সচেতনতা'ই হতে পারে কৃষকের মুক্তির একমাত্র পথ :
আমরা যারা হতভাগা, অবহেলিত, নিষ্পেষিত, চিরলাঞ্ছিত, শোষিত, হতদরিদ্র কৃষক, তাদের ভাগ্যলিপি কখোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়না। দু একজন কৃষক ব্যাক্তিপর্যায়ে সফল হলেও, বেশিরভাগ কৃষিজীবী পরিবারের চিত্র প্রায় একই । এর জন্য আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ এর সঙ্গে আমরা কৃষকগণ নিজেরাও কম দায়ী নয়। আধুনিক কৃষিতে অনীহা এবং জ্ঞানের অভাব, বর্তমান পরিবর্তিত জলবায়ুতেও পুরাতন বা সনাতন পদ্ধতিতে'ই কৃষিকাজ, ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনার অভাব, সামাজিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে ঐক্য বা একতার অভাব'ই আমাদের ভাগ্য উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় । পাশাপাশি উপুর্যপরি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপকহারে ফসলের ক্ষতিসাধন, ভালো মানের বীজের অভাব, সার ও কীটনাশকের উচ্চমূল্য এবং সঠিক নীতিমালা না থাকায় কৃষক উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকের মেরুদন্ড ভেঙ্গে অচল করে দিয়েছে । কৃষিজীবীদের চোখের সামনে এখন শুধু দুর্ভেদ্য অন্ধকার । প্রায়ই শোনা যাচ্ছে, সুইসাইড নোট লিখে কৃষক আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে । নোটে লেখা থাকে , ''তিনি ঋণগ্রস্থ যা পরিশোধের সামর্থ তার নাই, তাই ইজ্জত রক্ষায় আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে''। কতোটা কস্টে একজন মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নেয়, সেটা হয়তো তিনি নিজেই ভালো বলতে পারতেন । আর এরকম হাজারো কৃষকের কস্টের না বলা আত্মচিৎকার, আমাদের অজানাই থেকে যায় । আর জানলেই একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিইবা করতে পারতাম আমি বা আমরা ??
কিন্ত এই পরিস্থতি থেকে মুক্তির পথ কৃষককেই খুঁজে বের করতে হবে । কিন্তু সেটা কোন সহজ কাজ নয় । একজন, দু'জন, দশজনের পক্ষেও সম্ভব নয় । তাহলে সমাধান হবে কিভাবে ?
হ্যাঁ পথ অবশ্যই রয়েছে, কিন্ত সেজন্য একজন - দুজন থেকে এক হাজার- দশ হাজার- দশ লক্ষ জন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে । ব্যক্তি থেকে গোষ্ঠী, গোষ্ঠী থেকে প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে হবে । সমন্বিত প্রচেস্টা অব্যহত রাখতে হবে । হাতে হাত রেখে শক্ত-মজবুত হয়ে মাটি আঁকড়ে দাড়াতে হবে ।
কিন্ত এটা কি সহজ ? বিষয়টা যত সহজে গল্পের মতো বলে ফেলেছি, আদতে কাজটা অত সহজ নয় । এজন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা এবং সমন্বিত উদ্যোগ। আর সেই উদ্যোগ তখন সফল হবে, যখন পরিকল্পনা মোতাবেক সঠিক কাজ করা সম্ভব হবে । আর সেজন্য চাই একটা কৃষক চেইন । একের সঙ্গে অন্যের যোগযোগ । দেশের প্রতিটা ইউনিয়ন পর্যায় থেকে কৃষকদের একত্রিত হতে হবে, কাজ করতে হবে । তারপর উপজেলা, জেলা পর্যায়ে । কিন্তু সেটা কতো দিন, মাস কিংবা বছরে সম্ভব হবে বা আদৌ সম্ভব হবে কিনা জানিনা । আর এর মূল কারণ বেশীরভাগ নিরক্ষর এবং অসচেতন কৃষক । দেশে সকল শ্রমজীবী বা পেশাজীবীদের সংগঠন রয়েছে । কিন্ত অসচেতন বলেই, কৃষকদের আদতে কোন সংগঠন নাই । আর যেকারণে কৃষকদের ভাগ্যের সিকে আজো ছেড়েনি । আর নিজেরা ঘুরে না দাঁড়ালে, নিজেদের এজেন্ডা নিয়ে নিজেরা সোচ্চার না হলে , আগামী ৩০০ বছরেও কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন হবেনা ।
আমি একজন অতি ক্ষুদ্র চাষা । অন্তরে পুষে রেখেছি অনেক স্বপ্ন । যার বেশীরভাগই শুধু দুঃস্বপ্ন হয়েই আছে । তবে আমার সেই স্বপ্ন থেকে, আবেগ থেকে মাঝে মাঝে কিছু বিষয় আপনাদের সঙ্গে স্বান্তনা পেতে শেয়ার করি । আপনারাও অকৃত্তিম ভালোবাসা নিয়ে পাশে থাকেন । আর যে কারনে আশা বেড়ে যায় । নতুন স্বপ্নের সাহস, ভরসা জোগায় । আর তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই স্বপ্নের অবতারনা ।
#চার বছর ধরে গ্রামে থেকে কৃষিকাজ করছি । প্রতিবেশী কৃষক বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ, ভাব লেনদেন নেশা হয়ে দাড়িয়েছে । সাধ্যমত তাদের সহযোগী হয়ে কাজ করছি । কিন্ত এটা যথেষ্ঠ নয় । তাই ভাবছি কৃষক বন্ধুদের নিয়ে একটা সেবামূলক, কল্যাণমূলক সংগঠন বা প্রতিস্ঠান তেরী করা চেস্টা করবো ইনশাল্লাহ । যে প্রতিস্ঠান শুধু মাত্র কৃষক বন্ধুদের কল্যানে কাজ করার চেষ্টা করবে। যেখান থেকে আধুনিক কৃষি সংক্রান্ত সকল তথ্য ও প্রশিক্ষন প্রদান সহ কৃষকদের ন্যায্য, যুক্তিসংগত দাবী গুলো তুলে ধরার চেস্টা করবো । কৃষকের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃস্টি সহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সেবা প্রদান করা হবে । (বিঃদ্রঃ --কেউ আমাকে পাগল ভেবে অন্তত হাসবেন না । )
*প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ফেসবুকে একটা গ্রুপ এর মাধ্যমে দেশের প্রতি ইউনিয়ন থেকে কৃষিজীবী সদস্য সংগ্রহের চেস্টা করবো ইনশাল্লাহ।
কাংক্ষিত উদ্যোগটি সফল ভাবে সমাপ্ত করতে পারলে পরবর্তী পদক্ষেপে অগ্রসর হবো । কিন্ত আমার প্রথম পদক্ষেপ সফল তখনই হবে, যখন আল্লাহর রহমত এবং আপনাদের মতো সচেতন কৃষকদের আন্তরিক সহযোগিতা আমার সঙ্গে থাকবে । নইলে আমার স্বপ্ন আঁতুড় ঘরেই দাফন হবে নিস্চিত ।
আমি চোখ বুঝে ঘূমালেও জেগে স্বপ্ন দেখি । আর আমার আত্মবিশ্বাস, আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীন আমাকে নিরাশ করবেন না ।
আবারো সচেতন কৃষকদের আগ্রহ ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি । কমেন্ট করে আপনার মন্তব্য, পরামর্শ এবং সঙ্গে নিজ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন এর নাম লিখুন ।
#আমি স্বপ্ন দেখি জেগে , বেঁচে থাকবো অনন্ত কাল, যদি বাংলার কৃষক থাকে সুখে---চাষা আলামিন জুয়েল ॥
হ্যাঁ পথ অবশ্যই রয়েছে, কিন্ত সেজন্য একজন - দুজন থেকে এক হাজার- দশ হাজার- দশ লক্ষ জন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে । ব্যক্তি থেকে গোষ্ঠী, গোষ্ঠী থেকে প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে হবে । সমন্বিত প্রচেস্টা অব্যহত রাখতে হবে । হাতে হাত রেখে শক্ত-মজবুত হয়ে মাটি আঁকড়ে দাড়াতে হবে ।
কিন্ত এটা কি সহজ ? বিষয়টা যত সহজে গল্পের মতো বলে ফেলেছি, আদতে কাজটা অত সহজ নয় । এজন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা এবং সমন্বিত উদ্যোগ। আর সেই উদ্যোগ তখন সফল হবে, যখন পরিকল্পনা মোতাবেক সঠিক কাজ করা সম্ভব হবে । আর সেজন্য চাই একটা কৃষক চেইন । একের সঙ্গে অন্যের যোগযোগ । দেশের প্রতিটা ইউনিয়ন পর্যায় থেকে কৃষকদের একত্রিত হতে হবে, কাজ করতে হবে । তারপর উপজেলা, জেলা পর্যায়ে । কিন্তু সেটা কতো দিন, মাস কিংবা বছরে সম্ভব হবে বা আদৌ সম্ভব হবে কিনা জানিনা । আর এর মূল কারণ বেশীরভাগ নিরক্ষর এবং অসচেতন কৃষক । দেশে সকল শ্রমজীবী বা পেশাজীবীদের সংগঠন রয়েছে । কিন্ত অসচেতন বলেই, কৃষকদের আদতে কোন সংগঠন নাই । আর যেকারণে কৃষকদের ভাগ্যের সিকে আজো ছেড়েনি । আর নিজেরা ঘুরে না দাঁড়ালে, নিজেদের এজেন্ডা নিয়ে নিজেরা সোচ্চার না হলে , আগামী ৩০০ বছরেও কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন হবেনা ।
আমি একজন অতি ক্ষুদ্র চাষা । অন্তরে পুষে রেখেছি অনেক স্বপ্ন । যার বেশীরভাগই শুধু দুঃস্বপ্ন হয়েই আছে । তবে আমার সেই স্বপ্ন থেকে, আবেগ থেকে মাঝে মাঝে কিছু বিষয় আপনাদের সঙ্গে স্বান্তনা পেতে শেয়ার করি । আপনারাও অকৃত্তিম ভালোবাসা নিয়ে পাশে থাকেন । আর যে কারনে আশা বেড়ে যায় । নতুন স্বপ্নের সাহস, ভরসা জোগায় । আর তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই স্বপ্নের অবতারনা ।
#চার বছর ধরে গ্রামে থেকে কৃষিকাজ করছি । প্রতিবেশী কৃষক বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ, ভাব লেনদেন নেশা হয়ে দাড়িয়েছে । সাধ্যমত তাদের সহযোগী হয়ে কাজ করছি । কিন্ত এটা যথেষ্ঠ নয় । তাই ভাবছি কৃষক বন্ধুদের নিয়ে একটা সেবামূলক, কল্যাণমূলক সংগঠন বা প্রতিস্ঠান তেরী করা চেস্টা করবো ইনশাল্লাহ । যে প্রতিস্ঠান শুধু মাত্র কৃষক বন্ধুদের কল্যানে কাজ করার চেষ্টা করবে। যেখান থেকে আধুনিক কৃষি সংক্রান্ত সকল তথ্য ও প্রশিক্ষন প্রদান সহ কৃষকদের ন্যায্য, যুক্তিসংগত দাবী গুলো তুলে ধরার চেস্টা করবো । কৃষকের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃস্টি সহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সেবা প্রদান করা হবে । (বিঃদ্রঃ --কেউ আমাকে পাগল ভেবে অন্তত হাসবেন না । )
*প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ফেসবুকে একটা গ্রুপ এর মাধ্যমে দেশের প্রতি ইউনিয়ন থেকে কৃষিজীবী সদস্য সংগ্রহের চেস্টা করবো ইনশাল্লাহ।
কাংক্ষিত উদ্যোগটি সফল ভাবে সমাপ্ত করতে পারলে পরবর্তী পদক্ষেপে অগ্রসর হবো । কিন্ত আমার প্রথম পদক্ষেপ সফল তখনই হবে, যখন আল্লাহর রহমত এবং আপনাদের মতো সচেতন কৃষকদের আন্তরিক সহযোগিতা আমার সঙ্গে থাকবে । নইলে আমার স্বপ্ন আঁতুড় ঘরেই দাফন হবে নিস্চিত ।
আমি চোখ বুঝে ঘূমালেও জেগে স্বপ্ন দেখি । আর আমার আত্মবিশ্বাস, আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীন আমাকে নিরাশ করবেন না ।
আবারো সচেতন কৃষকদের আগ্রহ ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি । কমেন্ট করে আপনার মন্তব্য, পরামর্শ এবং সঙ্গে নিজ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন এর নাম লিখুন ।
#আমি স্বপ্ন দেখি জেগে , বেঁচে থাকবো অনন্ত কাল, যদি বাংলার কৃষক থাকে সুখে---চাষা আলামিন জুয়েল ॥

মন্তব্যসমূহ