সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
আমাদের ব্যবসা হোক সেবার মনোভাবে , পরিপূর্ণ হালাল : ------

আমাদের দেশে সংগঠনের অভাব নেই . আর বেশীর ভাগ সংগঠনের শুরু হয় সেবা মূলক উদ্দেশ্যে . কিন্ত পরবর্তীতে যখন এরা প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় , সেবার কথা ভূলে গিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে . তবে সবাই যে এটা করে , তা বলা যাবে না . ব্যবসা সবাই করতে চায় . এটা দোষের কিছূ নয় . কিন্ত মানুষের হক বা অধিকার নষ্ট করে ব্যবসা , প্রতারণা মূলক ব্যবসা , ভোক্তা অধিকার ভুলে , রাষ্ট্র বা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ভুলে গিয়ে , শুধু নিজের লোভের আশায় ব্যবসা হলে সেটাই দোষের .


সেবামূলক প্রতিষ্ঠান থেকেও ব্যবসা হচ্ছে . বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে । তাতেও অসুবিধা নাই । কিন্ত আমাদের মূল সমস্যা মানুষিকতায়. অতি লোভে বেশি মুনাফার আশায় আমরা মূলনীতি ভূলে, মানবতা ভুলে গিয়ে প্রতারনা শুরু করি . অল্প সময়ের মধ্যে কোটি কোটি টাকা রোজগার করার ধান্দা করি . আর এই লোভ - লালসা আমাদের মানুষ থেকে অমানুষ বানিয়ে দেয় . আমরা নিজের লাভের উদ্দ্যেশে মানুষ ঠকাই, প্রতারক হয়ে উঠি .

ধর্ম বা মানবতা বোধের বিপক্ষে গিয়ে কোটি পতি হওয়া যায় . কিন্ত নিজেকে মানুষ হিসেবে অন্তত ভাবা যায় না বা পরিচয় দেয়া যায় না .বড় বড় কথা বলে সভা - সেমিনার করা যায় , কিন্ত আয়নার সামনে দাড়ালে নিজেকে একটা 'অমানুষ' মনে হয় . শান্তির বাণী শোনানো যায় - কিন্ত নিজের মনের শান্তিটা খুজে পাওয়া যায় না . বিবেক বর্জিত কেউ , ধর্ম - মানবতা বিবর্জিত কোন সত্তা আর যা হোক , অন্তত মানুষ নয় .

সেবার মাধ্যমে , সততার মাধমে ব্যবসা সম্ভব . এবং সেটা অনেকেই করে চলেছেন . আর এরাই প্রকৃত মানুষ , আসল মানুষ .তারা আমাদের জন্য যেমন গর্ব , তেমনি অনুকরনীয় । আসুন বন্ধু , প্রতারণা পরিহার করে সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে, হালাল পদ্ধতিতে ব্যবসা করি । হয়তো প্রতিষ্ঠিত হতে একটু বেশী শ্রম ও সময় লাগবে । কিন্ত চরম আত্মতৃপ্তির স্বাদ - গন্ধ উপভোগ করতে পারবেন । স্ত্রী ,সন্তান ,স্বজন ও সমাজের সামনে মাথা উঁচু করে বলতে পারবেন --- 'আপনি হালাল রোজগার করেন' । আল্লাহ্ আমাদের সকলকে সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন , প্রতিষ্টিত করুন ----চাষা আলামিন জুয়েল ॥

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সব...

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা ...

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ...