সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ন্যায্য অধিকার পেতে হলে সচেতন ও সংগঠিত হতে হবে কৃষকদের ---

ন্যায্য অধিকার পেতে হলে সচেতন ও সংগঠিত হতে হবে কৃষকদের ---

বন্ধুরা , ভালো করে একবার কৃষকের চেহরাগুলো দেখুন , শরীরের আবস্থা দেখুন , মুখগুলো দেখুন । কিছু বুঝতে পারেন   ?  সরকারি বেতন -ভাতা - বোনাস নেই এদের জন্য । নেই ঝুঁকি ভাতা । নেই চিকিৎসা বা উৎসব ভাতা । নেই কোন অবসর ভাতা ।



তবে আছে #প্রাকৃতিক দূর্যোগ, #সামাজিক ও #পারিবারিক #অপমানের #বোঝা, #বাজার #অব্যবস্থাপনার #বোঝা, মাথার উপরে #ঋণের #বোঝা , #পরিবারের #ভরন - #পোষণের #বোঝা , #পিতা-মাতা - #স্ত্রী -স্বন্তানদের #চোখের #পানির #বোঝা  #রোগা #শরীরের #বোঝা । তারপরও এই নিরীহ অসহায় কৃষকশ্রেনী সকল কিছু মুখ বুঝে সয়ে যাচ্ছে , হাড় ভাঙ্গা খাটুনি দিয়ে সকল প্রতিকুল পরিবেশের মধ্যেও মাঠে ফসল ফোলানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে । হাড্ডিসার শরীর নিয়ে, মাটিতে হাটু গেড়ে, কাধে জোয়াল সেটে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেশকে । কিন্ত বিনিময়ে সামান্যতম সামাজিক মর্যাদাটুকুও পায়না এই মানুষ গুলো ।


অথচ সরকারি একজন পিয়ন ও আজ কোটি কোটি টাকার সম্পদের অধিকারী। কি বিচিত্র মানুষ আমরা , কি বিচিত্র সমাজ ব্যবস্থা , কি অদ্ভুত আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা  ! !





বাংলাদেশে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন রয়েছে । মাঝে মধ্যে তাদের কে বিভিন্ন দাবী আদায়ে প্রতিবাদ, আন্দোলন,  ধর্মঘট করতেও দেখা যায় । দাবীও আদায় হয় । তবে সে সকল পেশাজীবীদের আন্দোলন - ধর্মঘটে সাময়িক সমস্যা হলেও দেশের অর্থ - সম্পদের খুব বেশী ক্ষতি হয় না বা দেশ অচল হয়ে যায় না। কিন্ত একবার ভেবে দেখুন , এই অর্ধাহারে - অনাহারে থাকা অভ্যস্ত কৃষক শ্রেনী যদি একবার সংগঠিত হয় আর যে কোন এক মৌসুম ফসল উৎপাদন বন্ধ রাখে  ? দয়া করে সবাই বাস্তবতার নিরিখে জবাব দিন ।

#বি : দ্র : হয়তো এদেশের কৃষক কখোনোই সংগঠিত হবেনা। কারন সেই শক্তি বা সাহস কোনটাই কৃষকের নেই বা অর্জিত হবেনা । কিন্ত আমি চাষা আলামিন জুয়েল কৃষকের জন্য ,কৃষক কে সংগঠিত করার জন্য , তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করে ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য আমরন সচেষ্ট থাকবো ইনশাল্লাহ্ ।  আমি চাই আমার দেশের কৃষক ভালো থাকুক । কৃষকের মুখে হাসি ফুটুক । কৃষকের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটুক । আর কৃষক ভালো থাকলে এগিয়ে যাবে কৃষি। নতুন তরুন শিক্ষিত সমাজের লোকেরা কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হলেই এমনিতেই বদলে যাবে কৃষকের আর্থ সামাজিক অবস্থা, আর তখনই সমৃদ্ধ হবে সোনার বাংলাদেশ ।
#অনেক অনেক ভালো থাকুক আমার দেশের কৃষক ভাই বোনেরা .. . চাষা আলামিন জুয়েল ॥

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সব...

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা ...

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ...