এটি একটি বহুবর্ষী ঘাস। একবার লাগালে ৩/৪ বসর ঘাস উৎপন্ন হয়। বসরের যে কোন সময় চাষ করা যায়। তবে উত্তম সময় ফাল্গুন- চৈত্র মাস। জলাবদ্ধ, লবনাক্ত বা পাহাড়ি ঢাল সহ সব ধরনের মাটিতে এই ঘাস জন্মে। সাইলেজ করে সংরক্ষণ করা যায়।
চাষ পদ্ধতিঃ
প্রচলিত পদ্ধতিতে উত্তম রুপে জমি চাষ দিতে হবে। বন্যা বা প্লাবন পরবর্তী কাঁদা মাটিতে চাষ ছাড়াই রোপণ করা যায়। হেক্টর প্রতি ৩৫-৪০ হাজার কাটিং লাগাতে হবে। লাইন থেকে লাইন ও কাটিং থেকে কাটিং এর দূরত্ব যথাক্রমে ৭০ ও ৩৫ সেমি হতে হবে।
সার প্রয়োগঃ
জমি প্রস্তুত কালে হেক্টর প্রতি ৫০ কেজি ইউরিয়া, ৭০ কেজি টিএসপি ও ৩০ কেজি এমপি সার প্রয়োগ করতে হবে। ঘাস লাগানোর ১ মাস পর পুনরায় ৫০ কেজি ইউরিয়া দিতে হবে। প্রতি কাটিং এর পর হেক্টর প্রতি ৫০ কেজি ইউরিয়া দিতে হবে।
সেচ ব্যবস্থাপনা:
খরা মৌসুমে ১৫/২০ দিন পরপর সেচ দিতে হবে।
ঘাস কাটার সময়ঃগ্রীষ্মকালীন-- ৩০/৩৫ দিন পরপর। শীতকালীন-- ৩৫/৪০ দিন পরপর।
কাটিং সংখ্যাঃ
১ম বসর ৫/৭ বার, পরবর্তী সময়ে ৭/৯ বার।
উৎপাদনঃ হেক্টর প্রতি ১০০- ১২০ টন।
পুষ্টিমানঃ
১ কেজি কাঁচা ঘাসে ২৬০ গ্রাম শুষ্ক পদার্থ, ২৪০ গ্রাম জৈব পদার্থ, ১৮ গ্রাম প্রোটিন ও ২.৬ মেগাজুল বিপাকীয় শক্তি বিদ্যমান।
তথ্য সূত্র : বাংলাদেশ পশুসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট।
* সকল কৃষক ভাই বোনদের জন্য শুভ কামনায়--- চাষা আলামীন জুয়েল *

মন্তব্যসমূহ