের স্বাভাবিক উৎপাদন নিশ্চিত করুন।
#সাদা দাগ রোগ---আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - মৃগেল ও রুই মাছের পোনা।
রোগেরলক্ষনওকারণ---ক. পোনা মাছের আঁইশ, পাখনাসহ সারা দেহে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাদা দাগ দেখা দেয়। খ. প্রায় ২ সপ্তাহকালীন সময় অব্যাহত থাকে।
গ. এ রোগ ব্যাকটেরিয়া জনিত।
চিকিৎসাওঔষধপ্রয়োগ--- মাছের সংখ্যা কমিয়ে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি করা। জীবানু মুক্ত পানিতে দুই সপ্তাহের মধ্যে মাছ স্বাভাবিকভাবেই আরোগ্য লাভ করে। বিশেষ কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
প্রতিষেধক/প্রতিকার---চুন প্রয়োগের মাধ্যমে পোনা মাছের লালন পুকুর প্রস্তুত করলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব এড়ানো যায়।
#মিক্সো-বোলিয়াসিস---আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - রুই জাতীয় মাছ।
রোগের লক্ষন ও কারণ---ক. মিক্সো-বোলাস প্রজাতির এককোষী প্রাণী রুই জাতীয় মাছের বিশেষ করে কাতলা মাছের ফুলকার উপরে সাদা কিংবা হালকা বাদামী গোলাকার গুটি তৈরী করে বংশ বৃদ্ধি করতে থাকে। ক্রমান্বয়ে ঐ গুটির প্রভাবে ফুলকায় ঘা দেখা যায় এবং ফুলকা খসে পড়ে। শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যাঘাত সৃষ্টিতে মাছ অস্থিরভাবে ঘোরাফেরা করে এবং খাবি খায়। শেষ রাতের দিকে ব্যাপক মড়ক দেখা যায়।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ---ক. অদ্যাবধি এই রোগের সরাসরি কোন চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয় নাই। খ. তথাপিও প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করলে পানির গুনাগুন বৃদ্ধি পেয়ে অম্লত্ব দূর হয়। পরজীবিগুলো ক্রমান্বয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং মাছ নিষ্কিৃতি লাভ করে।
প্রতিষেধক/প্রতিকার---পুকুর প্রস্তুতকালীন প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করে মাটি শোধন করা হলে আসন্ন মৌসুমে এ রোগের প্রকোপ থাকে না। ( তথ্য সুত্র---কৃষি তথ্য সার্ভিস )
#মাছের উকুন রোগ--- আক্রান্ত মাছের প্রজাতি--এ রোগে সাধারণত রুই মাছ, কখনো কখনো কাতল মাছও আক্রান্ত হতে পারে।
রোগের লক্ষন ও কারণ---গ্রীষ্মকালে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এ রোগে মাছের সারা দেহে উকুন ছড়িয়ে দেহের রস শোষণ করে মাছকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। এতে মাছ ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে মারা যায়।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ---শতকরা আড়াই ভাগ লবণ দ্রবণে কিছু সময় আক্রান্ত মাছ ডুবিয়ে রাখলে উকুনগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়বে। এমতাবস্খায় হাত কিংবা চিমটা দিয়ে উকুনগুলো মাছের শরীর থেকে তুলে ফেলতে হবে।
#পুষ্টির অভাবজনিত রোগ-- আক্রান্ত মাছের প্রজাতি---এ রোগে পুকুরে চাষযোগ্য যেকোনো মাছই আক্রান্ত হতে পারে।
রোগের কারন ও লক্ষণ---ভিটামিন এ.ডি এবং কে-এর অভাবে মাছ অìধত্ব এবং হাড় বাঁকা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। মাছের খাবারে আমিষের ঘাটতি দেখা দিলেও মাছের স্বাভাবিক বর্ধনপ্রক্রিয়া বিঘিíত হয়। অচিরেই মাছ নানা রোগের কবলে পড়ে।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ---এসব রোগে আক্রান্ত মাছকে খাবারের সাথে প্রয়োজনীয় মাত্রায় সুনির্দিষ্ট ভিটামিন ও খনিজ লবণ মিশিয়ে খাওয়ানো হলে যথা শিগগিরই মাছের শারীরিক সুস্থ্যতা পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়।
#কৈ মাছের রোগ-বালাই ও প্রতিকার---
কৈ মাছের রোগ-বালাই : চাষের সময়ে কৈ মাছের ক্ষতরোগ ছাড়া আর কোনো রোগ দেখা যায় না। সাধারণত নমুনায়ন পরীক্ষার সময় পুকুরে ছাড়া মাছগুলোই পরবর্তীতে ক্ষতরোগে আক্রান্ত হয় যা পরবর্তীতে ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে। এ ছাড়া ঘন ঘন জাল টানলেও ক্ষতরোগ দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার : কৈ মাছের ক্ষতরোগ খুব দ্রুত ছড়ায়। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিলে তাড়াতাড়ি ভালও হয়ে যায়। ক্ষতরোগের জন্য শতাংশপ্রতি এক কেজি লবণ পানির সাথে মিশিয়ে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। এভাবে এক সপ্তাহ পর আরেকবার একই হারে প্রয়োগ করতে হবে।
শীতকালীন পরিচর্যা : থাই কৈ এর সাধারণত শীতকালে ক্ষতরোগ দেখা দেয়। তাই শীতকাল আসার আগেই মাছ বাজারজাত করতে হবে। তবে সর্তকতার সাথে ভাল ব্যবস্থাপনা নিলে শীতকালেও মাছ মজুদ রাখা যায়। শীতকালে মাছ মজুদ রাখার জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে-
১. সপ্তাহে অন্তত একদিন পুকুরের পানি পরিবর্তন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ২ ফুট পানি কমিয়ে শ্যালো দিয়ে নতুন পানি ভরে দিতে হবে। ২. প্রতি ১৫ দিন পর পর শতাংশপ্রতি এক কেজি লবণ সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।
৩. মাছের ঘনত্ব প্রতি শতাংশে ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে আনতে হবে।
৪. শীতকালে অবশ্যই ভাসমান খাবার প্রয়োগ করতে হবে। খাবারের অপচয় থেকেও মাছের রোগ-বালাই হতে পারে। ১৫ দিন পর পর মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। যদি মাছের গায়ে কোনো রোগের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে সাথে সাথে বাজারজাত করতে হবে। কেননা কৈ মাছে কোনো রোগ থাকলে বাজারে এর মূল্য পাওয়া যায় না। ৫. মাছের বাজারজাত ছাড়া কোনো অবস্থাতেই ব্যাপক হারে জাল টানা যাবে না। ( তথ্য-- এগ্রো বাংলা )
#তেলাপিয়া মাছের রোগ ও প্রতিকার----তেলাপিয়া মাছের রোগ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হল:
রোগের লক্ষণ ---১. মাছের কানকোর কিছু অংশ বিবর্ণ হয়ে যায়। ---
২. অঙ্কীয়দেশে কিছু অনাকাংখিত ক্ষত দাগ দেখা যায়। ৩. মাছের পিত্তথলী স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড় হয়ে যায়। ৪. কেবল ১০০ থেকে ৪০০ গ্রামের মাছেই এই রোগ দেখা যায়। ৫. আক্রান্ত- হওয়ার সাথে সাথে মাছ দ্রুত মারা যায়। ৬. মৃত্যুর আগে মাছগুলো কুণ্ডলি আকারে ঘোরাফেরা করে।
সম্ভাব্য কারণ --- ১. কোনো অনুজীবের যেমন- ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া আক্রমণ,
২. পরিবেশগত বিশৃঙ্খলতা। ৩. আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক সার কিংবা আগাছা নাশকের ব্যবহার। ৪. মাছের জন্য অতিরিক্ত খাবার সরবরাহ। ৫. মাছের অধিক ঘনত্ব। ৬,অক্সিজেন সরবরাহ কম ইত্যাদি।
করণীয় ---১. অধিক পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে,
২. মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে। ৩. খাদ্য সরবরাহ কমাতে হবে, ৪,এন্টিবায়োটিক ডোজ বাড়াতে হবে,
(তথ্য প্রদানে-- বিকাশ কীর্ত্তনিয়া, বাকৃবি, ময়মনসিংহ)
#বাগদা চিংড়ির রোগ----
প্রতিকার ও প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা---পুকুর বা ঘেরের চিংড়ির অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দিলেই বুঝতে হবে চিংড়ি রোগের আক্রান্ত হয়েছে। মাটির প্রকৃতি, পানির তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, অক্সিজেন, পি এইচ ইত্যাদির সমষ্ঠিগত বৈশিষ্ঠ্যের এক বা একাধিক গুণাবলী খারাপ হলে চিংড়ি দুর্বল ও রোগাক্রান্ত হয়। অধিক হারে পোনা মজুদ, অতিরিক্ত খাদ্য ও সার প্রয়োগ, কম গভীরতা উচ্চতাপ, হঠাৎ করে লবণাক্ত কম বেশী হওয়া ইত্যাদি অসহনীয় পরিবেশের কারণেই রোগের প্রাদুর্ভাব হয়।
চিংড়ি রোগের সাধারণ লক্ষণ---চিংড়ি পুকুরের পাড়ের কাছে বিচ্ছিন্ন ও অলস অবস্থায় ঘোরা ফেরা করলে। খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দিলে বা একেবারে বন্ধ করলে, খাদ্য নালী শূন্য থাকলে। ফুলকায় কালো বা হলদে দাগ পড়বে বা অস্বাভাবিক রং দেখা দিলে। ফুলকা পঁচন ধরলে। পেশী সাদা বা হলদে হয়ে গেলে।
চিংড়ির ‘খোলস’ নরম হয়ে গেলে। হাত পা বা মাথার উপাঙ্গ ও গেতে পঁচন ধরলে। চিংড়ির খোলস এবং মাথায় সাদা সাদা দাগ হলে। চিংড়ি হঠাৎ বা ধীরে ধীরে মরে গেলে।
রোগের নাম, কারণ ও লক্ষন----
#হোয়াইট স্পট বা চায়না ভাইরাস রোগ---চিংড়ি পোনা ঘেরে ছাড়ার ৩০-৭০ দিনের মধ্যে এ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রথম দিকে রোগের কোন বাহ্যিক লক্ষণ দেখা যায়না। ৩/৪ দিন পর রোগর তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। চিংড়ি পাড়ের কাছে জড়ো হয় এবং গায়ে, মাথায় খোলসে সাদা সাদা স্পট দেখা যায় এবং নির্লাভ বা লালচে হয়ে যায়।
চিকিৎসা প্রতিকার---তেমন কোন চিকিৎসা নেই। আজে বাজে ঔষধ বা কেমিক্যাল ব্যবহার না করে পানির গুণগত মান উন্নত করতে হবে।
প্রতিরোধ---ঘেরের তলদেশের পচাঁ কাদা মাটি তুলে ফেলুন। চুন ও সার দিয়ে জমি প্রত্তুত করতে হবে। অন্য রোগাক্রান্ত খামারের বর্জ্য বা পানি যাতে ঘেরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে সতক দৃষ্টি রাখতে হবে।
#মস্তক হলুদ রোগ---Yellow Head নামক ভাইরাস দ্বারা এ রোগ হয়। যকৃত অগ্ন্যাশয় গ্রন্হি, ফ্যাকাশে হবার ফলে মস্তক হলুদ বর্ণ ধারণ করে। পোনা মজুদের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে এ রোগ ধরা পড়ে। এরোগে ও ব্যাপক আকারে চিংড়ি মারা যায়।
চিকিৎসা প্রতিকার---এরোগে চিকিৎসায় ঔষধে কাজ হয়না। ফাইটো ফ্লাংকটন চাষ করলে এ রোগ অনেকটা নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।
প্রতিরোধ---খামারের তলদেশে ভালমত রোদে শুকিয়ে চাষ করে ব্লিচিং পাউডার/চুন দিয়ে ভাল করে মাটি শোধন করে নিতে হবে।
#চিংড়ির কালো ফুলকা রোগ---পুকুরের তলায় মাত্রাতিরিক্ত হাইড্রোজেন সালফাইট এবং অন্যান্য জৈব পদার্থের কারণে এ রোগ দেখা যায়। এরোগে চিংড়ির ফুলকায় কাল দাগ ও পচন দেখা যায়। খাদ্য গ্রহণে অনীহা দেখা যায়। আক্রান্ত চিংড়ি ধীরে ধরে মারা যায়।
চিকিৎসা প্রতিকার---পুকুরের তলদেশে আচড়িয়ে দিয়ে বা হড়া টেনে দ্রুত পানি পরিবর্তনের ফলে এ রোগে উন্নতি হয়। গলদা চাষে মিথাইলিন ব্লু ব্যবহার করে ভাল ফল পাওয়া যায়। Ascorbic acid 2000 mg/কেজি খাদ্যে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালফল পাওয়া যায়।
প্রতিরোধ---পুকুর প্রস্তুতকালীন সময়ে তলদেশের কাঁদা মাটি তুলে ভালমত শুকিয়ে এবং পরিমানমত চুন/ডলমাইট/ব্লিচিং পাউডার দিতে হবে। পুকুরের পাড়ে পাতা ঝরা গাছ কেটে ফেলতে হবে।
#কাল দাগ রোগ---এটা চিংড়ির এক মারাত্নক ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। পুকুরের অত্যধিক জৈব পদার্থ থাকার কারণে এ রোগ হয়। চিংড়ির খোলস লেজ ও ফুলকায় কাল কাল দাগ হয়। খোলসের গায়ে ছিদ্র হয়। পরবর্তীতে ফাঙ্গাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে চিংড়ি মারা যায়।
চিকিৎসা প্রতিকার---দ্রুত পানি পরিবর্তন এবং প্যাডেল হুইলের সাহায্যে বায়ু সঞ্চালনে রোগের প্রকোপ কমে যায়। মিথাইল ব্লু (২-৫ পিপিএম) পানিতে ব্যবহার করে রোগ নিরাময় করা যায়।
প্রতিরোধ---পুকুরের তলার পঁচা কাদা মাটি তুলে, ভাল মত শুকিয়ে চুন ও সার দিয়ে পুকুর ভালভাবে প্রস্তুত করতে হবে।
#খোলস নরম রোগ---ক্যালসিয়াম জনিত পুষ্ঠির অভাবে এ রোগ হয়। অনেকে এক স্পঞ্জ রোগ বলে। পানির লবণাক্ততা কমে গেলে ও এ রোগে বাগদা চিংড়ি আক্রান্ত হতে পারে। খোলস বদলানোর ২৪ ঘন্টা পর ও শক্ত হয় না, কম বাড়ে ও ক্রমশঃ দূবল হয়ে মারা যায়।
চিকিৎসা প্রতিকার---ক্যালসিয়ামসহ সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করে পুষ্টির অভাব দুর করতে পারলে এ রোগ ভাল হয়। পানিতে শতাংশে ১ কেজি পরিমান পাথুরে চুন প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
প্রতিরোধ---ভাল মত পুকুর শুকিয়ে চুন দিয়ে চাষের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। রোগের আক্রমণ হলে বড় চিংড়ি ধরে ফেলতে হবে। খামারে পানি নিষ্কাশনের ও প্রবেশের পৃথক ব্যবস্থা রাখতে হবে।
চিংড়ি চাষে সতর্কতা ও করনীয়----প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
চিংড়ি ঘেরের আকার ছোট করুন ও আলাদা নার্সারীর ব্যবস্থা করুন।
পোনা মজুদহার একর প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজারের মধ্যে রাখুন। ঘের ভূক্ত আলাদা নাসারীতে চিংড়ি পোনা ২-৩ সপ্তাহ প্রতিপালনের পর চাষের ঘেরে নালা কেটে বের করে দিন। প্রস্তুত কালীন সময়ে পরিমিত চুন (কমপক্ষে শতাংশে ১ কেজি) প্রয়োগ করুন। চাষকালীন সময়ে পানি পরিবর্তনের পরপরই প্রতি শতাংশে ৫০-১০০ গ্রাম কার্বনেট চুন প্রয়োগ করে পানি শোধন করুন। ঘেরের পানির গভীরতা কম পক্ষে ৩-৪ ফুট রাখুন। ১৫ দিন বা একমাস অন্তর অন্তর ঘেরের পানি বের করে নতুর পানি ঢুকানোর ব্যবস্থা করুন।
রাক্ষুসে মাছ, কাকরা ও অন্যান্য চিংড়ি ভূক প্রাণী নিয়ন্ত্রণ করুন। খামার জলজ আগাছা মুক্ত রাখুন ও বাঁশের কনচি /গাছের শুকনা ডালপালা দিয়ে আশ্রয় করে দিন। সর্বোপরি কোন সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে নিকটস্থ মৎস্য কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করুন। ( তথ্য--সংগৃহীত ও সংকলিত )
#সকল মৎস্য চাষি ভাইয়ের খামার হোক রোগমুক্ত ও লাভজনক। সকলের মুখে ফুটুক প্রশান্তির হাসি। শুভকামনায়----চাষা আলামীন জুয়েল *
মাছের রোগের নাম,আক্রান্ত মাছের প্রজাতি,রোগের লক্ষন ও কারণ,চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ,প্রতিষেধক ও প্রতিকার সম্পর্কে নিন্মে কিছু বর্ণনা দেয়ার চেষ্টা করছি------
#ছত্রাক রোগ (সেপ্রোল্গেনিয়াসিস)----আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - রুই জাতীয় ও অন্যান্য চাষ যোগ্য মাছ।
রোগের লক্ষন ও কারণ-----আক্রান্ত মাছের ক্ষতস্থানে তুলার ন্যায় ছত্রাক দেখা দেয় এবং পানির স্রোত যখন স্থির হয়ে যায় কিংবা বদ্ধজলায় অথবা হ্যাচারী ট্যাংকে যেখানে অনিষিক্ত ডিমের ব্যাপক সমাগম ঘটে উহাতে ছত্রাক রোগ দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করে। এমনি ধরনের প্রাকৃতিক জলাশয়ে প্রায় শতকরা ৯৮ ভাগ মাছের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেপ্রোলেগনিয়া প্রজাতি এ রোগের কারণ।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ-----ক. হ্যাচারিতে লালনকৃত ডিমগুলোকে ২৫০ পিপিএম ফরমালিন দিয়ে ধৌত করা। খ. খাচা এবং পেনে চাষকৃত আক্রান্ত মাছগুলোকে শতকরা ৩-৫ ভাগ ফরমালিন দিয়ে ২-৩ মিনিট গোসল দেয়া।
গ. বিকল্প হিসাবে শতকরা ৫ ভাগ লবন পানিতে গোসল দেয়া যেতে পারে।
প্রতিষেধক/প্রতিকার----ক. হ্যাচারীর প্রতিটি যন্ত্রপাতি ও ট্যাংক সম্পূর্ণরুপে পরিষ্কার করার পর শতকরা ১০ ভাগ ফরমালিন পানি দিয়ে ধৌত করা।
খ. অনিষিক্ত ও মৃত ডিমগুলোকে অবিলম্বে হ্যাচারি ট্যাংক থেকে সরিয়ে নেয়া এবং অধিক খাদ্য প্রয়োগ না করা।
#মাছের ক্ষত রোগ (ইপিজুটিকআরসারেটিভসিনড্রোম ) ধরন ১--আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - শোল, গজার, টাকি, পুঁটি, বাইম, কৈ, মেনি, মৃগেল, কার্পিও এবং তলায় বসবাসকারী অন্যান্য প্রজাতির মাছ।
রোগের লক্ষন ও কারণ----এ রোগের মুল কারণ এ্যাফানোমাইসিস ইনভাডেনস্ নামক ছত্রাক।মাছের মাংসপেশী আক্রান্ত হয়। এছাড়া কিছু ব্যবকটিরিয়া, প্রোটোজোয়া সংশ্লিষ্ট আছে বলে জানা যায়। রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বে পানির গুনাগুনের অবনতি ঘটে, যেমনঃ
* হঠাৎ তাপমাত্রার কমতি (১৯° সেঃ এর কম)। * পি, এইচ-এর কমতি (৪-৬)।
* এ্যালকালিনিটির কমতি (৪৫-৭৪ পিপিএম)। * হার্ডনেস-এর কমতি (৫০-৮০ পিপিএম)। * ক্লোরাইড এর স্বল্পতা (৩-৬ পিপিএম)।
চিকিৎসাও ঔষধ প্রয়োগ---নিরাময়ের জন্য ০.০১ পিপিএম চুন ও ০.০১ পিপিএম লবন অথবা ৭-৮ ফুট গভীরতায় প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন ও ১ কেজি হারে লবন প্রয়োগ করলে আক্রান্ত মাছগুলো ২ সপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে।
প্রতিষেধক/প্রতিকার---আগাম প্রতিকার হিসাবে আশ্বিন কার্তিক মাসে বর্ণিত হারে লবন ও চুনের প্রয়োগ করলে আসন্ন পরবর্তী শীত মৌসুমে মাছের ক্ষত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়।
#ক্ষত রোগ, ধরন ২---আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - সিলভার কার্প
রোগের লক্ষন ও কারণ----উপকূলীয় অঞ্চলে মাছ চাষের পুকুর বন্যায় প্লাবিত হলে ক্লোরাইডের পরিমান অস্বাভাবিক বৃদ্ধির (৩০ পিপিএম এর অধিক) ফলে কেবল মাত্র সিলভার কার্প মাছে দ্রুত ক্ষত রোগ দেখা দেয়।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ---ক. আক্রান্ত পুকুরে তিন ভাগের দুই ভাগ পানি মিঠা পানির দ্ধারা পরিবর্তন করা। খ. প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ৩/৪টি হারে চালতা ছেঁচে সারা পুকুরে ছড়িয়ে দিতে হবে।
প্রতিষেধক/প্রতিকার---ক. বর্ণিতহারে চালতা প্রয়েগের ফলে ক্ষতরোগ আক্রান্ত সিলভার কার্প দ্রুত আরোগ্য লাভ করে। খ. পুকুরকে বন্যামুক্ত রাখুন।
#পাখনা অথবা লেজ পঁচা রোগ---আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - রুই জাতীয় মাছ, শিং মাগুর ও পাঙ্গাস মাছ।
রোগের লক্ষন ও কারণ---ক. প্রাথমিক ভাবে পিঠের পাখনা এবং ক্রমান্বয়ে অন্যান্য পাখনা আক্রান্ত হয়। এ্যারোমোনাড্স ও মিক্সোব্যাকটার গ্রুপের ব্যাকটেরিযা দ্ধারা এ রোগের সৃষ্টি হয়। খ. পানির পি-এইচ ও ক্ষরতার স্বল্পতা দেখা দিলে এ রোগ দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ---ক. ০৫ পিপিএম পটাশযুক্ত পানিতে আক্রান্ত মাছকে ৩-৫ মিনিট গোসল করাতে হবে। খ. পুকুরে সার প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে।
প্রতিষেধক/প্রতিকার---ক. রোগজীবানু ধ্বংসের পর মজুদকৃত মাছের সংখ্যা কমাবেন। খ. প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করুন।
#পেটফোলা রোগ---আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - রুই জাতীয় মাছ, শিং মাগুর ও পাঙ্গাস মাছ।
রোগের লক্ষন ও কারণ---ক. মাছের দেহের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় এবং পানি ও সঞ্চালনের মাধ্যমে পেট ফুলে যায়। খ. মাছ ভারসাম্যহীনভাবে চলাচল করে এবং পানির ওপর ভেসে থাকে । অচিরেই আক্রান্ত মাছের মৃত্যু ঘটে।
গ. এ্যারোমোনাড্স ব্যাকটেরিয়া এ রোগের কারণ।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ---ক. খালী সিরিঞ্জ দিয়ে মাছের পেটের পানিগুলো বের করে নিতে হবে। প্রতি কেজি মাছের জন্য ২৫ মিঃ গ্রাঃ হারে ক্লোরেমফেনিকল ইনজেকশন দিতে হবে। অথবা, খ. প্রতি কেজি খাবারের সাথে ২০০ মিঃ গ্রাঃ ক্লোরেমফেনিকল পাউডার মিশিয়ে সরবরাহ করা।
প্রতিষেধক/প্রতিকার---ক. প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করুন। খ. মাছের খাবারের সাথে ফিশমিল ব্যবহার করুন। গ. মাছকে সুষম খাদ্য সরবরাহ করবেন। ঘ. প্রাকৃতিক খাবার হিসেবে প্লাংকটনের স্বাভাবিক উৎপাদন নিশ্চিত করুন।
#সাদা দাগ রোগ---আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - মৃগেল ও রুই মাছের পোনা।
রোগেরলক্ষনওকারণ---ক. পোনা মাছের আঁইশ, পাখনাসহ সারা দেহে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাদা দাগ দেখা দেয়। খ. প্রায় ২ সপ্তাহকালীন সময় অব্যাহত থাকে।
গ. এ রোগ ব্যাকটেরিয়া জনিত।
চিকিৎসাওঔষধপ্রয়োগ--- মাছের সংখ্যা কমিয়ে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি করা। জীবানু মুক্ত পানিতে দুই সপ্তাহের মধ্যে মাছ স্বাভাবিকভাবেই আরোগ্য লাভ করে। বিশেষ কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
প্রতিষেধক/প্রতিকার---চুন প্রয়োগের মাধ্যমে পোনা মাছের লালন পুকুর প্রস্তুত করলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব এড়ানো যায়।
#মিক্সো-বোলিয়াসিস---আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - রুই জাতীয় মাছ।
রোগের লক্ষন ও কারণ---ক. মিক্সো-বোলাস প্রজাতির এককোষী প্রাণী রুই জাতীয় মাছের বিশেষ করে কাতলা মাছের ফুলকার উপরে সাদা কিংবা হালকা বাদামী গোলাকার গুটি তৈরী করে বংশ বৃদ্ধি করতে থাকে। ক্রমান্বয়ে ঐ গুটির প্রভাবে ফুলকায় ঘা দেখা যায় এবং ফুলকা খসে পড়ে। শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যাঘাত সৃষ্টিতে মাছ অস্থিরভাবে ঘোরাফেরা করে এবং খাবি খায়। শেষ রাতের দিকে ব্যাপক মড়ক দেখা যায়।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ---ক. অদ্যাবধি এই রোগের সরাসরি কোন চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয় নাই। খ. তথাপিও প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করলে পানির গুনাগুন বৃদ্ধি পেয়ে অম্লত্ব দূর হয়। পরজীবিগুলো ক্রমান্বয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং মাছ নিষ্কিৃতি লাভ করে।
প্রতিষেধক/প্রতিকার---পুকুর প্রস্তুতকালীন প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করে মাটি শোধন করা হলে আসন্ন মৌসুমে এ রোগের প্রকোপ থাকে না। ( তথ্য সুত্র---কৃষি তথ্য সার্ভিস )
#মাছের উকুন রোগ--- আক্রান্ত মাছের প্রজাতি--এ রোগে সাধারণত রুই মাছ, কখনো কখনো কাতল মাছও আক্রান্ত হতে পারে।
রোগের লক্ষন ও কারণ---গ্রীষ্মকালে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এ রোগে মাছের সারা দেহে উকুন ছড়িয়ে দেহের রস শোষণ করে মাছকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। এতে মাছ ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে মারা যায়।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ---শতকরা আড়াই ভাগ লবণ দ্রবণে কিছু সময় আক্রান্ত মাছ ডুবিয়ে রাখলে উকুনগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়বে। এমতাবস্খায় হাত কিংবা চিমটা দিয়ে উকুনগুলো মাছের শরীর থেকে তুলে ফেলতে হবে।
#পুষ্টির অভাবজনিত রোগ-- আক্রান্ত মাছের প্রজাতি---এ রোগে পুকুরে চাষযোগ্য যেকোনো মাছই আক্রান্ত হতে পারে।
রোগের কারন ও লক্ষণ---ভিটামিন এ.ডি এবং কে-এর অভাবে মাছ অìধত্ব এবং হাড় বাঁকা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। মাছের খাবারে আমিষের ঘাটতি দেখা দিলেও মাছের স্বাভাবিক বর্ধনপ্রক্রিয়া বিঘিíত হয়। অচিরেই মাছ নানা রোগের কবলে পড়ে।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ---এসব রোগে আক্রান্ত মাছকে খাবারের সাথে প্রয়োজনীয় মাত্রায় সুনির্দিষ্ট ভিটামিন ও খনিজ লবণ মিশিয়ে খাওয়ানো হলে যথা শিগগিরই মাছের শারীরিক সুস্থ্যতা পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়।
#কৈ মাছের রোগ-বালাই ও প্রতিকার---
কৈ মাছের রোগ-বালাই : চাষের সময়ে কৈ মাছের ক্ষতরোগ ছাড়া আর কোনো রোগ দেখা যায় না। সাধারণত নমুনায়ন পরীক্ষার সময় পুকুরে ছাড়া মাছগুলোই পরবর্তীতে ক্ষতরোগে আক্রান্ত হয় যা পরবর্তীতে ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে। এ ছাড়া ঘন ঘন জাল টানলেও ক্ষতরোগ দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার : কৈ মাছের ক্ষতরোগ খুব দ্রুত ছড়ায়। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিলে তাড়াতাড়ি ভালও হয়ে যায়। ক্ষতরোগের জন্য শতাংশপ্রতি এক কেজি লবণ পানির সাথে মিশিয়ে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। এভাবে এক সপ্তাহ পর আরেকবার একই হারে প্রয়োগ করতে হবে।
শীতকালীন পরিচর্যা : থাই কৈ এর সাধারণত শীতকালে ক্ষতরোগ দেখা দেয়। তাই শীতকাল আসার আগেই মাছ বাজারজাত করতে হবে। তবে সর্তকতার সাথে ভাল ব্যবস্থাপনা নিলে শীতকালেও মাছ মজুদ রাখা যায়। শীতকালে মাছ মজুদ রাখার জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে-
১. সপ্তাহে অন্তত একদিন পুকুরের পানি পরিবর্তন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ২ ফুট পানি কমিয়ে শ্যালো দিয়ে নতুন পানি ভরে দিতে হবে। ২. প্রতি ১৫ দিন পর পর শতাংশপ্রতি এক কেজি লবণ সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।
৩. মাছের ঘনত্ব প্রতি শতাংশে ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে আনতে হবে।
৪. শীতকালে অবশ্যই ভাসমান খাবার প্রয়োগ করতে হবে। খাবারের অপচয় থেকেও মাছের রোগ-বালাই হতে পারে। ১৫ দিন পর পর মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। যদি মাছের গায়ে কোনো রোগের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে সাথে সাথে বাজারজাত করতে হবে। কেননা কৈ মাছে কোনো রোগ থাকলে বাজারে এর মূল্য পাওয়া যায় না। ৫. মাছের বাজারজাত ছাড়া কোনো অবস্থাতেই ব্যাপক হারে জাল টানা যাবে না। ( তথ্য-- এগ্রো বাংলা )
#তেলাপিয়া মাছের রোগ ও প্রতিকার----তেলাপিয়া মাছের রোগ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হল:
রোগের লক্ষণ ---১. মাছের কানকোর কিছু অংশ বিবর্ণ হয়ে যায়। ---
২. অঙ্কীয়দেশে কিছু অনাকাংখিত ক্ষত দাগ দেখা যায়। ৩. মাছের পিত্তথলী স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড় হয়ে যায়। ৪. কেবল ১০০ থেকে ৪০০ গ্রামের মাছেই এই রোগ দেখা যায়। ৫. আক্রান্ত- হওয়ার সাথে সাথে মাছ দ্রুত মারা যায়। ৬. মৃত্যুর আগে মাছগুলো কুণ্ডলি আকারে ঘোরাফেরা করে।
সম্ভাব্য কারণ --- ১. কোনো অনুজীবের যেমন- ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া আক্রমণ,
২. পরিবেশগত বিশৃঙ্খলতা। ৩. আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক সার কিংবা আগাছা নাশকের ব্যবহার। ৪. মাছের জন্য অতিরিক্ত খাবার সরবরাহ। ৫. মাছের অধিক ঘনত্ব। ৬,অক্সিজেন সরবরাহ কম ইত্যাদি।
করণীয় ---১. অধিক পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে,
২. মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে। ৩. খাদ্য সরবরাহ কমাতে হবে, ৪,এন্টিবায়োটিক ডোজ বাড়াতে হবে,
(তথ্য প্রদানে-- বিকাশ কীর্ত্তনিয়া, বাকৃবি, ময়মনসিংহ)
#বাগদা চিংড়ির রোগ----
প্রতিকার ও প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা---পুকুর বা ঘেরের চিংড়ির অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দিলেই বুঝতে হবে চিংড়ি রোগের আক্রান্ত হয়েছে। মাটির প্রকৃতি, পানির তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, অক্সিজেন, পি এইচ ইত্যাদির সমষ্ঠিগত বৈশিষ্ঠ্যের এক বা একাধিক গুণাবলী খারাপ হলে চিংড়ি দুর্বল ও রোগাক্রান্ত হয়। অধিক হারে পোনা মজুদ, অতিরিক্ত খাদ্য ও সার প্রয়োগ, কম গভীরতা উচ্চতাপ, হঠাৎ করে লবণাক্ত কম বেশী হওয়া ইত্যাদি অসহনীয় পরিবেশের কারণেই রোগের প্রাদুর্ভাব হয়।
চিংড়ি রোগের সাধারণ লক্ষণ---চিংড়ি পুকুরের পাড়ের কাছে বিচ্ছিন্ন ও অলস অবস্থায় ঘোরা ফেরা করলে। খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দিলে বা একেবারে বন্ধ করলে, খাদ্য নালী শূন্য থাকলে। ফুলকায় কালো বা হলদে দাগ পড়বে বা অস্বাভাবিক রং দেখা দিলে। ফুলকা পঁচন ধরলে। পেশী সাদা বা হলদে হয়ে গেলে।
চিংড়ির ‘খোলস’ নরম হয়ে গেলে। হাত পা বা মাথার উপাঙ্গ ও গেতে পঁচন ধরলে। চিংড়ির খোলস এবং মাথায় সাদা সাদা দাগ হলে। চিংড়ি হঠাৎ বা ধীরে ধীরে মরে গেলে।
রোগের নাম, কারণ ও লক্ষন----
#হোয়াইট স্পট বা চায়না ভাইরাস রোগ---চিংড়ি পোনা ঘেরে ছাড়ার ৩০-৭০ দিনের মধ্যে এ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রথম দিকে রোগের কোন বাহ্যিক লক্ষণ দেখা যায়না। ৩/৪ দিন পর রোগর তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। চিংড়ি পাড়ের কাছে জড়ো হয় এবং গায়ে, মাথায় খোলসে সাদা সাদা স্পট দেখা যায় এবং নির্লাভ বা লালচে হয়ে যায়।
চিকিৎসা প্রতিকার---তেমন কোন চিকিৎসা নেই। আজে বাজে ঔষধ বা কেমিক্যাল ব্যবহার না করে পানির গুণগত মান উন্নত করতে হবে।
প্রতিরোধ---ঘেরের তলদেশের পচাঁ কাদা মাটি তুলে ফেলুন। চুন ও সার দিয়ে জমি প্রত্তুত করতে হবে। অন্য রোগাক্রান্ত খামারের বর্জ্য বা পানি যাতে ঘেরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে সতক দৃষ্টি রাখতে হবে।
#মস্তক হলুদ রোগ---Yellow Head নামক ভাইরাস দ্বারা এ রোগ হয়। যকৃত অগ্ন্যাশয় গ্রন্হি, ফ্যাকাশে হবার ফলে মস্তক হলুদ বর্ণ ধারণ করে। পোনা মজুদের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে এ রোগ ধরা পড়ে। এরোগে ও ব্যাপক আকারে চিংড়ি মারা যায়।
চিকিৎসা প্রতিকার---এরোগে চিকিৎসায় ঔষধে কাজ হয়না। ফাইটো ফ্লাংকটন চাষ করলে এ রোগ অনেকটা নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।
প্রতিরোধ---খামারের তলদেশে ভালমত রোদে শুকিয়ে চাষ করে ব্লিচিং পাউডার/চুন দিয়ে ভাল করে মাটি শোধন করে নিতে হবে।
#চিংড়ির কালো ফুলকা রোগ---পুকুরের তলায় মাত্রাতিরিক্ত হাইড্রোজেন সালফাইট এবং অন্যান্য জৈব পদার্থের কারণে এ রোগ দেখা যায়। এরোগে চিংড়ির ফুলকায় কাল দাগ ও পচন দেখা যায়। খাদ্য গ্রহণে অনীহা দেখা যায়। আক্রান্ত চিংড়ি ধীরে ধরে মারা যায়।
চিকিৎসা প্রতিকার---পুকুরের তলদেশে আচড়িয়ে দিয়ে বা হড়া টেনে দ্রুত পানি পরিবর্তনের ফলে এ রোগে উন্নতি হয়। গলদা চাষে মিথাইলিন ব্লু ব্যবহার করে ভাল ফল পাওয়া যায়। Ascorbic acid 2000 mg/কেজি খাদ্যে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালফল পাওয়া যায়।
প্রতিরোধ---পুকুর প্রস্তুতকালীন সময়ে তলদেশের কাঁদা মাটি তুলে ভালমত শুকিয়ে এবং পরিমানমত চুন/ডলমাইট/ব্লিচিং পাউডার দিতে হবে। পুকুরের পাড়ে পাতা ঝরা গাছ কেটে ফেলতে হবে।
#কাল দাগ রোগ---এটা চিংড়ির এক মারাত্নক ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। পুকুরের অত্যধিক জৈব পদার্থ থাকার কারণে এ রোগ হয়। চিংড়ির খোলস লেজ ও ফুলকায় কাল কাল দাগ হয়। খোলসের গায়ে ছিদ্র হয়। পরবর্তীতে ফাঙ্গাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে চিংড়ি মারা যায়।
চিকিৎসা প্রতিকার---দ্রুত পানি পরিবর্তন এবং প্যাডেল হুইলের সাহায্যে বায়ু সঞ্চালনে রোগের প্রকোপ কমে যায়। মিথাইল ব্লু (২-৫ পিপিএম) পানিতে ব্যবহার করে রোগ নিরাময় করা যায়।
প্রতিরোধ---পুকুরের তলার পঁচা কাদা মাটি তুলে, ভাল মত শুকিয়ে চুন ও সার দিয়ে পুকুর ভালভাবে প্রস্তুত করতে হবে।
#খোলস নরম রোগ---ক্যালসিয়াম জনিত পুষ্ঠির অভাবে এ রোগ হয়। অনেকে এক স্পঞ্জ রোগ বলে। পানির লবণাক্ততা কমে গেলে ও এ রোগে বাগদা চিংড়ি আক্রান্ত হতে পারে। খোলস বদলানোর ২৪ ঘন্টা পর ও শক্ত হয় না, কম বাড়ে ও ক্রমশঃ দূবল হয়ে মারা যায়।
চিকিৎসা প্রতিকার---ক্যালসিয়ামসহ সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করে পুষ্টির অভাব দুর করতে পারলে এ রোগ ভাল হয়। পানিতে শতাংশে ১ কেজি পরিমান পাথুরে চুন প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
প্রতিরোধ---ভাল মত পুকুর শুকিয়ে চুন দিয়ে চাষের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। রোগের আক্রমণ হলে বড় চিংড়ি ধরে ফেলতে হবে। খামারে পানি নিষ্কাশনের ও প্রবেশের পৃথক ব্যবস্থা রাখতে হবে।
চিংড়ি চাষে সতর্কতা ও করনীয়----প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
চিংড়ি ঘেরের আকার ছোট করুন ও আলাদা নার্সারীর ব্যবস্থা করুন।
পোনা মজুদহার একর প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজারের মধ্যে রাখুন। ঘের ভূক্ত আলাদা নাসারীতে চিংড়ি পোনা ২-৩ সপ্তাহ প্রতিপালনের পর চাষের ঘেরে নালা কেটে বের করে দিন। প্রস্তুত কালীন সময়ে পরিমিত চুন (কমপক্ষে শতাংশে ১ কেজি) প্রয়োগ করুন। চাষকালীন সময়ে পানি পরিবর্তনের পরপরই প্রতি শতাংশে ৫০-১০০ গ্রাম কার্বনেট চুন প্রয়োগ করে পানি শোধন করুন। ঘেরের পানির গভীরতা কম পক্ষে ৩-৪ ফুট রাখুন। ১৫ দিন বা একমাস অন্তর অন্তর ঘেরের পানি বের করে নতুর পানি ঢুকানোর ব্যবস্থা করুন।
রাক্ষুসে মাছ, কাকরা ও অন্যান্য চিংড়ি ভূক প্রাণী নিয়ন্ত্রণ করুন। খামার জলজ আগাছা মুক্ত রাখুন ও বাঁশের কনচি /গাছের শুকনা ডালপালা দিয়ে আশ্রয় করে দিন। সর্বোপরি কোন সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে নিকটস্থ মৎস্য কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করুন। ( তথ্য--সংগৃহীত ও সংকলিত )
#সকল মৎস্য চাষি ভাইয়ের খামার হোক রোগমুক্ত ও লাভজনক। সকলের মুখে ফুটুক প্রশান্তির হাসি। শুভকামনায়----চাষা আলামীন জুয়েল *

মন্তব্যসমূহ