সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

টার্কি নিয়ে কিছু অপ্রয়োজনীয় সংলাপ,আপনাদের মূল্যবান সময় নস্ট করার জন্য দূঃখিত :---

টার্কি নিয়ে কিছু অপ্রয়োজনীয় সংলাপ,আপনাদের মূল্যবান সময় নস্ট করার জন্য দূঃখিত :---

টার্কি নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছি অনেক আগেই । কারন টার্কি এখন বাংলাদেশে নিজস্ব পরিচিতি লাভ করেছে । পাশাপাশি টার্কি পালনে অনেক খামারি এখন অভিজ্ঞ । তারা নিজেদের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি অন্য খামারিদের ও আন্তরিক সহযোগিতা করেন গুরুত্বপূর্ন তথ্য দিয়ে । বিএলআরআই ও গবেষণা শুরু করেছে টার্কি নিয়ে । উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগও এখন টার্কি নিয়ে কাজ করছে । বিভিন্ন অ্যাপস তেরী হয়েছে টার্কি পালন নিয়ে । মোদ্দা কথা, টার্কি পালন নিয়ে এখন খামারিদের খুব বেশী সমস্যা হয়না । তবে সময়ের প্রয়োজনে আজকে আবার লিখতেই হলো । হয়তো আপনাদের কিছু মূল্যবান সময় এই লেখাটা পড়তে গিয়ে নস্ট হবে । উপকারে আসবে কিনা, সেটা আপনাদের বিচার্য বিষয় ।

টার্কি মুরগি এখন দ্বিতীয় ধাপ অতিক্রম করছে । আর সে ধাপটি অতি গুরুত্বপূর্ন । সেটা হলো, মাংস হিসেবে টার্কিকে জনপ্রিয় করে তোলা । আশার কথা হলো, ইতিমধ্যে অনেক খামারি নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় বানিজ্যিক ভাবেই অর্থাৎ পোল্ট্রি বিক্রয় কেন্দ্রে নিয়মিত টার্কি বিক্রয় করছেন । অনেকে আবার বিভিন্ন এলাকা থেকেও টার্কি মোরগ সংগ্রহ করে ঢাকা সহ বিভিন্ন শহরে সফলতার সাথে মাংস বিক্রয় করছেন । তবে টার্কি উৎপাদন এর তুলনায় এটা সীমিত । আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই কার্যক্রম চলতে থাকলে আগামী এক - দুই বছরের মধ্যে টার্কির মাংস বিক্রয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। তবে স্থায়ী টার্কির মাংসের বাজার সৃস্টির জন্য সকলের সমন্বিত চেস্টা জরুরী । পাশাপাশি মাংসের দাম নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে ।

টার্কি, তিতির


ঐতিহ্যগত ভাবে বাংলাদেশীরা ভোজনরসিক। সেই সুযোগ নিয়েই ইষ্টইন্ডিয়া কোম্পানী থেকে শুরু করে আজপর্যন্ত অনেক কোম্পানী ব্যবসা করেছে বা করছে । ক্রয়ক্ষমতার কথা মাথায় রেখেই কোম্পানীগুলো সফলভাবে ব্যবসা করেছে । এবং পরবর্তীতে বাজার চাহিদার উপর ভিত্তি করে পুনঃ পুনঃ মূল্য নির্ধারিত বা সমন্নয় হয়েছে । আর এই পুনঃ মূল্য নির্ধারনও ব্যবসার সফলতায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে।
টার্কির মাংস বিক্রয়ের স্থায়ী বাজার সৃস্টির ক্ষেত্রেও বিষয়টা বিবেচনার দাবী রাখে ।

দেশে বর্তমান সময়ে ছোট বড় মিলিয়ে কয়েক হাজার টার্কির ফার্ম গড়ে উঠেছে । টার্কি ভালো ডিম দেয় বিধায় দ্রুত গতিতে বংশবিস্তার লাভ করছে । প্রচুর বাচ্চা উৎপাদন হবার কারনে খামারি পর্যায়ে বাচ্চা বা প্রাপ্ত বয়সের টার্কি ক্রয় বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে । তাই অনেক খামারি হতাশ হয়ে পরছেন । কিন্ত এখন হতাশ না হয়ে বানিজ্যিক ভাবে খামার প্রতিস্ঠিত হবার আসল সময় । এখন যারা নিজের ফার্মে টার্কির সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবে, তারাই আগামী দিনে সফলতা বেশী পাবে । তবে যাদের আর্থিক সামর্থ্য কম, তাদের বিষয় আলাদা ।
পোল্ট্রি শিল্পে খামারিরা নির্দিষ্ট সিন্ডিকেট এর কাছে দায়বদ্ধ । বাচ্চা থেকে ডিম, সব ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট সক্রিয় । যেখানে খামারিরা ভীষন অসহায় । কিন্ত টার্কির ক্ষেত্রে তেমন ঘটার আর সুযোগ নেই । কারন যে কেউ নিজেই বাচ্চা উৎপাদন করতে পারে খামারের প্রয়োজন অনুযায়ী । এখানে এখন আর দালাল শ্রেনী তেমন ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবেনা ।

#তাই সকল টার্কি খামারিদের কাছে আমার ব্যক্তিগত অনুরোধ থাকবে, কারো কথায় পেনিক হয়ে বা হতাশ হয়ে নিজের সখের খামারটি ধংস করবেন না । আপনাদের পরিশ্রমে যে শিল্প গড়ে উঠেছে, সেই শিল্পের সুবিধা ভোগের অধিকার আপনাদেরই । এমন যেন না হয়, আপনি পেনিক হয়ে খামার বন্ধ করে দিলেন, আর অন্যরা সুবিধা ভোগ করবে । সকলের জন্য শুভকামনা---চাষা আলামিন জুয়েল ॥

মন্তব্যসমূহ

Unknown বলেছেন…
বাংলাদেশে টার্কির বাজার কোথায়।
Unknown বলেছেন…
বাংলাদেশে টার্কির বাজার কোথায়।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সব...

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা ...

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ...