সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
শুরু হচ্ছে কাঁকড়ার পোনা উৎপাদন:
রপ্তানিমুখী কাঁকড়া চাষ খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মিটানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কাঁকড়ার পোনা সুন্দরবন হতে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। সুন্দরবন হতে বিপুল পরিমাণে কাঁকড়ার পোনা সংগ্রহ করার ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। এরই প্রেক্ষিতে কাঁকড়ার হ্যাচারি স্থাপনের মাধ্যমে দেশে কাঁকড়ার পোনা উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথম কাঁকড়ার হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদন শুরু হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীস্থ কলবাড়ীতে স্থাপিত নতুন এ কাঁকড়ার হ্যাচারিতে উৎপাদিত কাঁকড়ার পোনা নার্সারি পুকুরে অবমুক্ত করা হচ্ছে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বিকাশমান কাঁকড়া চাষ দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর প্রমোটিং এগ্রিকালচার কর্মাসিয়ালাইজেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজেস (পিএসিই) প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় পিকেএসএফ-এর সহযোগী সংস্থা নওয়াবেঁকী গণমুখী ফাউন্ডেশন (এনজিএফ) সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কাঁকড়ার হ্যাচারিটি স্থাপন করেছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এর আগে কাঁকড়ার হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদনের বিভিন্ন প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হলেও এবারই প্রথম নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দেশজ মানব সম্পদ দ্বারা পরিচালিত হ্যাচারিতে সফলভাবে কাঁকড়ার পোনা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। এর থেকে পরবর্তী পর্যায়ে ছোট আকারের হ্যাচারি স্থাপনের প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু করা হবে, যাতে করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা নিজেরাই পোনা উৎপাদন করে কাঁকড়ার পোনার চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়।  এই রপ্তানিমুখী কাঁকড়া চাষ এর মাধ্যমে একদিকে যেমন ক্রমশ রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে বেকার সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে।
তথ্য ও ছবি : সংগৃহীত ও সংকলিত ।

#প্রশিক্ষণ নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ করা গেলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এই কাঁকড়া উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস ---চাষা আলামিন জুয়েল ॥

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সব...

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা ...

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ...