সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ের ( Ethical Hacking ) প্রয়োজনীয়তা কি? ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখবেন কিভাবে? কিভাবে নিজের কম্পিউটার সিস্টেম কে নিরাপদ রাখবেন ?

ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ের (Ethical Hacking ) প্রয়োজনীয়তা কি? ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখবেন কিভাবে? কিভাবে নিজের কম্পিউটার সিস্টেম কে নিরাপদ রাখবেন ?

Ethical Hacking


আধুনিক দুনিয়ায় প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে নিরাপদ থাকার জন্য সাইবার সিকিউরিটি ( Cyber Security ) হল প্রধান গুরুত্বপুর্ন বিষয়। কিন্তু আমরা একজন প্রফেশনাল হ্যাকার না হলেও হ্যাকিং কিংবা সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে শুনিনি, এমন লোকের সংখ্যা বর্তমানে কম। 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হ্যাকিং ভুলপথে ব্যবহার করা হলেও, আমাদের কিছু ধারণা রাখা উচিৎ। কারণ হ্যাকিং এর ব্যবহার শিখতে পারলে অন্তত নিজের কম্পিউটার সিস্টেম নিরাপদ রাখা সম্ভব হয়। তাই এই পোস্টে আমরা আপনাদের জানাবো ইথিক্যাল হ্যাকিং এর প্রয়োজনীয়তা, কিভাবে শুরু করতে হবে এবং কিভাবে নিজের কম্পিউটার সিস্টেম নিরাপদ রাখতে পারবেন ?

০১. হ্যাকিং এর পরিচয় অথবা হ্যাকিং কি?

হ্যাকিং হলো একটি প্রসেস, যেখানে একটি কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কে অনধিকারভাবে অ্যাক্সেস পেতে চেষ্টা করা হয়। অর্থাৎ একটি কম্পিউটার সিস্টেমে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজের মতো ব্যবহার করা।

এর উদ্দেশ্য কয়েক ধরণের হতে পারে। ইথিক্যাল হ্যাকাররা ( Ethical Hacker ) সাধারণত সিস্টেমের নিরাপত্তা পরীক্ষা করে সমস্যা বা দুর্বলতা খুঁজে বের করে এবং সমস্যার সমাধান করে। আবার ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা সিস্টেম হ্যাক করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে। পূর্বের পোষ্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তবে হ্যাকিং যদি সঠিক উদ্দেশ্যে এবং সৎ উপায়ে ব্যবহার করা হয়, তবে এটা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রের জন্য উপকারী হতে পারে।

০২. ইথিক্যাল হ্যাকিং এর প্রয়োজনীয়তা :

হ্যাকিং এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে হলে আমাদের প্রথমেই চিন্তা করতে হবে যে, আমরা যে হ্যাকিং জ্ঞান অর্জন করবো তা কিভাবে ব্যবহার করা হবে। ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাকিং শিখলে আমরা নিজের কম্পিউটার সিস্টেমের জন্য অথবা একাধিক প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কের নিরাপত্তার বিষয়ে পরীক্ষা করতে পারি এবং ৯৫ ভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি।

০৩. ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে কি কি প্রয়োজন?

Ethical Hacking

পোস্ট ট্যাগ : 
ইথিক্যাল হ্যাকিং কোর্স 
ইথিক্যাল হ্যাকিং করে আয়
ইথিক্যাল হ্যাকিং কি
মোবাইল দিয়ে ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখুন
এথিক্যাল হ্যাকিং ( ethical hacking )
ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার সিকিউরিটি কোর্স
Cyber Security 

হ্যাকিং শিখতে শুরু করার আগে আমাদেরকে কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে জানা উচিত। এই সেকশনে আমরা দেখবো হ্যাকিং শিখার জন্য কি কি প্রয়োজন।

• প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ:

• প্রথমত একজন হ্যাকারের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। একজন হ্যাকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে তার প্রোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান থাকা।

আপনাকে অবশ্যই পাইথন, জাভাস্ক্রিপ্ট এবং C/C++ এর মতো প্রোগ্রামিং ভাষাগুলিতে দক্ষ হতে হবে।

• কম্পিউটার জ্ঞান:

• হ্যাকিং শিখার জন্য কম্পিউটারের প্রোগ্রাম সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আপনার কম্পিউটার ব্যবহারের দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় কম্পিউটার সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার সম্পর্কিত জ্ঞান থাকলে হ্যাকিং শিখতে অত্যাধিক সহায়তা হবে।

এনক্রিপশন, সুরক্ষিত কোডিং অনুশীলন, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং ঘটনার প্রতিক্রিয়ার মতো ধারণাগুলির সাথে নিজেকে পরিচিত করুন। সাধারণ দুর্বলতা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন, যেমন SQL ইনজেকশন, ক্রস-সাইট স্ক্রিপ্টিং (XSS), এবং বাফার ওভারফ্লো।

• নেটওয়ার্কিং জ্ঞান:

• হ্যাকিং কাজে নেটওয়ার্কিং জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনে নেটওয়ার্কিং সেটআপ, আইপি ঠিকানা, সার্ভারের মাধ্যমে ডেটা পাঠানো ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান থাকলে হ্যাকিং শিখতে আপনার সহজ হবে।

• ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে কিভাবে শুরু করবেন? ( How to learn Ethical Hacking )

* হ্যাকিং শব্দটি মূলত একটি নেগেটিভ ধারণা ধরে রাখে, কিন্তু সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাকিং শিখতে আগ্রহী হলে, এটি একটি প্রশংসনীয় কৌশল হতে পারে। যা আপনাকে আগামী প্রজন্মের সাইবার নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম করে তুলতে পারে।

প্রথমত, আপনার জ্ঞানকে একটি সঠিক স্থানে কাজে লাগানোর জন্য নিজেকে স্থির করুন। হ্যাকিং শেখার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি কম্পিউটার, নেটওয়ার্কিং, সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেশন, প্রোগ্রামিং এবং সাইবার সিকিউরিটির চতুর্থ প্রকারের জ্ঞান।

পূর্বের পোস্ট :

হ্যাকিং কাকে বলে ? হ্যাকিংয়ের ধরনগুলো কি ? https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2023/07/what-is-hacking.html

• একজন ভালো ইথিক্যাল হ্যাকার হওয়ার জন্য কী করতে হবে?

এটি একটি সাধারণ প্রশ্ন যা শুরুতেই আপনার মনে আসতে পারে। সঠিক উত্তর হলো, আপনার নিজের আগ্রহ,উদ্যম, জ্ঞান অর্জনমূলক মনোভাব, অধ্যাবসায় এবং সঠিক গুরুত্ব দিতে পারলে, অবশ্যই আপনি নিজেকে একজন ভালো ইথিক্যাল হ্যাকার হিসেবে আবিষ্কার করতে পারবেন।

প্রথমেই, হ্যাকিং জগতে দক্ষতা অর্জন করতে আপনার নিজেকে শিক্ষাগত ও প্রশিক্ষণিক দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। এটি তখনই সম্ভব হবে,যখন আপনি এই ক্ষেত্রে নিজেকে নির্দিষ্ট কোর্স ও ট্রেনিং প্রোগ্রামে নিবন্ধিত করবেন এবং সফলভাবে জ্ঞানার্জন করবেন। একজন ভালো হ্যাকার হওয়ার জন্য দক্ষ প্রশিক্ষক এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পেলে আপনি নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করার সুযোগ পাবেন।

দ্বিতীয়ত, একজন হ্যাকার হিসেবে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে অপরাধমূলক কর্ম থেকে নিরাপদ রাখতে হবে এবং নিজ কাজের জন্য উপযুক্ত সাইবার সুরক্ষা ব্যবহার শিখতে হবে।

• ইথিক্যাল হ্যাকিং শেখার জন্য উপযুক্ত সোর্স সমূহ:

• হ্যাকিং শেখার জন্য উপযুক্ত সোর্স সমূহ খুঁজে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন শিক্ষার্থী অথবা নতুন হ্যাকার হলে, শুরুতেই আপনার প্রথম ধাপ হল উপযুক্ত সোর্স সমূহের সন্ধান করা।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি সম্ভাব্য হাজারো হ্যাকিং সোর্স, টিউটোরিয়াল, এবং প্রশিক্ষণাদির সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেয়ে যাবেন। প্রথমেই, এই সোর্সগুলির মধ্যে ফ্রি অথবা চার্জযোগ্য কোর্সগুলি সম্পর্কে আপনি খুঁজে বের করবেন কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত হবে। যেমনঃ অনলাইনে হ্যাকিং কোর্স, সাইবার সিকিউরিটি কোর্স, হ্যাকিং শিখার টিউটোরিয়াল ইত্যাদি। এই সোর্সগুলি থেকে ভিডিও লেকচার, বই, ব্লগ পোস্ট, প্রশ্নোত্তর, এবং অনুশীলন বিষয়ক কিছু জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। তবে অনলাইনে শিক্ষা অর্জন করে সফল হ্যাকিং শিক্ষা অর্জন সম্ভব নয়। এজন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করে নিতে হবে। 

০৪. ইথিক্যাল হ্যাকিং (Ethical Hacking ) শিখতে নিজের নিরাপত্তা কেমন বাড়ানো যায়?

হ্যাকিং হলো একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কিং ক্ষমতা, যা দ্বারা অন্যদের নেটওয়ার্কিং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু আপনি হ্যাকিং শিখতে নিজের নিরাপত্তা কেমন বাড়ানো যায় তা জানতে হবে।

প্রথমেই, একটি মারকিন্টায়ার থেকে শুরু করুন। মারকিন্টায়ার একটি ইথিক্যাল হ্যাকিং প্ল্যাটফর্ম যা আপনাকে নিরাপত্তা নিয়ে শিখাবে এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবে। এই প্ল্যাটফর্মে আপনি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং বাংলাদেশি মারকিন্টায়ারদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক তৈরী করতে পারেন। এতে আপনি নিজের হ্যাকিং ক্ষমতার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং নিজের নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে পারবেন।

দ্বিতীয়ত, হ্যাকিং প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করুন। একটি ভালো হ্যাকিং প্রশক্ষণ গ্রহণ করলে, আপনার নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।

০৫. হ্যাকিং এর বিভিন্ন ধরণ এবং তার ব্যবহার:

হ্যাকিং একটি সদ্য বেগবান বিজ্ঞান যা আধুনিক প্রযুক্তির যুগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাকিং কেবল অন্যের সিস্টেমে আক্রমণ করে তথ্য চুরি বা নিজের হীন স্বার্থ হাসিল করা নয়। বরং এটি একটি কম্পিউটার সিস্টেমের শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যা পরীক্ষার মাধ্যমে সংরক্ষিত তথ্য আরো নিরাপদ ভাবে সংরক্ষণ করা এবং অবৈধ অ্যাক্সেস কে প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করা। হ্যাকিং এর বিভিন্ন ধরণ রয়েছে, এবং প্রতিটি ধরণের আপনার উদ্দেশ্য এবং অবস্থান বিশেষভাবে প্রভাবিত করবে। 

০৬. হ্যাকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা যা আপনাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা এবং সাইবার সুরক্ষা বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান সরবরাহ করতে সাহায্য করে। হ্যাকিং দক্ষতা সম্পর্কে যদি ভালো প্রশিক্ষণ পাওয়া যায়, সেটা আপনাকে হ্যাকিং ফাংশনালিটির জ্ঞান এবং সাইবার অ্যাট্যাক এর বিভিন্ন রকম নতুন ভাবনা সরবরাহ করতে সাহায্য করবে।

০৭.ইথিক্যাল হ্যাকিং প্রশিক্ষণ : ( Ethical Hacking Training )

প্রথমত, একটি মৌলিক প্রশিক্ষণ আপনাকে সাইবার সুরক্ষা এবং অবৈধ প্রবেশপথের রাস্তা দেখাবে। এই প্রশিক্ষণে আপনি সাইবার অ্যাট্যাক এর প্রকার এবং কিভাবে তা প্রতিরোধ করতে হয় সে সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

দ্বিতীয়ত, হ্যাকিং এর জন্য বিভিন্ন কম্পিউটার সফটওয়্যার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। যেটা সফটওয়্যার এর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং সেগুলো মেরামত করার জ্ঞান সরবরাহ করবে।

০৮. কর্মক্ষেত্রে ইথিক্যাল হ্যাকিং শুরু করার পদক্ষেপ:

ইথিক্যাল হ্যাকিং পেশা একটি স্বাধীন কর্মক্ষেত্র তৈরী করে, যা সম্প্রতি অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন পেশা হয়ে উঠেছে। এটি আপনাকে একটি সম্ভবনাময় আর্থিক ও পেশাদার কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়। হ্যাকিং ব্যবসা শুরু করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।

• শিক্ষার জন্য সঠিক সময় নির্ধারণ করুন:

• হ্যাকিং শিখতে আপনার মনোযোগ ও সময় প্রয়োজন হবে। এটি নতুন জ্ঞান ও দক্ষতার সমন্বয় ঘটলেই সহজে সম্পন্ন হবে। তাই সঠিক সময় নির্ধারণ করে আপনার শিক্ষার জন্য সময় প্রদান করুন।

• উপযুক্ত তথ্য অনুসন্ধান করুন:

•  পেশাদার হ্যাকিং শিখতে আপনাকে সবসময় ইন্টারনেটে প্রকাশিত পুস্তক, অনলাইন কোর্স, তথ্যমূলক ভিডিও ইত্যাদি থেকে উপযুক্ত ও যুগোপযোগী তথ্য অনুসন্ধান করতে হবে। কারণ সময়ের সাথে এর ধরন পরিবর্তন হতে থাকে।

০৯. পার্টনারশিপ করার উপায় এবং হ্যাকারের সাপোর্ট গ্রহণ :

• হ্যাকিং শেখার জন্য একটি অসাধারণ উপায় হলো পার্টনারশিপ করা। হ্যাকারদের সাথে মিলিয়ে কাজ করা একটি সুযোগ, যা আপনাকে প্রফেশনাল উন্নয়নে সাহায্য করতে পারে। আপনি ভালো একটি হ্যাকিং সার্ভিস প্রদানকারী সংস্থা খুঁজে বের করুন, যা আপনাকে নিরাপদ এবং বিশেষজ্ঞ হ্যাকারদের সঙ্গে যুক্ত করে দিবে। এই পার্টনারশিপটি আপনাকে মূল্যবান পরামর্শ এবং বিভিন্ন হ্যাকিং প্রক্রিয়াগুলি শেখার সুযোগ করে দেবে।

কিভাবে কম্পিউটার সিস্টেম নিরাপদ রাখবেন ( How to Keep Computer Secure)?

নিজের কম্পিউটার সিস্টেমকে হ্যাকিং এর হাত থেকে নিরাপদ রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছু সাধারণ পরামর্শ নিম্নে দেওয়া হলো:

• শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন:

• কম্পিউটারে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। পাসওয়ার্ডটি অক্ষর, সংখ্যা ও বৈচিত্রময় করার চেষ্টা করুন। আপনার পাসওয়ার্ড নিজের বা প্রাতিষ্ঠানিক নামে ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। যদি সম্ভব হয় দুই স্তর লগইন ব্যবস্থা (Two-Factor Logic ) ব্যবহার করুন।

• সিস্টেম আপডেট করুন:

• নিজের কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার এবং এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলি নিয়মিতভাবে আপডেট করুন। আপডেটগুলি নিয়মিতভাবে প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত আপডেট চ্যানেল ব্যবহার করে সম্পন্ন করুন। সিস্টেমে সুরক্ষার জন্য স্ক্যান করার পদ্ধতি সাধারণত নির্দিষ্ট সময়কালে বা অটোমেটিকভাবে আপডেট ব্যবস্থা চালু করতে পারেন।

• মালওয়্যার স্ক্যান করুন:

• এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে নিজের কম্পিউটারে মালওয়্যার স্ক্যান করুন। এটি আপনাকে পরিবর্তনশীল মালওয়্যার, ভাইরাস, ট্রোজান, রুটকিট ইত্যাদি থেকে রক্ষা করবে। আপনার সফটওয়্যার আপডেট না থাকলে, এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামটি আপডেট করুন এবং নতুন স্ক্যান ব্যবস্থা চালু করুন।

• অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিন:

• ফায়ারওয়াল সেটিংস, পপ-আপ ব্লকার, ডিস্ক এনক্রিপশন সহ বিভিন্ন সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলি নিজের সিস্টেমে সক্রিয় করুন। এছাড়াও, কম্পিউটারে আপনার ডেটা ও ফাইলগুলির ব্যাকআপ তৈরি করুন এবং আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে একটি সুরক্ষিত স্থানে সংরক্ষণ করুন।

অপরিচিত লিংক থেকে সতর্কতা অবলম্বন করুন:

• মেইল অ্যাটাচমেন্ট বা অজানা সোস্যাল মিডিয়া লিঙ্ক যখনই প্রাপ্ত করেন, তাদের উপরে ক্লিক করার আগে সতর্কতা অবলম্বন করুন। অজানা উৎস থেকে প্রাপ্ত ফাইলের মাধ্যমে একটি মালওয়্যার ইনস্টল হতে পারে। যেটা আপনার সিস্টেম হ্যাক করতে পারে।

• পাবলিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারে সতর্ক থাকুন:

• পাবলিক ওয়াইফাই স্পটে থাকার সময় অনুগ্রহ করে সতর্ক থাকুন। এই নেটওয়ার্কগুলি সত্যিই অ-সুরক্ষিত হতে পারে এবং আপনার তথ্য চুরির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। পাবলিক নেটওয়ার্কে আনলাইন ব্যাংকিং, শপিং বা অন্যান্য যেকোনো সংক্রান্ত কাজ থেকে বিরত থাকুন।

সাধারণত, এই কম্পিউটার সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলি পালন করে আপনি নিজের কম্পিউটার সিস্টেমকে হ্যাকিং এর হাত থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন। আপনার জন্য একটি ভাল অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইনস্টল করা সুবিধাজনক হতে পারে, যাতে আপনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন এবং অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যারগুলি সঠিকভাবে আপডেট রাখুন।

আমরা আশা করি "হ্যাকিং এর প্রয়োজনীয়তা কি? আমরা কিভাবে শিখতে পারি?" সে সম্পর্কে আমাদের এই ব্লগ পোস্ট পরে আপনারা কিছুটা উপকৃত হয়েছেন। হ্যাকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত দক্ষতা, যা আপনাকে আরো উন্নত করে তুলতে সক্ষম।

এই পোস্টে আমরা হ্যাকিং সম্পর্কে কিছু ধারণা দিয়েছি মাত্র। তবে আপনি এডভান্সড প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য দক্ষতা সম্পন্ন প্রশিক্ষক অথবা ভালো মানের প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিয়ে হ্যাকিং ক্যারিয়ার শুরু করুন। আমরা আপনার হ্যাকিং ক্যারিয়ারে সাফলতা কামনা করছি। বাংলাদেশের আইটি সেক্টর আপনার অংশগ্রহণে আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সবজির

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ফেলত