সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কেন করবেন ? কিভাবে শুরু করবেন ?

ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কেন করবেন ? কিভাবে শুরু করবেন ?

বর্তমান সময় যুবসমাজের মধ্যে জনপ্রিয় একটি কাজ হলো ফ্রিল্যাণসিং। অনলাইন ভিত্তিক এই কাজের জনপ্রিয়তার মূল কারণ হলো, ঘরে বসে প্রচুর রোজগারের ব্যবস্থা।

বাংলাদেশের বহু তরুণ তরুণী এখন এ পেশার সঙ্গে যুক্ত। আপনিও ইচ্ছে করলে ক্রম বর্ধমান এই পেশাকে বেছে নিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে জেনে নিন এই পেশার গুরুত্বপূর্ণ ধাপসমূহ।

ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কেন করবেন?

পড়ুন :

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (AI) প্রগতি (Artificial Intelligence Progress)--

https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2023/06/ai-artificial-intelligence-progress.html

ব্লগ ক্রল ও ইনডেক্স সেটিংস কিভাবে করবেন? গুগল সার্চ কনসুলে কিভাবে ইনডেক্স করাবেন?

https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2023/06/blog-post_24.html

০১. ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কেন করবেন?

ফ্রিল্যান্সিং হলো নিজের মানচিত্রে কাজ করা। এটি আপনাকে নিজের সময় অনুযায়ী স্বাধীন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী করতে সক্ষম। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করা শুরু করলে আপনি নিজের সময় এবং পছন্দমতো কাজ নির্বাচন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করার একটি সুবিধা হলো আপনি নিজের স্কিল অনুযায়ী প্রজেক্ট নির্বাচন করতে পারেন। আপনি যে কোন একটি শাখা পছন্দ করে কাজ করতে পারবেন এবং এই কাজ নিয়ে আপনি নিজের স্কিল আরো উন্নত করতে পারবেন। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে নিজের কাজ নিজের মতো করতে দেয় এবং আপনাকে নিজের কাজে নিজের মত নয় বরং সময় মতো করতে দেয়।

০২. ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য নিজেকে দক্ষ  প্রশিক্ষিত করে তোলা :

ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন পেশা। তবে এটি শুরু করার আগে প্রথমে আপনাকে নিজের জ্ঞান, কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

বিভিন্ন ভালো মানের প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে আপনি শর্ট বা লং কোর্স করে একজন দক্ষ পেশাদার হিসেবে তৈরী করুন। আর এতে আপনি নিজের কর্ম কৌশল এবং কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতার প্রমান সুনামের সঙ্গে দিতে পারবেন।

এরপরে আপনাকে নিজের নেটওয়ার্ক বিস্তার করতে হবে। আপনার নেটওয়ার্ক কোন কোন লোকদের থেকে তৈরি হবে তা নিশ্চিত হতে হবে। আপনার কাছে যদি একজন প্রবীণ বা অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার থাকে, সে আপনাকে সহায়তা করতে পারে। এছাড়াও, নিজের নেটওয়ার্ক বাড়ানোর জন্য আপনার বন্ধুবান্ধব এবং সামাজিক নেটওয়ার্কে অভিজ্ঞদের সাহায্য নিতে পারেন।

০৩. একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কীভাবে আপনি নিজেকে মার্কেট প্লেসে উপস্থাপন করবেন?

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে গিয়ে অনেকে ভুল পদক্ষেপ নেয় যা তাদের শুরুতেই প্রবলভাবে কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে। তাই জেনে নিন কীভাবে আপনি নিজেকে মার্কেট প্লেসে উপস্থাপন করতে পারেন যাতে করে দেশ বিদেশের কাস্টমারদের আপনার উপর আকৃষ্ট হয় এবং বিশ্বাস-ভরসা সৃষ্টি হয়।

আপনি নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য একটি পেশাদার প্রোফাইল তৈরী করুন যা আপনার দক্ষতা সম্পর্কে কাস্টমারকে ধারণা দেবে এবং আপনার কাজকে নির্ভরযোগ্যভাবে প্রদর্শন করবে। আপনি একটি প্রোফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন বা অন্য কোন প্লাটফর্মে আপনার প্রোফাইল তৈরি করে সাবমিট করতে পারেন যেমন - Upwork, Fiverr, Freelancer, PeoplePerHour ইত্যাদি।

০৪. অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম পর্যালোচনা করুন:

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি কাজ পাবেন। এই প্লাটফর্ম সম্পর্কে পুরোপুরি জানার জন্য আপনাকে ভালো ভাবে পর্যালোচনা করে তাদের প্রতিটি বৈশিষ্ট্য ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিতে হবে।

প্রতিটি প্লাটফর্মের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন হতে পারে। কিছু প্লাটফর্ম আছে যেখানে পেমেন্ট প্রক্রিয়াটি খুব সহজ এবং অন্যান্য প্লাটফর্মের মতো কমিশন রেটও প্রতিটি প্লাটফর্মে ভিন্ন হয়ে থাকে।

আপনি সঠিক প্লাটফর্ম নির্বাচন করার জন্য আপনার কাজের ধরন, পেমেন্ট সিস্টেম এবং প্রতিটি প্লাটফর্মের কমিশন রেট এবং অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয় জেনে নিবেন।

০৫. কাজের মূল্য নির্ধারণ করুন :

একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজে মূল্য নির্ধারণ করার মাধ্যমে মূলত আপনার কাজের মান পরিমাপ করা হয়। আপনি চাইলে ফিক্সড প্রজেক্ট করার জন্য মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন বা আপনার সময় অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন।

আপনার নির্ধারিত মূল্যের সাথে ক্লাইন্ট কাজ না করার কারণ হতে পারে আপনার কাংক্ষিত মূল্য অত্যন্ত উচ্চ। তাই সচেতন ভাবে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা উচিৎ।

আবার মূল্য নির্ধারণ করার সময়, আপনার কাজের দক্ষতা একটা মুখ্য বিষয় হতে পারে। আপনি যদি একটি সমস্যার সমাধান দিতে পারেন যেটি অন্য ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কিছুটা কঠিন, সেক্ষত্রে আপনার পারিশ্রমিক এমনিতেই বেড়ে যাবে।

০৬. ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য শুরুতে আপনার পেমেন্ট কীভাবে স্থির করবেন?

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার পেমেন্ট কীভাবে স্থির করবেন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু এটি খুবই সহজ।

শুরুতে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য নানা প্লাটফর্ম রয়েছে। আপনি যে কোন প্লাটফর্মে কাজ নিয়ে থাকুন না কেন তা নির্ভর করে আপনি কীভাবে পেমেন্ট গ্রহণ করবেন।

আপনি একজন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার হলে আপনার জন্য বিকাশ অথবা নগদ পেমেন্ট অপশন অনেকটা সহজ হতে পারে।

আপনি যদি একজন ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সার হন তবে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য পেপাল ব্যবহার করতে পারেন। পেপাল হল একটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে। পেপালে আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্ট সংযোজন করে একটি সহজ পেমেন্ট গেটওয়ে সুবিধা পেতে পারেন।

০৭. ফ্রিল্যান্সিং করার সময় কীভাবে নিরাপদ থাকবেন?

ফ্রিল্যান্সিং করার সময় নিরাপদ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ রাখার জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো।

⛔ ️পেমেন্ট নেওয়ার আগে কাজটি সম্পূর্ণ করে নিন। আপনি একটি নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট গেটওয়ে সাবস্ক্রাইব করতে পারেন যা আপনার কাজ এবং হিসাব সম্পর্কে সম্পূর্ণ স্পষ্টতা ও নিরাপদ করে তুলবে। আপনি একটি স্ক্রিনশট সংযুক্ত করতে পারেন যা আপনার কাজটি সম্পূর্ণ করার পর তৈরি হয়েছে।

⛔️ আপনার কাজ শুরু করার আগে ক্লায়েন্টের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেন। এটি আপনার এবং ক্লায়েন্টের মধ্যে কীভাবে কাজ সম্পন্ন হবে সে সম্পর্কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

০৮. শুরুতে ফ্রিল্যান্সিং করার সময় যে কিছু ত্রুটি হয়ে থাকে তা কি এবং কীভাবে এগুলি সংশোধন করবেন?

আপনি ইতিমধ্যেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ জেনেছেন। তারপরেও আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করার প্রথম কয়েকটি সপ্তাহ খুব কঠিন হতে পারে এবং আপনি কিছু ভুল ত্রুটি করতেই পারেন। নতুন যেকোনো কাজ শুরু করলে এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। নতুনরা সবচেয়ে বেশি যে ভুলটি করে তা হলো, অভিজ্ঞদের পরামর্শ না নিয়েই কাজটি শুরু করে দেয়া। আর এতেই বিভিন্ন রকম সমস্যা তৈরী হয়ে যেতে পারে। হয়তো আপনি তখনো এর সমাধান জানেন না। আপনি যদি এই মিস্টেকটি করেন, তাহলে আপনার ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট হবেনা এবং আপনার পেমেন্ট বন্ধ হতে পারে।

আরেকটি কোমন মিস্টেক হলো ক্লায়েন্টের সাথে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অথবা বুঝিয়ে গুছিয়ে কথা বলতে না পারা। আপনার ক্লায়েন্ট একটা সমস্যার সমাধান পেতে চাইবেন। তাদের সমস্যার সমাধান দেওয়ার জন্য আপনি তাদের সাথে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গুছিয়ে কথা বলে সেই সমাধান দিতে হবে। তাই যখন প্রথম কাজ শুরু করবেন, তখন অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারের পরামর্শ ও সহযোগিতা নেবেন। আর এই সেক্টরের অধিকাংশ সিনিয়ররা আপনাকে আন্তরিক সহযোগিতা করবে।

০৯. ফ্রিল্যান্সিং করার সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রযুক্তি শিখুন এবং প্রফেশনাল হওয়ার পথে আরো এগিয়ে যান:

ফ্রিল্যান্সিং করার সময় নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে শিখতে প্রস্তুত থাকুন। ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার জন্য প্রফেশনাল হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে নির্দিষ্ট প্রকল্প সম্পাদন করতে হবে এবং প্রকল্পের নির্দিষ্ট সময় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে। 

ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে আপনি জানতে পারবেন যে নতুন টুল, সফটওয়্যার এবং টেকনোলজি সমূহ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য নিজেকে নিয়মিত আপডেট করতে হবে এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কাজ শিখতে হবে। আপনাকে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে হবে এবং নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

আমরা আশা করি আমাদের এই ব্লগপোস্ট অধিকাংশ নতুন ফ্রিল্যান্সিং কর্মীদের জন্য উপকারে আসবে। আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার পথে হেরে না যেতে চাইলে এই ধাপসমূহ অনুসরণ করতে পারেন এবং অভিজ্ঞ সিনিয়রদের পরামর্শ অনুসরণ করে চলতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং একটি বিশেষ ক্ষেত্র যা আপনার নিজের কাজের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেয়। আমরা আশা করি আপনি সফল ফ্রিল্যান্সিং করার পথে অগ্রসর হবেন। আপনার ফ্রিল্যান্সিং কর্মজীবন সফল হয়ে উঠুক সেই প্রত্যাশা রইলো। আমাদের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সবজির

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ফেলত