সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (AI) প্রগতি (Artificial Intelligence Progress)

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রগতি (Artificial Intelligence Progress):

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়টি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট প্রামাণিক বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনা করা হয়নি, যে কারনে নির্দিষ্ট করে উত্তর প্রদান করা সম্ভব নয যে আগামীদিনে আরো কতোটা বিস্তৃত পরিসরে একে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা হলো একটি প্রাকৃতিক ভৌতত্বের মধ্যে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) ব্যবহার করে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা মনোবিজ্ঞানের মত ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রিত ভাবে ব্যবহার যোগ্য করে তোলা হয়। এই বিষয়ে আরো উচ্চ গবেষণা ও উন্নতি হলে ভবিষ্যতে একটি আশ্চর্যজনক প্রগতি দেখা যাবে। তবে, এক্ষেত্রে আরো নতুন প্রযুক্তি সংযোজন এবং উন্নতির জন্য পরিকল্পিত পরিকল্পনা প্রয়োজন, যাতে সমস্যাগুলি সমাধান করতে দরকারি পদক্ষেপ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। পর্যাপ্ত গবেষণা দ্বারা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার আরো উন্নতির ক্ষেত্রে পর্যালোচনা ও গবেষণা প্রক্রিয়াগুলির জন্য তথ্য-প্রমাণ সরবরাহ করতে হবে। তাই বর্তমানে প্রমাণ সহকারে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার কার্য ক্ষমতা ও প্রবণতা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রগতি (Artificial Intelligence Progress)

আরো পড়ুন :https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2023/06/blog-post_99.html

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (AI) কোন ঝুকি তৈরী করবে কিনা?

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়টি পর্যালোচনার দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে। এটি বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং প্রোগ্রামিং শক্তিগুলির মধ্যে ব্যবহার করে মানুষকে মৌলিকভাবে উন্নত করতে পারে।

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং, নিউরাল নেটওয়ার্ক, সংগঠিত তথ্য, প্রাকৃতিক ভাষা প্রসেসিং এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।

যেমনঃ

মেশিন লার্নিং ও ডিপ লার্নিং: কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা মডেলগুলি কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয় এবং ডেটার উপর ভিত্তি করে নতুন তথ্য শিখতে পারে।

নিউরাল নেটওয়ার্ক: কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সাধারণত নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তৈরি করা হয়, যা মানব মস্তিষ্কের নিউরনের তার মতো কাজ করে।

প্রাকৃতিক ভাষা প্রসেসিং: কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রাকৃতিক ভাষা প্রসেসিং ব্যবহার করে মানুষের ভাষায় কথা বলার বা বোঝার জন্য নিজেই উত্তর তৈরি করতে পারে।

এই প্রযুক্তিগুলির মাধ্যমে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিকাশ অথবা নতুন ঝুকির ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে উল্লেখ্য, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এখনও মানুষের সমস্যাগুলির সম্পূর্ণ সমাধান দিতে যেমন সক্ষম নয় তেমনি কোনও উল্লেখযোগ্য ঝুকি তৈরি করতে পারে না। প্রযুক্তিগুলিকে মানুষের তৈরী করে দেয়া নির্দিষ্ট নিয়ম বা আদেশ অনুসরণ করতে হয়। তাই সমস্যাগুলির সম্পূর্ণ ধারণা ধারণা নেয়া বা সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান দেয়া কৃত্তিম বুদ্ধির রোবটের পক্ষে সম্ভব নয়।

আগামীতে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার রোবট (AI) কোন কোন কাজের দ্বায়িত্ব নিতে সক্ষম হবে?

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার রোবট আগামীতে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হতে পারে। নিচে কিছু উদাহরণ দেয়া হলোঃ

স্বাস্থ্য সেবা: কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার রোবট সক্ষম হতে পারে মেডিকেল সেবা প্রদানে এবং চিকিৎসা প্রক্রিয়াগুলির সহায়তা করতে। এটি রোগীদের নতুনদের নিয়ন্ত্রণ করতে, উচ্চস্তরের রোগনিরোধ করতে এবং পরামর্শ প্রদান করতে পারে।

শিক্ষা: রোবট শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষা প্রদান করতে সক্ষম হতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা মার্গনির্ধারণ করতে পারে, পাঠদান প্রদান করতে পারে এবং তাদের অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে পারে।

অটোমেশন ও সেবা শ্রেণী: কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার রোবট বিভিন্ন কারখানা, অফিস, হাসপাতাল এবং পাবলিক স্থানে সেবা প্রদানে সহায়তা করতে পারে। এটি কোম্পানী সেবা, খুচরা সেবা, অ্যাটেন্ডেন্ট কর্মচারী সেবা ইত্যাদি সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

গৃহকর্ম ও কেনাকাটা: রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাসা সাজানো, পরিষ্কার করা এবং কেনাকাটা সহজ করতে পারে। এটি ডোরবেল সেবা, পরিবহন কর্মচারী, ক্লিনিং রোবট, শপিং সহায়তা সরঞ্জাম পরিচালনা করতে পারে।

ইন্টারএকশন এবং মানবিকরণ: রোবট মানুষের সাথে সাধারণত ইন্টারএকশন করতে পারে এবং মানুষের মানসিক এবং মানসিক সংখ্যাতাত্ত্বিক সম্পর্ক ব্যবস্থা করতে সহায়তা করতে পারে।

এটি কেবলমাত্র উদাহরণ, এবং আগামীতে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার রোবট এবং তাদের কাজের দ্বায়িত্ব আরও বিস্তারিত ও উন্নতি পাবে। প্রযুক্তির গতিপথ অপেক্ষায় আগামীর দিকে আরও উন্নতি ও সুবিধার অপেক্ষায় থাকা সম্ভাবনাগুলি অসীম।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সবজির

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ফেলত