সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
লাইলাতুল ক্বদর :

আজ শেষ হয়ে যাচ্ছে ২০ শে রমজান । বাকি রয়েছে ১০ দিন । এই দশদিনেই লুকিয়ে আছে একটি বিশেষ রাত -(লাইলাতুল-ক্বদর)। যে রাতটি হাজার মাসের চেয়ে ও উত্তম। অর্থাৎ এক হাজার মাসব্যাপী ইবাদত করলে যে সওয়াব অর্জন করবে, এই একটি মাত্র রাত্রে সঠিকভাবে ইবাদত করতে পারলে তারচেয়ে ও বেশী নেকী ও কল্যানের অধিকারী হয়ে যাবে।এই রাতের ইবাদত সমূহ হচ্ছেঃ সালাতুল তারাবীহ, তাহাজ্জুদ, কোরআন তেলাওয়াত, যিকির,দোয়া ও ইস্তিগফার।
হযরত মা আয়েশা (রাঃ) প্রশ্ন করেছিলেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ!  আমি লাইলাতুল-ক্বদর পেয়ে গেলে কোন দোয়াটি বেশী বেশী করে আমল করবো? রাসূল(সাঃ) বললেন পড়ঃ ["আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নী"]....
অর্থাৎঃ হে আল্লাহ! আপনি অনেক বেশী ক্ষমাকারী। ক্ষমা করা পছন্দ করেন, আমাকে ক্ষমা করে দিন...
________♻{ আহমদ, তিরমীযি, ইবনে মাজাহ্ }

________ [ শবে কদরের রাত হাজার
                    মাসের চেয়ে ও উত্তম ]______

__________♲♲{সূরা ক্বদরঃ ০৩}

           শবে কদরেরের কিছু নির্দেশন হলোঃ
                       ============
☛ রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না
☛ মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে
☛ ঐ রাতে বৃষ্টি হতে পারে
☛ নাতিশীতোষ্ণ হবে (অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না)
☛ সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে
☛ কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন
☛ সকালের হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে, যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মতো
___________♻{ বুখারী হাঃ ২০২১, মুসলিম হাঃ ৭৬২}

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা রমজানের শেষ দশদিনের বেজোড় (২১,২৩,২৫,২৭,২৯)রাতে শবে ক্বদর তালাশ কর
_________♲♲{ বুখারী হাঃ২০২০, মুসলিম হাঃ ১১৬৯}

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় লাইলাতুল ক্বদর-এ ইবাদত বন্দেগীতে রাত্রী জাগরণ করবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে...
__________♻{ বুখারী হাঃ ৩৫ }

কৃতজ্ঞতা স্বীকার : মো : জুবায়ের ।

#আল্লাহ পাক সবাইকে বেশী বেশী ইবাদত করে নেক আমল অর্জন করার তৌফিক দান করুক, আমীন....চাষা আলামিন জুয়েল ॥

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সব...

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা ...

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ...