দেশের আবহাওয়ায় টেকসই মুরগির জাতগুলোর বাণিজ্যিকভাবে পালনের পথ উন্মুক্ত হবে এবার :---
দেশী জাতের গলাছিলা ও পাহাড়ি মুরগির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সফল গবেষণা পরিচালনা করেছে বিএলআরআই। প্রতিষ্ঠানটির পোলট্রি উৎপাদন গবেষণা বিভাগের উদ্ভাবিত মুরগি দেশী অন্যান্য জাতের মুরগি থেকে তিন গুণ ডিম ও দ্বিগুণ মাংস উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। দেশের পরিবেশে বেড়ে ওঠা নিজস্ব জাতের গলাছিলা মুরগি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতের মোরগ-মুরগির ওপর ২০০১ সাল থেকেই গবেষণা চালিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ২০০৩ সাল থেকে মূলত মুরগির ওপর জোর দেয়া হয়। ২০১০ সালে প্রথম সফলতা আসে। সে সময়ে বিদেশী জাতের সঙ্গে ক্রস ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে শুভ্রা নামের একটি জাত উদ্ভাবন করা হয়।
পোলট্রি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে স্থানীয় পরিবেশের উপযুক্ততা বজায় রেখেই দেশী জাতের উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব গবেষণা ফান্ডের মাধ্যমে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে গবেষণা করছেন এখানকার গবেষকরা। আর দেশী জাতের মুরগির উৎপাদন বাড়ানো ও বাণিজ্যিকভাবে লালন-পালনের বিষয়ে বিজ্ঞানীদের এ গবেষণা দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর হারাতে বসা দেশী মুরগির জাতগুলোকেও সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
দেশী জাতগুলোর উন্নয়নের ক্ষেত্রে নির্বাচিত বাছাই প্রজনন বা পিওর প্রজনন করা হয়েছে। দেশী গলাছিলা জাতের মুরগি গ্রামাঞ্চলে সাধারণত বছরে ৫০-৬০টি ডিম দিয়ে থাকে। বিএলআরআই গবেষণার মাধ্যমে জাতটির বার্ষিক ডিমের পরিমাণ ১৫০টি পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। ডিমের ওজনও বেড়েছে। আগে এসব মুরগি প্রথম ডিম দিতে বয়স লাগত ২২ সপ্তাহ। এখন তা ১৮ সপ্তাহেই ডিম দেয়া শুরু করেছে। একইভাবে সফলতা এসেছে গ্রামাঞ্চলের দেশী জাতের মুরগির ক্ষেত্রেও। মুরগিগুলো বছরে ১৩০টি ডিম দিচ্ছে এবং ছয় মাস বয়স থেকেই ডিম দিচ্ছে। অন্যদিকে দেশের পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জাতের মুরগির জাত উন্নয়নে সফলতা এসেছে। পাহাড়ি মুরগি আগে যেখানে আট সপ্তাহে ৩৭০-৩৮০ গ্রাম ওজনের হতো, এখন তা ৬০০ গ্রাম ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
পাহাড়ি জাতের মোরগ-মুরগি দ্রুতবর্ধনশীল, যা মাংসের জন্য পালন বেশি লাভজনক। বাজারে দেশী মুরগির যেমন ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, তেমনি দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা শেষ হলে খামারিরা চাইলেই মুরগিগুলোকে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের আওতায় আনতে পারবেন।
তথ্যসূত্র : বিএলআরআই ॥
মুরগির উৎপাদনশীলতা নিয়ে সফল কিছু গবেষণা শেষ করেছে বিএলআরআই। এগুলোয় পাওয়া ফলাফলগুলোর বাস্তবায়নে দেশের আবহাওয়ায় টেকসই জাতগুলোর বাণিজ্যিকভাবে পালনের পথ উন্মুক্ত হবে। স্বল্প খরচে অধিক লাভ ও রোগবালাই প্রতিরোধী জাতগুলো খামারিরা বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের আওতায় আনতে পারলে ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
দেশী জাতের গলাছিলা ও পাহাড়ি মুরগির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সফল গবেষণা পরিচালনা করেছে বিএলআরআই। প্রতিষ্ঠানটির পোলট্রি উৎপাদন গবেষণা বিভাগের উদ্ভাবিত মুরগি দেশী অন্যান্য জাতের মুরগি থেকে তিন গুণ ডিম ও দ্বিগুণ মাংস উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। দেশের পরিবেশে বেড়ে ওঠা নিজস্ব জাতের গলাছিলা মুরগি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতের মোরগ-মুরগির ওপর ২০০১ সাল থেকেই গবেষণা চালিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ২০০৩ সাল থেকে মূলত মুরগির ওপর জোর দেয়া হয়। ২০১০ সালে প্রথম সফলতা আসে। সে সময়ে বিদেশী জাতের সঙ্গে ক্রস ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে শুভ্রা নামের একটি জাত উদ্ভাবন করা হয়।
পোলট্রি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে স্থানীয় পরিবেশের উপযুক্ততা বজায় রেখেই দেশী জাতের উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব গবেষণা ফান্ডের মাধ্যমে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে গবেষণা করছেন এখানকার গবেষকরা। আর দেশী জাতের মুরগির উৎপাদন বাড়ানো ও বাণিজ্যিকভাবে লালন-পালনের বিষয়ে বিজ্ঞানীদের এ গবেষণা দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর হারাতে বসা দেশী মুরগির জাতগুলোকেও সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
দেশী জাতগুলোর উন্নয়নের ক্ষেত্রে নির্বাচিত বাছাই প্রজনন বা পিওর প্রজনন করা হয়েছে। দেশী গলাছিলা জাতের মুরগি গ্রামাঞ্চলে সাধারণত বছরে ৫০-৬০টি ডিম দিয়ে থাকে। বিএলআরআই গবেষণার মাধ্যমে জাতটির বার্ষিক ডিমের পরিমাণ ১৫০টি পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। ডিমের ওজনও বেড়েছে। আগে এসব মুরগি প্রথম ডিম দিতে বয়স লাগত ২২ সপ্তাহ। এখন তা ১৮ সপ্তাহেই ডিম দেয়া শুরু করেছে। একইভাবে সফলতা এসেছে গ্রামাঞ্চলের দেশী জাতের মুরগির ক্ষেত্রেও। মুরগিগুলো বছরে ১৩০টি ডিম দিচ্ছে এবং ছয় মাস বয়স থেকেই ডিম দিচ্ছে। অন্যদিকে দেশের পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জাতের মুরগির জাত উন্নয়নে সফলতা এসেছে। পাহাড়ি মুরগি আগে যেখানে আট সপ্তাহে ৩৭০-৩৮০ গ্রাম ওজনের হতো, এখন তা ৬০০ গ্রাম ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
পাহাড়ি জাতের মোরগ-মুরগি দ্রুতবর্ধনশীল, যা মাংসের জন্য পালন বেশি লাভজনক। বাজারে দেশী মুরগির যেমন ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, তেমনি দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা শেষ হলে খামারিরা চাইলেই মুরগিগুলোকে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের আওতায় আনতে পারবেন।
তথ্যসূত্র : বিএলআরআই ॥

মন্তব্যসমূহ