সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
" টার্কি"- চাষ সম্প্রসারণে সময়োপযোগী মূল্য নির্ধারণের সময় এখনই---

CAJ মন্তব্য: পোল্ট্রি শিল্পে বর্তমানে টার্কি একটি উদীয়মান সংযুক্তি. বাংলাদেশে এর পালন ৬-৭ বছর আগে শুরু হলেও,আনুষ্ঠানিক প্রচার -প্রচারণা শুরু হয় ২০১৫ ইং সালের শেষ ভাগে. যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর ঐকান্তিক চেষ্টায় আজ টার্কির এই অবস্থান, তাদের মানুষ না চিনলেও টার্কি বাবা, টার্কি চাচাদের মানুষ বেশী চেনে. এর প্রধান কারণ, প্রথম দলের উদ্যেশ্য টার্কি পালন বৃদ্ধি সহ দেশের মাংসের চাহিদা পূরণ তথা দেশ প্রেম , দ্বিতীয় দলের উদ্যেশ্য এই সুযোগে সরল মনের কৃষককে ঠকিয়ে নিজের পকেট ভারী করা তথা দেশদ্রোহীতা - মীরজাফর. অনেক বিশ্বাসঘাতক ইতিহাসে অমর হয়ে আছে, যাদের নাম মানুষ ঘৃণা ভরে স্বরণ করে. আর বর্তমান দ্বিতীয় দল অর্থাত বিশ্বাসঘাতকদেরও ইতিহাস ক্ষমা করবেনা.


CAJ মূল প্রসঙ্গ:
 টার্কি সম্ভবনাময় একটি পণ্য হওয়ায়, যে যেমন খুশী দামে বিক্রয় করছি বা করছে. আর নতুন আকৃষ্ট খামারিরা বাধ্য হয়েই বিক্রেতার হাকানো দামে ক্রয় করছে. সে সুযোগে অতি মুনাফালোভী দালাল সুজোগ গ্রহণ করছে. ভারত থেকে টিকা বিহীন রোগাক্রান্ত নিন্মমানের বাচ্চা এনে একটু কম মূল্যে বিক্রয় করছে. আর খামারিরা সরল মনে সেই বাচ্চা সংগ্রহ করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে .
এর থেকে পরিত্রাণ কি ? উপায় একটাই, তাহলো দেশের প্রকৃত খামারিদের কার্যকর উদ্যোগ. কিন্ত সেটা কিভাবে ?
CAJ প্রস্তাবনা:  প্রচার প্রচারণার পর ২০১৫ ইং সাল থেকে অদ্যবধি দেশে কমবেশী একহাজার টার্কি খামার গড়ে উঠেছে. যার মধ্যে প্রায় ৫০ টি বড় খামার রয়েছে. যারা নিয়মিত বাচ্চা উতপাদন করছেন এবং সফল. এসকল খামার থেকেই ছোট বা নতুন খামারিরা বাচ্চা সংগ্রহ করছেন. কিন্ত একটু চড়া দামের কারণে অনেক আগ্রহীগণ বাচ্চা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন. তাই এসকল বড় খামারি একটু ভেবে চিন্তে নির্ধারিত বয়সের বাচ্চা বা বড় টার্কির একটি সহনীয় দাম নির্ধারণ করলে, ছোট খামারিগণ উপকৃত হবেন. তাতে দেশে দ্রুত টার্কি চাষ সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস.

CAJ আহবান :
দেশের সকল এলাকায় এখন কম - বেশী টার্কি পালন শুরু হয়েছে. তাই সকল বন্ধুগণ আপনার এলাকায় বর্তমান টার্কির মূল্য এবং যৌক্তিক সহনীয় মূল্য মন্তব্য সহ উল্লেখ করুন.
আশানুরূপ সারা পেলে আমি পরবর্তী পোস্টে সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি যৌক্তিক দাম প্রস্তাব করার চেস্টা করবো ইনশাল্লাহ্.

#সকল কৃষক বন্ধুদের জন্য শুভকামনায় --চাষা আলামিন জুয়েল.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সব...

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা ...

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ...