সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কৃষক ভাতা" চালু করা হোক

"কৃষক ভাতা" চালু করা হোক ---------
অবসর ভাতা , মুক্তিযোদ্ধা ভাতা , বয়স্ক ভাতা , বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা চালু আছে . ন্যাশনাল সার্ভিস নামে বিভিন্ন উপজেলায় বেকার ভাতা চালু করেছে  সরকার . কিন্ত ভীষণ দুঃখের বিষয় , যে কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ খাদ্যে স্বাবলম্বী হয়েছে দেশ ,সারা বছর শাক -সবজী, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ উতপাদন করে জাতীর খাদ্য চাহিদা, পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে চলছে , তাদের জন্য কোন ভাতা নেই . বা এমন কোন ভাতা চালু হওয়া উচিত বলেও সরকারের পরিকল্পনা আছে বলে আমার জানা নেই . কিন্ত কেন ? আমার দেশের কৃষক কি খুবই সচ্ছল ? যে কৃষক দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে ফসল উত্পাদন করেও নায্য মূল্যটুকু পর্যন্ত পায়না , যে কৃষকের মাথার উপর থেকে ঋণের বোঝা কখনো সরেনা , যে কৃষক ফসল ফালানোর পরেও পরিবারের মুখে তিন বেলা আহার তুলে দিতে পারেনা, যে কৃষক রোগে - শোকে সর্বদা জর্জরিত থকলেও চিকিতসা নিতে পারেনা, সেই কৃষকের কি রাষ্ট্রের কাছ থেকে ভাতা পাওযার কোন অধিকার রাখেনা ?? কৃষক হওয়াই কি তার অপরাধ ?? ১৮ - ২০ কোটি মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেয়াই তার অপরাধ ?? নাকি কৃষক এর প্রতি রাষ্ট্রের অবজ্ঞা ??


সরকারের কাছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে, কৃষি মন্ত্রী ও মন্ত্রালয়ের কাছে আমার আকুল আবেদন , উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রকৃত প্রান্তিক কৃষকের তালিকা করে গরীব- দুঃখী কৃষকদের জন্য মাসিক ভাতা হিসেবে " কৃষক ভাতা " চালু করা হোক . আগামী বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্ধ রাখা হোক .

বন্ধুরা, আপনাদের মতামত ও সমর্থন আশা করছি, শুধু লাইক নয়, দাবীর প্রতি সমর্থন বাড়াতে শেয়ার করুন---- চাষা আলামীন জুয়েল .

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা:,

সবজি ও ফল চাষের বারো মাসের পঞ্জিকা- - আমাদের দেশে সাধারণত ঋতু বা মৌসুম ছ’টি। আর কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। চাষিরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মত প্রতিদিনের কাজ গুলোকে সাজিয়ে নিবেন ও বাস্তবে রূপ দেবেন।  ক্লিক করুন: বেগুন চাষ পদ্ধতি : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/caj.html পশু পাখি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় : https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post.html https://smartfarmeralaminjuel.blogspot.com/2020/01/blog-post_22.html বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): লালশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপন এর উত্তম সময় . সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করতে হবে । মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে . কুমড়া জাতীয় সব...

পরিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায় :

পারিবারিক খামারে দেশী জাতের মুরগী পালনের লাভজনক উপায়ঃ--- আমাদের গ্রামীণ জনপদে আগে বেশীরভাগ ঘরে দেশী মুরগী পালন করা হতো। রাত-বিরাতে বাড়ীতে অতিথি এলে এই মুরগী জবাই করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করা হতো। এমনকি মাঝে মাঝে গভীর রাতেও মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যেতো। পরে জানতে পারতাম, মেহমান এসেছে তাই রাতেই মুরগী জবেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাতে তো দুরের কথা, দিনের বেলাতে পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ালেও দেশী মুরগী খুব বেশী পাওয়া যাবে না। কারন আজ আর গ্রামীণ জনপদের মানুষ দেশী মুরগী আগের মত পালন করে না। কিন্তু এর কারন কি ? কেন মানুষ দেশী জাতের মুরগী পালন করছে না ? কি এর প্রতিবন্ধকতা ? কেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশী জাতের মুরগী ? সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত কামনা করছি। এবং আপনাদের আলোচনা ও মতামতের আলোকে পরবর্তীতে দেশী জাতের মুরগী নিয়ে কিছু লেখার আশা করছি------- #উপরোল্লিখিত আহ্বানটি জানাই,আলোচনা/ মতামত গ্রহনের জন্য গত ২৫/০৭/২০১৬ ইং তারিখে। যাতে করে প্রকৃত কারন গুলো খুঁজে বের করে একটি ফলপ্রসূ সমাধান দেয়া যায় এবং দেশী মুরগী সফল ভাবে পালনে আবার সকলকে আগ্রহী করে তোলা যায়। আলহামদুলিল্লাহ্‌, অভুতপূর্ব সারা ...

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

পোল্ট্রি খামারি বন্ধুদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : #মুরগীর রানীক্ষেত ঠেকাতে কি করবো ---? CAJউত্তর : প্রতিষেধক : বাচ্চাদের ৫-৭ দিন বয়সে বিসিআরডিবি টিকা চোখে ফোঁটা আকারে দিতে হবে। ২১ দিন বয়সে এবং ৬ মাসের বড় মোরগ-মুরগির জন্য আরডিভি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। ১০০ মুরগির জন্য ১ টি ভায়াল যথেষ্ট। চিকিতসা : অক্সি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ যেমন : রেনামাইসিন, বেক্টিট্যাব, টেট্রাভেট, টেকনোমাইসিন ডিএস যেকোনো একটি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ টি মুরগিকে ৩ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে। #মুরগির ই করাইজা (ঠান্ডা রোগ) হলে কী করবো--? CAJউত্তর : ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাতে ভাব দূর করতে হবে, আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, লিটার সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্সিসাইক্সিন : ১ গ্রাম ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে এবং Ciprotrojin পাউডার: ১ লিটারে পানিতে ১ গ্রাম পরিমাণে ৫ দিন ধরে দিতে হবে। #মুরগির কলেরা হয়েছে (জ্বর থাকে,  প্রথম দিকে সবুজ ও সাদা পাতলা পায়খানা করে), কী করতে হবে--? CAJউত্তর: প্রথমত আক্রান্ত মুরগিকে দ্রুত আলাদা করে ...