সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
ব্রয়লার বা লেয়ার মুরগি পালন ব্যবস্থাপনাঃ ( ২য় পর্ব )
মুরগীর বাসস্থান----
মুরগির ঘরের আবশ্যকতাঃ
১. প্রতিকুল আবহাওয়া, বন্যপ্রাণী ও দুস্কৃতিকারী হতে রক্ষা করতে হবে;
২. সুস্বাস্থ্যের অনুকুল ও আরামদায়ক পরিবেশ রাখতে হবে; ৩. বেশি উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে।

আদর্শ ঘরের গুণাগুণঃ
১. খোলা মেলা থাকতে হবে; ২. আলো ও বাতাস চলাচলের সুযোগ থাকতে হবে; ৩. প্রয়োজনীয় আর্দ্রতাযুক্ত হতে হবে; ৪. সহজে ঘরের গ্যাস বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে; ৫. পরিচ্ছন্ন পরিবেশ হতে হবে।

ঘরের স্থান নির্বাচনঃ
১. বন্যার পানি ওঠে না এমন উঁচু ভূমি; ২. জনবসতি হতে দূরে; ৩. হাট-বাজার, কল-কারখানা হতে নিরাপদ দূরে; ৪. যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল;
৫. উন্নত বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা; ৬. নিকটতম স্থানে বাজারজাতকরণের সুবিধা।

সুস্থ পরিবেশের গুরুত্বঃ
১. মুরগির স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য; ২. উৎপাদন ঠিক রাখার জন্য; ৩. পালক দ্বারা শরীর পরিপূর্ণ রাখতে; ৪. খাদ্য ও পানি গ্রহণ স্বাভাবিক রাখার জন্য।

অসুস্থ্য পরিবেশের বিপদঃ
১. খাদ্য ও পানি পান স্বাভাবিক থাকে না; ২. বিপাকীয় কার্যাবলীতে বিঘ্ন ঘটে;
৩. ডিমের খোসা পাতলা হয়; ৪. শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক মতো হয় না;৫. উৎপাদন কমে যায়; ৬. রোগ বালাই বেড়ে যায়।

সুস্থ্য পরিবেশ সৃষ্টির পদ্ধতিঃ
১. তাপ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে; ২. টিনের ঘর হলে সিলিং এর ব্যবস্থা রাখতে হবে; ৩. ঘরের উপর ছায়া তৈরি করতে হবে;
৪. ঘরে বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার করতে হবে; ৫. ঠান্ডা নিয়ন্ত্রণের জন্য রাত্রে চটের পর্দা ব্যবহার করতে হবে; ৬. লিটার পরিচর্যার ব্যবস্থা করতে হবে।

মুরগীর বাসস্থান নির্মাণ প্রস্ততি এবং ঘরের বৈশিষ্ট্যঃ
মুরগীর ঘরের প্রকৃতি---উন্মুক্ত বা দো চালা ঘর:
১. ঘরের অবস্থান: উত্তর-দক্ষিণমুখী; ২. মেঝে: পাকা হলে ভালো হয়, ৩,আয়তন: মুরগির জাত ও সংখ্যানুযায়ী;৪ প্রস্থ: ৩০ ফুটের মধ্যে; ৫, দৈর্ঘ্য: প্রয়োজন ও সুবিধানুযায়ী;৬, দূরত্ব: একটি ঘর হতে অপরটির দূরত্ব ঘরের প্রস্থের কমপক্ষে দেড় গুণ; ৮. উচ্চতা: পার্শ্ব উচ্চতা ৭ ফুট, মধ্য উচ্চতা ১২ থেকে ১৪ ফুট (দু’চালা ঘরের); ৯. চালা: কাঁচা, পাকা, টিনের। টিনের হলে সিলিং থাকতে হবে। বৃষ্টির ছাট ঝাপ্টা রোধে ঘরের চালা নীচের দিকে বাড়িয়ে দিতে হয়; ১০. বেড়া বা দেয়াল: ভিতর হতে উপরে এক ফুট বদ্ধ দেয়াল বা বেড়া, বাকি অংশ শক্ত তারের জাল দ্বারা করতে হবে; ১১. খাঁচা পদ্ধতির ঘর হলে সম্পূর্ণ তারের নেট বা জাল দ্বারা করতে হবে; ১২. ব্রুডার ঘর হলে ভিতরের উপর ৩ থেকে ৪ ফুট আবদ্ধ বেড়া এবং বাকি অংশে তারের নেটের তৈরি; ১৩. ঘর তৈরির উপকরণ: সামর্থ অনুযায়ী ইট, সিমেন্ট, রড, টিন, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি।

পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত ঘরঃ
এই ঘরে কৃত্রিম উপায়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যেমন- বাতাস চলাচল ব্যবস্থা করা,প্রয়োজনে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা,তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করা,ঘরের ভেতর আলোর ব্যবস্থা করা,রোগ সংক্রমণ প্রতিকার ব্যবস্থা করা, ঔষধ সরবরাহের ব্যবস্থা করা।

অধিক উচ্চতার ঘরঃ
এই ঘর উন্মুক্ত অথবা পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।
ঘরের বৈশিষ্ট্য:
এই ঘর দুই তলা হতে হবে। উপর তলাতে মুরগি থাকে এবং নীচের তলায় মুরগির বিষ্ঠা জমা হয়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে উভয় তলাতে মুরগি রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়, উচ্চতা: প্রতি তলার উচ্চতা সাত ফুট, নীচ তলার মেঝের বৈশিষ্ট্য: নীচ তলায় বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে মুরগির বিষ্ঠা যেন ভিজে না যায় তার জন্য নীচ তলার মেঝে এক ফুট উঁচু করা হয়, বাতাস চলাচল ব্যবস্থা: ঘরের গরম বাতাস নীচ তলার ভেন্টিলেটরে ব্যবহৃত এডজাস্ট ফ্যানের সাহায্যে বের করার ব্যবস্থা থাকে। এ সময় গরম বাতাসের সংস্পর্শে নীচে জমে থাকা বিষ্ঠার আর্দ্রতা কমে যায়;

খামারে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম ও উপকরণসমূহঃ
ব্রুডার---বাচ্চা পালন করার জন্য ব্রুডার ব্যবহার করা হয়। ব্রুডারের তিনটি অংশ। যেমন:
ক) হোভার : ব্রুডারের ছাতার মতো অংশকে হোভার বলে। ব্রুডারে যে তাপ সৃষ্টি হয় তাকে বাচ্চার দিকে নিম্নমুখী করার জন্য হোভার ব্যবহার করা হয়। হোভার ৩ থেকে ৮ ফুট ব্যাসযুক্ত হতে পারে।
হোভার তৈরিতে সাধারণত: গ্যালভানাইজড টিন শিটের মাধ্যমে হোভার তৈরি করা হয়।
খ) ব্রুডার গার্ড : হোভারকে কেনদ্র করে ব্রুডার গার্ড স্থাপন করা হয়। ব্রুডার গার্ড বাচ্চাদের তাপের উৎসের কাছাকাছি রাখতে সাহায্য করে। সাধারণত: হোভারের ২ থেকে ৩ ফুট দূরত্বে হোভারকে বেষ্টন করে ব্রুডার গার্ড দেয়া হয়।
ব্রুডার গার্ড তৈরিতে হার্ড বোর্ড, বাঁশের তৈরি চাটাই বা গ্যালভানাইজড আয়রন (জিআই) শিটের সাহায্যে তৈরি করা হয়। এছাড়া তারজালও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তারজাল নিরাপদ হতে হবে যাতে মুরগির বাচ্চা আঘাত না পায়। ব্রুডার গার্ডের উচ্চতা: সাধারণত: ১৪ থেকে ২০ ইঞ্চি।
গ) ব্রুডার হিটার :
১. বৈদ্যুতিক হিটারঃ তাপের উৎস: ১০০ থেকে ২০০ ওয়াটের ৩ থেকে ৪টি বৈদ্যুতিক বাল্ব হোভারের সাথে যুক্ত করা থাকে। আধুনিক ব্রুডারে বিশেষ ধরনের ফ্যান ব্যবহার করে গরম বাতাস সমান ভাবে বাচ্চাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হয়। তবে তাপমাত্রার প্রয়োজনীয়তা অনুসারে থার্মোমিটারের সাহায্যে পরীক্ষা করে বয়স অনুসারে বাল্‌বের সংখ্যা কমানো বাড়ানো যেতে পারে। এছাড়া থার্মোস্ট্যাট নিয়ন্ত্রণ যুক্ত বৈদ্যুতিক হিটারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. কেরোসিন হিটারঃ তাপের উৎস: বিশেষ ধরনের বার্ণার বা কেরোসিন স্টোভের উপর হোভার স্থাপন করা হয়।
৩. গ্যাস হিাটরঃ তাপের উৎস: গ্যাস বার্ণার হোভারের সাথে সংযুক্ত থাকে অথবা প্রাকৃতিক গ্যাসের সাহায্যে কেনিদ্রয়ভাবে তাপ উৎপাদন করে ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
৪. গরম পানির হিটারঃ গরম পানি পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করে ঘর গরম রাখা হয়। ঘরের মধ্য বরাবর মেঝের উপর ১২ ইঞ্চি উঁচুতে গরম পানির পাইপ স্থাপন করে তাপ উৎপাদন করা হয়। ঘরের এক প্রামেত্ম ব্রয়লারে পানি গরম করে লাইনে সরবরাহ করা হয়। গরম পানির পাইপের উপরিভাগে হোভার স্থাপন করা হয়।

ব্রুডারে তাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাঃ হোভার উঁচু-নীচু করে প্রয়োজনীয় তাপ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
আকর্ষনীয় আলো---ব্রুডারে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক আলো দ্বারা বাচ্চা খাদ্য ও পানির স্থান দেখতে পায়। যে সমস্ত ব্রুডারে বৈদ্যুতিক বাল্ব ব্যবহার হয় না সেখানে প্রথম ৩ দিন হোভারের সাথে ৭.৫ থেকে ১০ ওয়াটের বাল্ব ব্যবহার করা হয়।
পানির পাত্র:--প্লাস্টিক অথবা টিনের তৈরি পাত্র ব্যবহার হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার স্বয়ংক্রিয় পাত্রও ব্যবহার করা হয়। ১. নিপল ড্রিংকার ২. কাপ ড্রিংকার ৩. বেল টাইপ ড্রিংকার ৪. ট্রাফ ড্রিংকার।

খাবার পাত্র:--প্লাস্টিক, কাগজ অথবা টিনের তৈরি পাত্র ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও প্লাস্টিক বা কাঠের তৈরি ট্রাফ ফিডার, গ্রিল যুক্ত ট্রাফ ফিডার, টিউব পাত্র, অটোম্যাটিক প্যান ফিডার ব্যবহার করা হয়।

মুরগি ধরার সরঞ্জামঃ
১. ক্যাচিং হুক: ১৪ গেজি তারের সাহায্যে ৪ ফুট লম্বা ক্যাচিং হুক তৈরি করা যায়। এই হুকের অগ্রভাগ মুরগির পা ধরার জন্য বাঁকা থাকে।
২. হার্ডল: হার্ডলের সাহায্যে মুরগি একস্থানে জমা করে ধরতে সুবিধা হয়। প্লাস্টিক, জিআই, কাঠ বা বাঁশের সাহায্যে হার্ডল তৈরি করা হয়। এটি স্থানান্তরযোগ্য একধরনের বেড়া যাতে দরজা থাকে। সেই দরজায় হাত ঢুকিয়ে মুরগি ধরা হয়। সাধারণত: ৪ থেকে ৫ ফুট লম্বা হয়। মুরগির প্রতিষেধক টিকা দেয়ার সময় এবং বাছাই ও বাজারজাত করার সময় হার্ডল ব্যবহার করা যায়।

মুরগির ক্রেট:---মুরগির পরিবহনের জন্য ও বাজারজাতকরণের জন্য ক্রেট ব্যবহার করা হয়। ক্রেট সাধারণত: প্লাস্টিক বা তার দ্বারা তৈরি করা হয়।
খাদ্য পরিবশন সামগ্রী:--- বালতি, মগ, বেলচা, খাদ্য পরিবহন ট্রলি।
মুরগি পরিমাপক যন্ত্র :--- ওজন মাপার যন্ত্র (ওয়েয়িং স্কেল )।
থার্মোমিটার :-- ঘরের তাপমাত্রা মাপার কাজে ব্যবহার করা হয়।
হাইগ্রোমিটার :-- এটি ঘরের আপেক্ষিক আর্দ্রতা মাপার কাজে ব্যবহৃত হয়। হাইগ্রোমিটার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
থার্মো-হাইগ্রোমিটার :--- এটি এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্যে একইসাথে তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতা মাপা যায়। বর্তমান সময়ে প্রাপ্ত স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল থার্মো-হাউগ্রোমিটার বাণিজ্যিক খামারগুলোতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
লিটার পরিষ্কার ও পরিচর্যার জন্য ব্যবহৃত সামগ্রী---কোদাল, বেলচা, ঝুড়ি, আঁচড়া, ট্রলি। বাণিজ্যিক খামারে সরাসরি ট্রাকটর বা ভ্যান ঢুকিয়ে লিটার অপসারন করা হয়।( চলবে )
* সকল কৃষক ভাই ও বোনদের জন্য শুভ কামনায়-- চাষা আলামীন জুয়েল ( CAJ ) *

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সব...

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা ...

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ...