সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আসুন, অন্তত একবার চেস্টা করে দেখি : ----

আসুন, অন্তত একবার চেস্টা করে দেখি : ----

বোরো ধান কর্তনের সময় নিকটবর্তী । কৃষক আনন্দিত । কিন্ত এই আনন্দ নিরানন্দে পরিনত হয় তখনই, যখন কৃষক তার কস্টে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয় ।


সরকার ইতিমধ্যে প্রতিমন ধানের মূল্য ১০৫০।= টাকা নির্ধারন করেছে। প্রতিবারই সরকারি শস্য ভান্ডারে খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য এমন ঘোষণা আসে । কিন্ত এর সুফল প্রকৃত কৃষক ভোগ করতে পারেনা । মধ্যস্বত্বভোগীরাই বিনা পরিশ্রমে মধু খেয়ে যায় ।

তাই আগেভাগেই কৃষক ভাইদের সচেতন হতে হবে । য়েসকল এলাকা থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে, সেসকল এলাকার সকল কৃষক একত্রিত হতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে । কোন মাধ্যম ছাড়াই আগেভাগে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে । যদি সেখান থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায়, তাহলে ভালো । আর কাংখিত সহযোগিতা না পেলে জেলা প্রশাসক, জেলা কৃষি সমপ্রসারন কর্মকতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে । যদি তালিকা বা কার্ডের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্য্যক্রম পরিচালিত হয়, তাহলে আপনার বা আপনার এলাকার আগ্রহী কৃষক ভাইদের নাম বাদ পড়েছে কিনা, সেটা সতর্কতার সঙ্গে খোঁজখবর রাখতে হবে ।

বন্ধু আমরা দেশের হতভাগ্য কৃষক । আমাদের একে অন্যকে সহযোগিতা করতে হবে । এলাকা ভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের ন্যায্য অধিকারে সোচ্চার হতে হবে । আর এভাবেই এক সময়ে জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সম্ভব হলে, কৃষকের পক্ষে ন্যায়সংগত সকল অধিকার, দাবী পেশ করা বা অধিকার অর্জন করা সম্ভব হবে ।

#আমি CAJ আমার এলাকার কৃষককে ঐক্যবদ্ধ করতে, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রাপ্য সেবা প্রাপ্তিতে সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ । প্রিয় বন্ধু, আপনি কি আপনার এলাকার কৃষকের জন্য একটু দ্বায়ীত্ব কাধে নিতে পারবেন না । আসুননা, অন্তত একবার চেস্টাতো করে দেখি ।

---শুভকামনায় চাষা আলামিন জুয়েল ॥

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সব...

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা ...

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ...