সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জিরো এনার্জি কুলিং চেম্বার : সবজি সংরক্ষনের সহজ পদ্ধতি

জিরো এনার্জি কুল চেম্বার: সবজি সংরক্ষণের সহজ উপায়:


জিরো এনার্জি কুল চেম্বার হলো একটি পরিবেশবান্ধব এবং কম খরচে সবজি সংরক্ষণের সহজ পদ্ধতি। প্রথমে কম খরচে বাঁশ, ছন বা খড় ব্যবহার করে একটি ঘর তৈরি করা হয় এবং ইট, বালি ও সিমেন্ট দিয়ে একটি চেম্বার তৈরী করা হয়। চেম্বারে পাশাপাশি দুটি দেয়াল তৈরি করা হয়। দেয়াল দুটির মাঝখানে ফাঁকা জায়গা রাখা হয় যেটা পরবর্তীতে বালি দিয়ে পূরণ করা হয়।


এটি কীভাবে কাজ করে:

 * বাষ্পীভবনের নীতি: সকাল-সন্ধ্যায় বালিকে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হয়। এই পানি বাষ্পীভূত হওয়ার সময় চারপাশ থেকে তাপ শোষণ করে। ফলে চেম্বারের ভেতরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং আর্দ্রতা বেড়ে যায়।

 * ঠান্ডা পরিবেশ: এই ঠান্ডা এবং আর্দ্র পরিবেশ সবজিকে দীর্ঘদিন ভালো রাখতে সাহায্য করে।

 * পচন রোধ: কম তাপমাত্রা এবং উচ্চ আর্দ্রতা পচনকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে।


কেন এই জিরো এনার্জি কুল চেম্বার:

 * বিদ্যুৎ খরচ নেই: কোনো বিদ্যুৎ খরচ ছাড়াই সবজি সংরক্ষণ করা যায়।

 * সহজে তৈরি: সহজে উপলব্ধ উপকরণ দিয়ে কম খরচে তৈরি করা যায়।

 * পরিবেশবান্ধব: পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়না।

 * দীর্ঘদিন সবজি সংরক্ষণ: সবজি দীর্ঘদিন ভালো অবস্থায় থাকে।


কীভাবে তৈরি করবেন:

 * সরঞ্জাম: বাঁশ, ছন বা খড়, ইট, বালি, সিমেন্ট, পানি ইত্যাদি।

 * পদ্ধতি: ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাওয়া যাবে যেখানে জিরো এনার্জি কুল চেম্বার তৈরির পদ্ধতি দেখানো হয়েছে।


উপসংহার:

জিরো এনার্জি কুল চেম্বার একটি খুবই কার্যকর এবং সহজ উপায় সবজি সংরক্ষণের জন্য। এটি কৃষকদের জন্য বিশেষ উপকারী। কারণ এটি তাদের ফসলকে সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে। দ্রুত বিভিন্ন সবজি ফসল নষ্ট হবার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আর এতে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়া যায়।


আরো জানতে চাইলে:

 * ইউটিউব: "জিরো এনার্জি কুল চেম্বার" সার্চ করে অনেক ভিডিও দেখতে পারবেন।

 * কৃষি বিভাগ: আপনার এলাকার কৃষি বিভাগ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিতে পারেন।

আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।


আশাকরি এই তথ্য আপনার জন্য উপকারী হবে। কৃষির জন্য আধুনিক প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নাই। আর এই প্রযুক্তি সম্পর্কে কৃষক যতো বেশি জ্ঞান অর্জন করবে, ততো বেশি সমৃদ্ধ হবে। সকল কৃষক বন্ধুর জন্য শুভ কামনায় -- চাষা আলামিন জুয়েল।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সব...

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা ...

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ...